আমাদের সমাজে বর্তমানে যেসব জঘন্য বিদ‘আত অত্যন্ত ব্যাপকভাবে বিদ্যমান, তন্মধ্যে অন্যতম হলো- রাবী‘উল আওয়াল মাসে রাছূলুল্লাহ 1 এর জন্মদিন পালন বা ‘ঈদে মীলাদুন্নাবী উদযাপন।
এই বিদ‘আত কর্মটি বিভিন্নভাবে পালিত হয়ে থাকে। কেউ কেউ এ (মীলাদুন্নাবী) উপলক্ষে সমবেত হয়ে রাছূলুল্লাহ 1 এর জন্মকাহিনী পড়ে থাকেন কিংবা ওয়া‘য-নাসীহাত এবং বিভিন্ন ধরনের ক্বাসীদাহ, গযল, কবিতা ইত্যাদি আবৃত্তি করে থাকেন। কেউ কেউ এ উপলক্ষে সমবেত লোকদের মাঝে সেমাই, মিষ্টি ও হালুয়া বিতরণ করে থাকেন।
এসব মীলাদ মাহ্ফিল কেউ কেউ মাছজিদে আবার কেউ কেউ নিজ নিজ বাড়িতে আয়োজন করে থাকেন।
আবার অনেকে এমনও আছেন যারা মীলাদুন্নাবী অনুষ্ঠানকে শুধুমাত্র উপরোক্ত কার্যাবলীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেন না, বরং তাতে তারা নানা ধরনের অবৈধ ও হারাম কাজ যেমন- নারী-পুরুষের সংমিশ্রণ, ঢোল-তবলা, নাচ-গান, রাছূলুল্লাহ 1 এর কাছে সাহায্য প্রার্থনা, তাকে আহ্বান করা, তাঁর সাহায্যে শত্রুর বিরুদ্ধে বিজয় কামনা করা ইত্যাদি বিভিন্ন রকম শির্কী ও কুফরী কাজ-কর্ম করে থাকে। এই মীলাদুন্নাবী অনুষ্ঠান, তা যেভাবেই পালন বা উদযাপন করা হোক না কেন কিংবা যে কোন উদ্দেশ্যেই করা হোক না কেন, ইছলামী শারী‘য়াতে সর্বাবস্থায় এটি বিদ‘আত ও নিষিদ্ধ গর্হিত কাজ। এটি উত্তম যুগের অনেক পরে ইছলামের মধ্যে নব-আবিষ্কৃত একটি কাজ। চতুর্থ হিজরী শতাব্দীতে ফাত্বিমী গোত্রের তথাকথিত দাবিদার (যারা নিজেদেরকে ফাত্বিমাহ f এর বংশধর বলে মিথ্যা দাবি করে) ‘উবায়দী গোত্রের শী‘আ শাসকগণ এবং তাদের মধ্যে সর্বপ্রথম আল মু‘য়িয লি দ্বীনিল্লাহ নামক শাসক মিশরে এই বিদ‘আত প্রবর্তন করে।
অতঃপর ৬ষ্ঠ হিজরী শতাব্দীর শেষ দিকে অথবা ৭ম হিজরী শতাব্দীর শুরুর দিকে, বিখ্যাত ঐতিহাসিক যথাক্রমে ইবনু কাছীর ও ইবনু খালক্বানের মতে ইরদীল শহরের শাসক মুযাফ্ফার আবূ ছা‘ঈদ কুকুবুরী পুনরায় নব উদ্যমে এই বিদ‘আতটি চালু করে। সে প্রতি বছর রাষ্ট্রীয় বিশাল অর্থ ব্যয় করে রাবী‘উল আওয়াল মাসে মীলাদুন্নাবী উপলক্ষে অত্যন্ত জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে থাকে। আর এভাবেই এই জঘন্য বিদ‘আতটি মুছলিম সমাজে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
পূর্ববর্তী এবং বর্তমান সময়ের প্রায় সকল হাক্বক্বানী ‘উলামায়ে কিরাম ‘ঈদে মীলাদুন্নাবী কিংবা মীলাদুন্নাবী অনুষ্ঠান পালনকে নিম্নোক্ত দালীল ও সুস্পষ্ট কারণ সমূহের ভিত্তিতে বিদ‘আত ও হারাম বলে অভিহিত করেছেন।
যে সব বিশুদ্ধ দালীল ও সুস্পষ্ট কারণের ভিত্তিতে ‘উলামায়ে কিরাম এটিকে বিদ‘আত ও নিষিদ্ধ বা হারাম, বলেছেন, তন্মধ্যে কয়েকটি হলো নিম্নরূপ:-
