পাঁচ ওয়াক্বত ফার্‌য সালাত

ইছলাম ছাড়া ঈমান অর্থহীন। ইছলাম হলো- যাবতীয় শির্‌কী কার্যাবলী থেকে মুক্ত থেকে আল্লাহ্‌কে (0) একক ও অদ্বিতীয় বলে মনে-প্রাণে বিশ্বাস ও স্বীকার করা এবং রাছূলুল্লাহ 1 এর নির্দেশিত পন্থায় আল্লাহ্‌র আনুগত্যের মাধ্যমে তাঁর প্রতি পরিপূর্ণরূপে আত্মসমর্পণ করা। মানবজাতির জন্য আল্লাহ্‌র মনোনীত একমাত্র সঠিক পথ বা দ্বীন হলো ইছলাম। এই সরল-সঠিক পথ অনুসরণের মাধ্যমে ইহ-পরকালীন মুক্তি ও সফলতা লাভের জন্যে অবশ্যই সর্বাগ্রে সঠিক ও বিশুদ্ধভাবে এ পথ (দ্বীনে ইছলাম) সম্পর্কে জানতে হবে।

সব গুলো প্রবন্ধ দেখতে এখানে ক্লিক করুন

নামাযের ভিতরের রুক্‌ন বা ফার্‌য সমূহ

নামাযের ভিতরে মোট ১১টি রুক্‌ন বা ফার্‌য কর্ম রয়েছে। ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় এগুলোর কোন একটি বাদ পড়ে গেলে নামায বাত্বিল হয়ে যাবে।

রুক্‌নগুলো হলো যথা:-

(১) তাকবীরে তাহ্‌রীমাহ বলা। এর প্রমাণ হলো- রাছূল صلى الله عليه وسلم বলেছেন:-

مِفْتَاحُ الصَّلَاةِ الطُّهُورُ، وَتَحْرِيمُهَا التَّكْبِيرُ، وَتَحْلِيلُهَا التَّسْلِيمُ. (مسند أحمد, أبو داؤد, ترمذى, إبن ماجة)

সালাত ফার্‌য হওয়ার জন্য শর্ত কয়টি ও কি কি?

সালাত ফার্‌য হওয়ার জন্য রয়েছে ৩টি শর্ত। এ তিনটি শর্ত একত্রে একসাথে যার মধ্যে পাওয়া যাবে তার উপর সালাত ফার্‌য।

শর্তগুলো হলো যথা:-

(এক) মুছলমান হওয়া।

শুধু সালাতই নয় বরং অন্যান্য যে কোন ‘ইবাদাতের ক্ষেত্রেই মুছলমান হওয়া পূর্বশর্ত। কেননা ইছলাম ছাড়া কোন ‘ইবাদাতই আল্লাহ্‌র (جل وعلا) নিকট গ্রহণযোগ্য নয়।

সালাত সঠিক হওয়ার জন্য শর্ত কয়টি ও কি কি?

সালাত সঠিক হওয়ার জন্য সালাত পূর্ববর্তী তথা সালাতের বাইরে ৬টি শর্ত রয়েছে। এগুলো যথাযথভাবে পূরণ না করলে নামায সঠিক হবে না, এমনকি এই শর্তগুলোর মধ্য হতে একটি শর্তও যদি না পাওয়া যায়, তাহলে সালাত বাত্বিল বলে গণ্য হবে।

শর্তগুলো হলো যথা:-

(এক) সালাতের সময় হয়েছে বলে অবগত হওয়া। কেননা সালাত হলো এমন একটি ফার্‌য কর্ম যা সময়ের সাথে সম্পর্কিত এবং সময় নির্ভর।

সালাতের মধ্যে ওয়াজিব হলো সাতটি

সালাতের মধ্যে ওয়াজিব হলো সাতটি। এসব ওয়াজিবের মধ্যে যে কোন একটি কেউ যদি ইচ্ছা পূর্বক ছেড়ে দেয় তাহলে তার নামায বাতিল হয়ে যাবে এবং পুনরায় নতুন করে ঐ সালাত আদা করতে হবে। আর যদি ভুল বশতঃ নামাযের কোন ওয়াজিব বাদ পড়ে যায়, তাহলে “ছাহু ছাজদাহ” করে নিলে সেই নামায শুদ্ধ হয়ে যাবে।
(এক) তাকবীরে তাহ্‌রীমাহ ব্যতীত নামাযের অন্যান্য তাকবীর সমূহ। কেননা রাছূল তা কখনো পরিত্যাগ করেননি।

(দুই) রুকূ‘ হতে উঠার সময় ইমাম ও মুনফারিদের (একাকী নামায আদায়কারীর) “سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ” (ছামি‘আল্লাহু লিমান হামিদাহ) বলা। এর প্রমাণ হলো:- আবূ হুরায়রাহ رضي الله عنه থেকে বর্ণিত-

كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ حِينَ يَرْفَعُ صُلْبَهُ مِنَ الرُّكُوعِ. (رواه مسلم)

সব গুলো ফাতাওয়া দেখতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের সমাজে অনেকেই সালাতে দাঁড়িয়ে ক্বিবলামুখী হয়ে তাকবীরে তাহ্‌রীমাহ বলার আগেই এই বাক্যগুলো…

উক্ত যিক্‌রটি তাকবীরে তাহ্‌রীমাহ্‌র আগে নয়, পরে পাঠ করা মুছতাহাব্ব। এটি সালাতের প্রারম্ভিক বা সালাত আরম্ভ করার যিক্‌র হিসেবে রাছূলুল্লাহ صلى الله عليه وسلم হতে বর্ণিত রয়েছে। ‘আলী رضي الله عنه হতে বর্ণিত যে, রাছূলুল্লাহ صلى الله عليه وسلم মাঝে মধ্যে সালাতে দাঁড়িয়ে তাকবীরে তাহ্‌রীমাহ বলার পর-

“وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ حَنِيفًا، وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ، إِنَّ صَلَاتِي، وَنُسُكِي، وَمَحْيَايَ، وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ، لَا شَرِيكَ لَهُ، وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ”

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close