ক্বোরবানী বিষয়ক কতিপয় প্রশ্ন-উত্তর: শাইখ ‘উছাইমীন (رحمه الله)/শাইখ ইবনু বায (رحمه الله)

প্রশ্নঃ- কয়েকজন মিলে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে একটি পশু ক্বোরবানী করা কি জা-ইয?
উত্তরঃ- একটি উট অথবা একটি গরু সর্বোচ্চ সাতজন মুছলিম মিলে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ক্বোরবানী করা জা-ইয। আর এটাই হলো অধিকাংশ আয়িম্মায়ে কিরাম ও ‘উলামায়ে কিরামের (رحمهم الله) অভিমত।
(তবে এক অংশের ভগ্নাংশ করা যাবে না। যে কারণে দুইজন মিলে এক অংশ কিংবা তিনজন মিলে দুই অংশ এরূপ করা যাবে না, অনুরূপ ছাগল, দুম্বা কিংবা ভেড়ি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ক্বোরবানী করা যাবে না, সেটা যত

গরু-ছাগল যবেহ্‌ করার ছুন্নাহসম্মত পদ্ধতি: শাইখ ইবনি বায (رحمه الله)

* ক্বোরবানীর পশু যবেহ্‌ করার আগে ছুরি বা চাকুটি খুব ভালো করে ধার করে নিতে হবে, যাতে সহজেই যবেহ্‌ করা যায়। ‘উলামায়ে কিরামের অনেকে একাজটিকে ওয়াজিব বা আবশ্যকীয় বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। কেননা, আবূ ইয়া‘লা শাদ্দাদ ইবনু আউছ رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, রাছূলুল্লাহ صلى الله عليه وسلم বলেছেন:-

إنَّ اللَّهَ كَتَبَ الْإِحْسَانَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ، فَإِذَا قَتَلْتُمْ فَأَحْسِنُوا الْقِتْلَةَ، وَإِذَا ذَبَحْتُمْ فَأَحْسِنُوا الذِّبْحَةَ، وَلْيُحِدَّ أَحَدُكُمْ شَفْرَتَهُ، وَلْيُرِحْ ذَبِيحَتَهُ. (رَوَاهُ مُسْلِمٌ)

আশ্‌ শাইখ রাবী‘ ইবনুল হাদী আল মাদখালী (حفظه الله) এর অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি নাসীহাহ

আল ‘আল্লামা আশ্‌ শাইখ রাবী ইবনুল হাদী আল মাদখালী (حفظه الله) বলেছেনঃ- এমনিভাবে আমি তোমাদেরকে ওসিয়্যাত করছি, তোমরা তোমাদের পারস্পরিক আচরণে হিকমাহ বা প্রজ্ঞা অবলম্বন করো আর এমনসব প্রশ্ন করা বর্জন করো যেগুলো বিদ্ধেষ তৈরি করে এবং পরচর্চা বা পরনিন্দার পথে নিয়ে যায়।

আল্লাহ্‌র শপথ, এ বিষয়টি ক্ষতি করেছে। আমি এখন আমার ফোন বন্ধ করে রেখেছি। আমি কোন প্রশ্ন নিচ্ছি না। কারণ আমি দেখেছি যে, এসব প্রশ্নই আগা-গোড়াহীন (আদি-অন্তহীন) অনেক সমস্যার কারণ হয়েছে।

আউলিয়া কারা? আশ্‌শাইখ ‘আব্দুর্‌ রায্‌যাক্ব ইবনু ‘আব্দিল মুহ্‌ছিন আল ‘আব্বাদ আল বাদ্‌র حَفِظَهُ اللهُ