১) এটি দ্বীনে ইছলামের মধ্যে নব-আবিষ্কৃত একটি বিষয়। কেননা এর পক্ষে আল্লাহ 0 কোন প্রমাণ অবতীর্ণ করেননি। রাছূলুল্লাহ্ও (1 ) তাঁর কথা, কাজ কিংবা কোনরূপ অনুমোদন দ্বারা এ কাজটি প্রবর্তন করেননি। অথচ তিনি হলেন আমাদের অনুসরণীয় ও ইমাম। ক্বোরআনে কারীমে আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেন:-
وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانتَهُوا.سورة الحشر- ٧
অর্থাৎ- রাছূল তোমাদেরকে যা কিছু দিয়েছেন তোমরা তা অবলম্বন করো, আর যা কিছু থেকে তিনি তোমাদেরকে বারণ করেছেন তা থেকে বিরত থাকো।ছূরা আল হাশ্র- ৭
আল্লাহ 0 আরো ইরশাদ করেছেন:-
لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَن كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيرًا.سورة الأحزاب- ٢١
অর্থাৎ- নিশ্চয় তোমাদের জন্য রাছূলুল্লাহ্র মধ্যে রয়েছে উত্তম-অনুপম আদর্শ; যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহ্কে বেশি বেশি স্মরণ করে।ছূরা আল আহ্যাব- ২১
রাছূলুল্লাহ্ 1 বলেছেন:-
مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدٌّ.صحيح البخاري- ٢٦٩٧. صحيح المسلم- ١٧١٨
অর্থ- যে আমাদের এই দ্বীনের (শারী‘য়াতের) মধ্যে নতুন কিছু উদ্ভাবন করবে, তাহলে তা হবে প্রত্যাখ্যাত।সাহীহ্ বুখারী- ২৬৯৭। সাহীহ্ মুছলিম- ১৭১৮
২) খুলাফায়ে রাশিদূন এবং রাছূলুল্লাহ 1 এর অন্যান্য সাহাবায়ে কিরাম 4 কেউই মীলাদুন্নাবী উপলক্ষে ‘ঈদ উদযাপন কিংবা কোন অনুষ্ঠান বা মাহ্ফিলের আয়োজন করেননি। তাঁরা নিজেরা যেমন করেননি তেমনি অন্যদেরকেও এরূপ কিছু করার আহবান জানাননি। অথচ রাছূলের (1) পরে তাঁরাই ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মাত। খুলাফায়ে রাশিদূন সম্পর্কে রাছূলুল্লাহ 1 বলেছেন:-
عَلَيْكُمْ بِسُنَّتِي وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ مِنْ بَعْدِي، عَضُّوا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ، وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ، فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ، وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ.سنن ابي داؤد, جامع ترمذي
অর্থ- তোমাদের উপর আবশ্যকীয় হলো আমার ছুন্নাত এবং আমার পরে খুলাফায়ে রাশিদীনের ছুন্নাত অবলম্বন করা, তোমরা একে মাড়ি দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরো (শক্ত করে অাঁকড়ে ধরো) এবং তোমরা নব-আবিষ্কৃত বিষয়াদী হতে সাবধান থেকো! কেননা প্রতিটি নব-আবিষ্কৃত বিষয়ই হলো বিদ‘আত আর প্রতিটি বিদ‘আতই হলো পথভ্রষ্টতা।ছুনানু আবী দাঊদ জামে‘ তিরমিযী
৩) মীলাদুন্নাবী উপলক্ষে ‘ঈদ উদযাপন বা অনুষ্ঠান পালন করা- এটি হলো বিপথগামী পথভ্রষ্টদের প্রবর্তিত একটি প্রথা। যেমন আমরা প্রবন্ধের শুরুতেই জেনেছি যে, আনুষ্ঠানিকভাবে মীলাদুন্নাবী পালনের প্রথা সর্বপ্রথম চতুর্থ হিজরী শতাব্দীতে ফাত্বিমী ‘উবায়দী শী‘আ শাসকগণ প্রবর্তন করেছিল।
সুতরাং বিবেকসম্পন্ন কোন মুছলমান কি কখনো রাছূলুল্লাহ 1 এর ছুন্নাতের বিরোধিতা করতে পারে এবং শী‘আ-রাফিযীদের প্রবর্তিত পথ ও প্রথা অনুসরণ করতে পারে? অবশ্যই না।
৪) আল্লাহ 0 দ্বীনে ইছলামকে পরিপূর্ণ ও সুসম্পন্ন করে দিয়েছেন। ক্বোরআনে কারীমে তিনি ইরশাদ করেছেন:-
الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الإِسْلاَمَ دِينًا.سورة المائدة- ٣
অর্থাৎ- আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং তোমাদের উপর আমার নি‘মাত সুসম্পন্ন করে দিলাম এবং ইছলামকে দ্বীন হিসেবে তোমাদের জন্য মনোনীত করে দিলাম।ছূরা আল মা-য়িদাহ- ৩
রাছূলুল্লাহ 1 আল্লাহ্র এই দ্বীনকে অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে মানবজাতির নিকট পৌঁছে দিয়েছেন। মানুষকে জান্নাতের নিকটবর্তী করবে এবং জাহান্নাম থেকে দূরে সরিয়ে রাখবে এমন প্রত্যেকটি বিষয় তিনি তাঁর উম্মাতকে অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে জানিয়ে গেছেন। মোটকথা, উম্মাতের জন্য কল্যাণকর এমন কোন বিষয় নেই যে সম্পর্কে তিনি (রাছূলুল্লাহ 1) তাঁর উম্মাতকে অবহিত করেননি এবং উম্মাতের জন্য অকল্যাণকর বা অনিষ্টকর এমন কোন বিষয় নেই যে সম্পর্কে তিনি উম্মাতকে সতর্ক করেননি।
আমাদের নাবী ছিলেন আল্লাহ্র (0) প্রেরিত সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নাবী। মানবজাতির কাছে আল্লাহ্র বার্তা পৌঁছে দেয়ার এবং আল্লাহ্র বান্দাহ্দেরকে নাসীহাত প্রদানের ক্ষেত্রে সকল নাবী-রাছূলের (m) মধ্যে তিনি ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম। যদি মীলাদুন্নাবী অনুষ্ঠান বা ‘ঈদে মীলাদুন্নাবী পালন করা এমন কোন দ্বীনী কাজ বা ‘ইবাদাত হতো- যেটাকে আল্লাহ b পছন্দ করেন এবং যদ্বারা আল্লাহ্র (0) সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়, তাহলে অবশ্যই রাছূলুল্লাহ 1 স্বীয় উম্মাতকে তা জানিয়ে দিতেন অথবা তিনি তাঁর জীবদ্দশায় নিজে এ কাজটি করতেন। কিন্তু তিনি নিজে এরূপ করেছেন কিংবা উম্মাতকে তা করতে বলেছেন মর্মে আদৌ কোন প্রমাণ নেই। অথচ রাছূলুল্লাহ 1 বলেছেন:-
إِنَّهُ لَمْ يَكُنْ نَبِيٌّ قَبْلِي إِلَّا كَانَ حَقًّا عَلَيْهِ أَنْ يَدُلَّ أُمَّتَهُ عَلَى خَيْرِ مَا يَعْلَمُهُ لَهُمْ، وَيُنْذِرَهُمْ شَرَّ مَا يَعْلَمُهُ لَهُمْ.صحيح مسلم- ١٨٤٤
অর্থ- আমার পূর্বে যতো নাবী ছিলেন, তাদের প্রত্যেকের উপরই ওয়াজিব ছিল যতো কিছু তাদের (নিজ নিজ উম্মাতের) জন্য মঙ্গলজনক বা কল্যাণকর হিসেবে জানেন সেসব বিষয়ে তাদেরকে পথ-নির্দেশ দেয়া, আর যতো কিছু তাদের জন্য অকল্যাণকর বলে জানেন সেসব বিষয়ে তাদেরকে সতর্ক ও সাবধান করা।সাহীহ্ মুছলিম- ১৮৪৪