নিশ্চয় সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র (سبحانه وتعالى)। আমরা তাঁরই প্রশংসা করি,তাঁর কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি,তাঁর নিকটই ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং তাঁর দিকেই প্রত্যাবর্তন করি। আমরা আল্লাহ্‌র (سبحانه وتعالى) নিকট আমাদের নাফ্‌ছের অনিষ্ট থেকে এবং আমাদের কর্মের মন্দ কুফল থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আল্লাহ যাকে হিদায়াত করেন তাকে পথভ্রষ্ট করার কেউ নেই, আর যাকে তিনি পথভ্রষ্ট করেন তাকে হিদায়াত করার কেউ নেই। আমি সাক্ষ্য প্রদান করছি যে,আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোন মা‘বূদ নেই। তিনি একক,তাঁর কোন শরীক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,মুহাম্মাদ صلى الله عليه وسلم আল্লাহ্‌র বান্দাহ ও রাছূল। তিনি হলেন আল্লাহ্‌র বাছাইকৃত,তাঁর অতি প্রিয় এবং তাঁর অহীর উপর (মানবজাতির জন্য রাছূলুল্লাহ صلى الله عليه وسلم এর প্রতি নাযিলকৃত আল্লাহ্‌র বার্তার বিষয়ে) অত্যন্ত বিশ্বস্থ এবং মানবজাতিকে আল্লাহ্‌র শারী‘য়াত তথা তাঁর প্রবর্তিত বিধান পৌঁছে দেয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত।
তিনি (রাছূলুল্লাহ صلى الله عليه وسلم) মানবজাতির জন্য কল্যাণকর এমন কোন বিষয় অবশিষ্ট রাখেননি,যা তিনি তাঁর উম্মাতকে অবহিত করেননি এবং এমন কোন অনিষ্টকর বিষয় অবশিষ্ট রাখেননি,যা থেকে তিনি স্বীয় উম্মাতকে সতর্ক করেননি। তিনি প্রতিটি বিষয় অত্যন্ত সুস্পষ্ঠভাবে পৌঁছিয়েছেন এবং মৃত্যু পর্যন্ত আল্লাহ্‌র পথে প্রাণপণ চেষ্টা করে গেছেন।

 

হাজ্ব ও ‘উমরাহর রুক্‌ন সমূহ

‘ইবাদতের ক্ষেত্রে রুক্‌ন বলা হয় সেই সব কাজ বা বিষয়কে, যেগুলো পালন ব্যতীত ‘ইবাদত বাতিল হয়ে যায় এবং ‘ইবাদত সঠিক বা বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য যেগুলো সম্পাদনের কোন বিকল্প নেই।

হাজ্জ কার উপর ফার্‌য? হাজ্জ ফার্‌য হওয়ার জন্য শর্ত কয়টি ও কি কি?

হাজ্জ ফার্‌য হওয়ার জন্য পুরুষদের ক্ষেত্রে পাচটি এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত আরো একটি অর্থাৎ ৬টি শর্ত রয়েছে। এই শর্তগুলো একত্রে একসাথে যখনই যার মধ্যে পাওয়া যাবে, সাথে সাথে তার উপর হাজ্ব সম্পাদন করা ফার্‌য হয়ে যাবে।

এ কথার প্রমাণ হলোঃ- ইবনে ‘আব্বাছ رضي الله عنه থেকে বর্ণিত হাদীছ- রাছূলুল্লাহ صلى الله عليه وسلم বলেছেনঃ-

تعجلوا إلى الحج فإن أحكم لايدرى مايعرض له. (رواه الإمام أحمد)

অর্থাৎ:- তোমরা হাজ্ব আদায়ে দ্রুত এগিয়ে যাও, কেননা তোমাদের কেউই জানে না যে তার সামনে কি আসবে। (অর্থাৎ, সে কি অবস্থার সম্মুখিন হবে, আগামীতে তার হাজ্ব আদায়ের সামর্থ থাকবে কি – না।) (মুছনাদে ইমাম আহমাদ)

সারা জীবনে একবার মাত্র হাজ্জ আদা করা ফার্‌য। এ কথার প্রমাণ হলো-ইবনু ‘আব্বাছ رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, আক্বরা‘ বিন হাবিছ رضي الله عنه রাছূলুল্লাহ্‌কে (صلى الله عليه وسلم) জিজ্ঞেস করেছিলেনঃ-

يا رسول الله الحج في كل سنة أو مرة واحدة؟ قال ‏ ‏بل مرة واحدة فمن زاد فهو تطوع. (أخرجه أبو داود‏)

অর্থাৎ:- হে আল্লাহ্‌র রাছূল ! হাজ্ব কি প্রতি বছর, না একবার? রাছূলুল্লাহ صلى الله عليه وسلم বললেনঃ- (প্রতি বছর নয়) বরং একবার, সুতরাং যে একাধিকবার করবে সেটা হবে নাফল। (আবূ দাঊদ)

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close