৫) দ্বীনে ইছলামে এ ধরনের মীলাদ বা জন্মদিবস পালনের বিদ‘আতী প্রথা প্রবর্তনের দ্বারা প্রথমতঃ এ কথাই বুঝা যায় যে, আল্লাহ 0 এই উম্মাতের জন্য দ্বীনে ইছলামকে পরিপূর্ণ করে দেননি বরং তা অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। তাই তা সম্পূর্ণ করার জন্য নতুন কিছু করার প্রয়োজন।
দ্বিতীয়তঃ দ্বীনের মধ্যে কোন বিদ‘আতী পন্থা প্রবর্তনের দ্বারা বুঝা যায় যে, রাছূলুল্লাহ 1 এই উম্মাতের কল্যাণের জন্য যা কিছু প্রয়োজন ও প্রাপ্য ছিল তা তিনি পুরোপুরি ও যথাযথভাবে তাদের নিকট পৌঁছে দেননি। তাই পরবর্তীতে এইসব বিদ‘আতীগণ শারী‘য়াতের মধ্যে নতুন কিছু বিষয় (বিদ‘আত) প্রবর্তন ও সংযোজন করে দিয়ে উম্মাতের সেই দ্বীনী প্রয়োজনটুকু পূরণ করে দিয়েছে। (এসব জঘণ্য কথা-বার্তা ও ধ্যান ধারণা থেকে আমরা আল্লাহ্র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
তাদের ধারণা হলো যে, এরূপ কাজের দ্বারা তারা আল্লাহ্র নৈকট্য লাভ করতে পারবে। অথচ প্রকৃতপক্ষে এরূপ কোন কাজ করার অনুমতি আল্লাহ 0 তাদেরকে দেননি। শুধু তাই নয় বরং এর দ্বারা প্রকারান্তরে তারা একদিকে যেমন আল্লাহ্র উপর অভিযোগ আরোপ করছে, অপরদিকে একথাই বলছে যে, রাছূলুল্লাহ 1 তাঁর উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে আদায় করেননি। বরং তিনি আল্লাহ 7 প্রদত্ত রিছালাতের আমানাত খিয়ানাত করেছেন। ছুবহানাল্লাহ! এরূপ ধারণা আল্লাহ b ও তাঁর রাছূলের (1) উপর অপবাদ আরোপ ও জঘন্য মিথ্যাচার বৈ কিছু নয়। আল্লাহ 0 ও তাঁর রাছূল 1 এরূপ অভিযোগ ও অপবাদ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত ও পুতঃপবিত্র।
ক্বোরআনে কারীমে আল্লাহ 7 অত্যন্ত স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন যে, তিনি তাঁর দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন এবং বান্দাহ্গণের উপর তাঁর এই নি‘মাত সুসম্পন্ন করে দিয়েছেন।
বিদায় হাজ্জের ভাষণে রাছূলুল্লাহ 1 উপস্থিত সাহাবায়ে কিরামকে (4) সাক্ষী রেখে অত্যন্ত স্পষ্টভাবে জানিয়ে গেছেন যে, আল্লাহ্র পক্ষ হতে তাঁর প্রতি যা কিছু নাযিল হয়েছিল, সে সবই তিনি উম্মাতের নিকট যথাযথভাবে পৌছিয়ে দিয়েছেন; কোন কিছুই তিনি অবশিষ্ট বা অসম্পূর্ণ রাখেননি।
৬) বিদ‘আত বর্জন করার ও বিদ‘আত থেকে সতর্ক ও সাবধান থাকার বিষয়ে এবং সর্বক্ষেত্রে রাছূলুল্লাহ 1 এর অনুসরণ করার, কথায় কাজে বা ‘আমালে তাঁর বিরোধিতা না করার বিষয়ে ক্বোরআন ও ছুন্নাহ্তে যেসব সুস্পষ্ট দালীল রয়েছে, সেসব দালীলের ভিত্তিতে হাক্বক্বানী ‘উলামায়ে কিরাম মীলাদ তথা জন্মদিন বা জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কোনরূপ অনুষ্ঠান আয়োজন বা ‘ঈদ উদযাপনকে অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বিদ‘আত বলে অভিহিত করেছেন।
৭) মীলাদুন্নাবী পালনের দ্বারা রাছূলের (1) প্রতি আদৌ কোন ভালোবাসা প্রদর্শিত হয় না। রাছূলুল্লাহ 1 এর যথাযথ অনুসরণ, তাঁর ছুন্নাহ অনুযায়ী ‘আমাল এবং তাঁর প্রতি পূর্ণ আনুগত্যের মাধ্যমেই প্রকৃত অর্থে রাছূলুল্লাহ 1 এর প্রতি সত্যিকার ভালোবাসা প্রদর্শিত হয়ে থাকে।
(সত্যিকার অর্থে যে যাকে ভালোবাসে, সে তার আনুগত্য করে থাকে) {অনুবাদক কতৃক সংযোজিত}
ক্বোরআনে কারীমে আল্লাহ b ইরশাদ করেছেন:-
قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ.سورة آل عمران-٣١
অর্থাৎ:- (হে নাবী) আপনি বলুন! যদি তোমরা আল্লাহ্কে ভালোবাস তাহলে আমাকে অনুসরণ করো- আল্লাহ তোমাদিগকে ভালোবাসবেন এবং তোমাদের জন্য তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দিবেন, আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।ছূরা আ-লে ‘ইমরান- ৩১
৮) ‘ঈদে মীলাদুন্নাবী উদযাপন কিংবা জন্মদিবস পালনের মধ্যে ইয়াহুদী ও খৃষ্টানদের ‘ঈদ বা বড়দিন পালনের সাথে মিল তথা সামঞ্জস্য রয়েছে। এর দ্বারা ‘আমাল বা কর্মে তাদের (ইয়াহুদী-নাসারাদের) সাদৃশ্য ধারণ করা হয়। অথচ আমাদেরকে (মুছলমানদেরকে) তাদের (ইয়াহুদী-নাসারাদের) সাদৃশ্য ধারণ করতে এবং তাদের অনুসরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
((এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ রাহিমাহুল্লাহ এর “ইক্বতিযাউস্ সিরাত্বিল মুছতাক্বীম লি মুখালাফাতি আসহাবিল জাহীম” গ্রন্থের; বিশেষ করে ২/৬১৪-৬১৫ নং পৃষ্ঠা দু’টি পড়ুন। আরো দেখুন! ইবনুল ক্বায়্যিম রাহিমাহুল্লাহ সংকলিত গ্রন্থ “যাদুল মা‘আদ”- ১/৯৫))
৯) ইছলামী শারী‘য়াতের অন্যতম একটি মূলনীতি হলো- মানুষের মাঝে বিরোধপূর্ণ বিষয়ে ফায়সালার জন্য আল্লাহ্র (7) কিতাব; ক্বোরআনে কারীম ও রাছূলুল্লাহ 1 এর ছুন্নাহ্র কাছে ফিরে যাওয়া। ক্বোরআনে কারীমে আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেন:-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ أَطِيعُواْ اللّهَ وَأَطِيعُواْ الرَّسُولَ وَأُوْلِي الأَمْرِ مِنكُمْ فَإِن تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللّهِ وَالرَّسُولِ إِن كُنتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ ذَلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلاً.سورة النساء- ٥٩
অর্থাৎ:- হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ্র নির্দেশ মান্য করো, আনুগত্য করো রাছূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা বিচারক তাদের। তারপর তোমরা যদি কোন বিষয়ে বিবাদে লিপ্ত হয়ে যাও, তাহলে বিষয়টি আল্লাহ ও রাছূলের দিকে প্রত্যর্পণ করো- যদি তোমরা আল্লাহ ও ক্বিয়ামাত দিবসে বিশ্বাসী হয়ে থাকো। আর এটাই কল্যাণকর এবং প্রত্যর্পণের জন্য উত্তম।ছূরা আন্ নিছা- ৫৯
আল্লাহ 0 আরো ইরশাদ করেছেন:-
وَمَا اخْتَلَفْتُمْ فِيهِ مِن شَيْءٍ فَحُكْمُهُ إِلَى اللَّهِ ذَلِكُمُ اللَّهُ رَبِّي عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَإِلَيْهِ أُنِيبُ.سورة الشورى- ١٠
অর্থাৎ:- তোমরা যে বিষয়েই মতভেদ করো, তার ফায়সালা আল্লাহ্র কাছে।ছূরা আশ্শুরা-১০
ক্বোরআনে কারীমের উপরোক্ত নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে যে কেউ মীলাদ পালনের বিষয়টি ফায়সালার জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাছূলের কাছে প্রত্যর্পণ করবে অর্থাৎ ক্বোরআন ও ছুন্নাহ্র কাছে নিয়ে যাবে, তখন সে দেখতে পাবে যে, আল্লাহ 0 তাঁর নাবীর অনুসরণ ও আনুগত্যের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ইরশাদ করেছেন:-
مَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانتَهُوا وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ.سورة الحشر- ٧
অর্থাৎ- রাছূল তোমাদেরকে যা দেন তোমরা তা গ্রহণ করো এবং যা কিছু হতে তোমাদের নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাকো।ছূরা আল হাশ্র-৭
সে ব্যক্তি আরো দেখতে পাবে, ক্বোরআনে কারীমে আল্লাহ 0 অত্যন্ত স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি দ্বীনে ইছলামকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন (তাতে কোনরূপ অসম্পূর্ণতা নেই এবং তিনি তাঁর এই মহান নি‘মাহ (মানুষের জীবন-বিধান ও সঠিক পথ-নির্দেশিকা) সুসম্পন্ন করে দিয়েছেন।
অথচ ক্বোরআনে কারীমের কোথাও মীলাদ বা মীলাদুন্নাবী পালন করার কোন নির্দেশ দেয়া হয়নি।
এমনিভাবে সে ব্যক্তি আরো দেখতে পাবে যে, রাছূলুল্লাহ 1 তাঁর নিজের কিংবা অন্য কারো জন্মদিন বা জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে ‘ঈদ কিংবা কোনরূপ অনুষ্ঠান পালন করার কোনরকম নির্দেশ প্রদান করেননি। সাহাবায়ে কিরামও এ রকম কিছু করেননি। সুতরাং এতে করে স্পষ্টভাবে জানা ও বুঝা যায় যে, মীলাদ বা মীলাদুন্নাবী পালন করা দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত বা শারী‘য়াত সম্মত কোন কাজ নয়, বরং এটা হলো দ্বীনের মধ্যে নব আবিষ্কৃত একটি বিদ‘আত ও হারাম কাজ।
১০) তবে কারো ইচ্ছা হলে সে সোমবার দিন রোযা রাখতে পারে। কেননা একদা রাছূলু্লাহ-কে (1) সোমবার দিন রোযা পালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন:-
ذَاكَ يَوْمٌ وُلِدْتُ فِيهِ، وَيَوْمٌ بُعِثْتُ – أَوْ أُنْزِلَ عَلَيَّ فِيهِ.صحيح مسلم
অর্থ- এটা (সোমবার) হলো সেই দিন যেদিন আমি জন্মলাভ করেছি, এবং এই দিনেই আমাকে রাছূল হিসাবে পাঠানো হয়েছে অথবা এই দিনে আমার প্রতি অহী (ক্বোরআন) নাযিল হয়েছে।সাহীহ্ মুছলিম
সুতরাং শারী‘য়াতের বিধান হলো- সোমবার দিন নাফ্ল রোযা পালনের মাধ্যমে রাছূলুল্লাহ 1 এর অনুসরণ করা, তাঁর প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করা এবং কোন অবস্থাতেই মীলাদ মাহ্ফিল বা ‘ঈদে মীলাদুন্নাবী ইত্যাদি বিদ‘আতী কর্মকান্ড না করা।
১১) মীলাদ মাহ্ফিল বা মীলাদুন্নাবী অনুষ্ঠান পালন কিংবা ‘ঈদে মীলাদুন্নাবী উদযাপন উপলক্ষে অনেক রকম শারী‘য়াত বিরোধী কর্মকান্ড সংঘটিত হয়ে থাকে। তন্মধ্যে মাত্র দু-তিনটি নিম্নে উল্লেখ করা হলো:-
(ক) মীলাদ মাহ্ফিলগুলোতে যেসব ক্বাসীদাহ্-গজল, না‘তে রাছূল ইত্যাদী পাঠ করা হয়, সেসবের বেশিরভাগের মধ্যে শিরকী শব্দ, বাক্য ও কথা-বার্তা ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া ওগুলোতে রাছূলুল্লাহ 1 এর প্রশংসায় মারাত্মক অতিরঞ্জন ও সীমালংঘন করা হয়ে থাকে। অথচ এসব বিষয় থেকে রাছূলুল্লাহ 1 কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন:-
لاَ تُطْرُونِي، كَمَا أَطْرَتْ النَّصَارَى ابْنَ مَرْيَمَ، فَإِنَّمَا أَنَا عَبْدُهُ، فَقُولُوا عَبْدُ اللَّهِ، وَرَسُولُهُ.رواه البخاري- ٣٤٤٥
অর্থ- আমার প্রশংসায় অতিরঞ্জন করো না যেভাবে নাসারাগণ মারইয়াম পুত্রের (‘ঈছা ইবনু মারইয়াম- এর) প্রশংসায় অতিরঞ্জন করেছিল। আমি তো কেবল তাঁর (আল্লাহ্র) বান্দাহ্ হই, অতএব তোমরা (আমাকে) বলো- “আল্লাহর বান্দাহ্ ও তাঁর রাছুল”।সাহীহ্ বুখারী- ৩৪৪৫
খ) অধিকাংশ মীলাদ মাহ্ফিলগুলোতে বিভিন্ন রকমের হারাম কর্ম-কান্ড সংঘটিত হয়ে থাকে। যেমন- তাতে নারী-পুরূষের সংমিশ্রণ, গান-বাজনা, নেশাজাতীয় দ্রব্য (মদ, গাজা ইত্যাদি) পান করা হয়ে থাকে। কখনো এসব মাহ্ফিলে রাছূলুল্লাহ্ 1 কিংবা অন্য কোন অলী-আউলিয়া এর নিকট আশ্রয় বা সাহায্য প্রার্থনার মাধ্যমে শির্কে আকবার করা হয়। সেখানে ক্বোরআনে কারীম তিলাওয়া্তের মাজলিছে বিড়ি-সিগারেট পান করা হয়, যেটি মুলত: ক্বোরআন অবমাননার শামিল। অনর্থক কাজে বিপুল পরিমান টাকা-পয়সা অপব্যয় ও অপচয় করা হয়। মীলাদুন্নাবী উদযাপনের দিনগুলোতে বিভিন্ন মাছজিদে উচ্চস্বরে-সমস্বরে তালে তাল মিলিয়ে, কোথাও কোথাও দেখা যায় হাতে জোরে জোরে তালি বাজিয়ে নানারকম বিকৃত (বিদ‘আতী) বানোয়াট যিকর-আযকারের আয়োজন করা হয়।
অথচ উপরোক্ত কার্যকলাপ যে আদৌ শারী‘য়াত সম্মত নয় বরং তা হারাম তথা নিষিদ্ধ- সে ব্যাপারে সকল হাক্বানী ‘উলামায়ে কিরাম একমত; এ বিষয়ে তাদের কারো কোন দ্বিমত নেই।দেখুন! আল ইবদা‘ ফী মাযা-র্রিল ইবতিদা‘-লিশ্ শাইখ ‘আলী মাহফুয
গ) অনেক জায়গায় মীলাদুন্নাবী মাহ্ফিলে আরেকটি জঘন্য কাজ করা হয়ে থাকে, আর তা হলো- রাছূলুল্লাহ 1 এর জন্মবৃত্তান্ত আলোচনার সময় তাঁর সম্মানে দাঁড়িয়ে যাওয়া। যারা এভাবে দাঁড়িয়ে যান বা ক্বিয়াম করেন, তাদের ধারণা বা বিশ্বাস হলো- রাছূলুল্লাহ 1 তাদের এই মাহ্ফিল বা মাজলিছে এসে উপস্থিত হন। আর তাই তারা তাঁকে স্বাগত ও শ্রদ্ধা জানাতে দাড়িয়ে যান। অথচ তাদের এই বিশ্বাসটি হলো অত্যন্ত জঘন্য একটি ‘আক্বীদাহ্-বিশ্বাস। কেননা মৃত্যুর পর ক্বিয়ামাতের আগ পর্যন্ত রাছূলুল্লাহ্ 1 স্বীয় ক্ববর থেকে বের হবেন না, কোন লোকের সাথে যোগাযোগ করবেন না এবং মানুষের কোন মাহ্ফিল, মাজলিছ বা সম্মেলনে উপস্থিত হবেন না। তিনি ক্বিয়ামাত পর্যন্ত স্বীয় ক্ববরেই অবস্থান করবেন। আর তাঁর মুবারাক রূহ্ তাঁর মহান প্রতিপালক আল্লাহর নিকট আ‘লা ‘ইল্লিয়্যীনে দারুল কারামাহ্ বা সম্মানিত গৃহে রয়েছে।দেখুন! আত্তাহযীর মিনাল বিদ‘য়ি- লিল ‘আল্লামা আব্দুল ‘আযীয ইবনু বায
ক্বোরআনে কারীমে আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেন:-
ثُمَّ إِنَّكُمْ بَعْدَ ذَلِكَ لَمَيِّتُونَ . ثُمَّ إِنَّكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ تُبْعَثُونَ.سورة المؤمنون- ١٥-١٦
অর্থাৎ:- এরপর অবশ্যই তোমরা মৃত্যুবরণ করবে। অতঃপর ক্বিয়ামাতের দিন তোমরা পূনরুত্থিত হবে।ছূরা আল মু’মিনূন- ১৫-১৬
রাছূলুল্লাহ 1 বলেছেন:-
أَنَا سَيِّدُ وَلَدِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَأَوَّلُ مَنْ يَنْشَقُّ عَنْهُ الْقَبْرُ، وَأَوَّلُ شَافِعٍ وَأَوَّلُ مُشَفَّعٍ.صحيح مسلم- ٢٢٧٨
অর্থ- আমি ক্বিয়ামাতের দিনে আদম-সন্তানের নেতা থাকব। আমার ক্ববরই সর্বপ্রথম বিদীর্ণ হবে (আমিই সর্বপ্রথম ক্ববর থেকে উত্থিত হবো)। আমিই হবো প্রথম সুপারিশকারী এবং সর্বাগ্রে আমার সুপারিশই গৃহীত হবে।সাহীহ্ মুছলিম- ২২৭৮
উপরোক্ত আয়াত, হাদীছ এবং এর সমার্থক আরো যেসব আয়াত ও হাদীছ রয়েছে- সবগুলোই প্রমাণ করে যে, রাছূলুল্লাহ 1 এবং অন্যান্য সকল মৃত ব্যক্তি ক্বিয়ামাতের দিন নিজ নিজ ক্বাব্র থেকে বের হবেন। কোন অবস্থাতেই এর আগে নয়। এমনকি রাছূলুল্লাহ্ও (1) ঐদিনই ক্বাব্র থেকে বের হবেন, প্রথমে তাঁর ক্বাব্র-ই বিদীর্ণ হবে এবং তিনিই সর্বপ্রথম ক্বাব্র থেকে উঠবেন।
আশ্ শাইখ আল ‘আল্লামা আব্দুল আযীয ইবনু বায o বলেছেন যে, উপরোক্ত বিষয়ে (সকল কালের সকল যুগের) সকল ‘উলামায়ে কিরামের ঐকমত্য রয়েছে। এ সম্পর্কে তাদের কারো কোন দ্বিমত নেই।দেখুন! আত্ তাহ্যীর মিনাল বিদ‘য়ি- লিশ্ শাইখ আল ‘আল্লামা আব্দুল আযীয ইবনু বায, পৃষ্ঠা নং ৭-১৪। আল ইবদা‘ ফী মাযাররিল ইবতিদা‘- লিশ্ শাইখ ‘আলী মাহ্ফুয, পৃষ্ঠা নং-২৫০-২৫৮। আত্তাবার্রুক ওয়া আনওয়া‘উহু- লিশ্ শাইখ ড. নাসির ইবনু ‘আব্দির রাহ্মান আল জুদাই‘, পৃষ্ঠা নং- ৩৫৮-৩৭৩। তাম্বীহু উলিল আবসার ইলা কামালিদ্ দ্বীন ওয়ামা ফিল বিদ‘য়ি মিন আখত্বার- লিশ্ শাইখ ড. সালিহ্ আছ্ ছুহাইমী, পৃষ্ঠা নং-২২৮-২৫০
উপরোক্ত কারণ ও দালীল-প্রমাণের ভিত্তিতে সুদৃঢ়ভাবে প্রমাণিত হয় যে, রাছূলুল্লাহ 1 এর জন্মদিন বা জন্মবার্ষিকী আনুষ্ঠানিকভাবে কিংবা বিশেষভাবে পালন করা কিংবা ‘ঈদে মীলাদুন্নাবী পালন বা উদযাপন করা দ্বীনে ইছলামে নব-আবিষ্কৃত একটি বিদ‘আত ও শারী‘য়াত বহির্ভূত কাজ- যা অবশ্যই বর্জনীয়।
সূত্র: নুরুছ্ ছুন্নাহ ওয়া যুলুমাতুল বিদ‘আহ