আত্ তাযকিয়াহ ওয়াত্ তাসফিয়াহ

দ্বীনের যে তিনটি স্তর রয়েছে তার সর্বোচ্চ স্তর হচ্ছে- আল ইহ্‌ছান। ঈমান ও ইছলামের সিঁড়ি বেয়ে মানযিলে মাক্বসূদে পৌঁছার পথ ও মাধ্যম হলো ইহ্‌ছান। তাই গন্তব্যে পৌঁছাতে হলে কিংবা উদ্দেশ্য সাধন করতে হলে অবশ্যই সঠিকভাবে ইহ্‌ছান অনুশীলন করতে হবে। আর সঠিক অনুশীলনের জন্য প্রয়োজন বিষয়টি সম্পর্কে সর্বাগ্রে সঠিক জ্ঞান।

সব গুলো প্রবন্ধ দেখতে এখানে ক্লিক করুন

আউলিয়া কারা? আশ্‌শাইখ ‘আব্দুর্‌ রায্‌যাক্ব ইবনু ‘আব্দিল মুহ্‌ছিন আল ‘আব্বাদ আল বাদ্‌র حَفِظَهُ اللهُ

নিশ্চয় সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র (سبحانه وتعالى)। আমরা তাঁরই প্রশংসা করি,তাঁর কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি,তাঁর নিকটই ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং তাঁর দিকেই প্রত্যাবর্তন করি। আমরা আল্লাহ্‌র (سبحانه وتعالى) নিকট আমাদের নাফ্‌ছের অনিষ্ট থেকে এবং আমাদের কর্মের মন্দ কুফল থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আল্লাহ যাকে হিদায়াত করেন তাকে পথভ্রষ্ট করার কেউ নেই, আর যাকে তিনি পথভ্রষ্ট করেন তাকে হিদায়াত করার কেউ নেই। আমি সাক্ষ্য প্রদান করছি যে,আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোন মা‘বূদ নেই। তিনি একক,তাঁর কোন শরীক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,মুহাম্মাদ صلى الله عليه وسلم আল্লাহ্‌র বান্দাহ ও রাছূল। তিনি হলেন আল্লাহ্‌র বাছাইকৃত,তাঁর অতি প্রিয় এবং তাঁর অহীর উপর (মানবজাতির জন্য রাছূলুল্লাহ صلى الله عليه وسلم এর প্রতি নাযিলকৃত আল্লাহ্‌র বার্তার বিষয়ে) অত্যন্ত বিশ্বস্থ এবং মানবজাতিকে আল্লাহ্‌র শারী‘য়াত তথা তাঁর প্রবর্তিত বিধান পৌঁছে দেয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত।
তিনি (রাছূলুল্লাহ صلى الله عليه وسلم) মানবজাতির জন্য কল্যাণকর এমন কোন বিষয় অবশিষ্ট রাখেননি,যা তিনি তাঁর উম্মাতকে অবহিত করেননি এবং এমন কোন অনিষ্টকর বিষয় অবশিষ্ট রাখেননি,যা থেকে তিনি স্বীয় উম্মাতকে সতর্ক করেননি। তিনি প্রতিটি বিষয় অত্যন্ত সুস্পষ্ঠভাবে পৌঁছিয়েছেন এবং মৃত্যু পর্যন্ত আল্লাহ্‌র পথে প্রাণপণ চেষ্টা করে গেছেন।

 

সব গুলো অডিও শুনতে এখানে ক্লিক করুন

ড. আশ্‌শাইখ রাবী‘ ইবনু হাদী আলমাদখালী রচিত “অন্তর থেকে অন্তরে” (২য় পর্ব)

এই অডিওটি “মিনাল ক্বালব ইলাল ক্বালব” (অন্তর থেকে অন্তরে) শিরোনামে আশ্‌শাইখ আল ‘আল্লামা রাবী‘ ইবনু হাদী আল মাদখালী حفظه الله প্রদত্ত অত্যন্ত মুল্যবান একটি ভাষণের বাংলা ধারাবাহিক অনুবাদ। এই পর্বে নিম্নোক্ত বিষয়াদী সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে:-
১) প্রথম পর্বের সংক্ষিপ্ত পূণঃআলোচনা
২) ক্বালবে ছালীম বা সরল-সঠিক অন্তরের পরিচয় সম্পর্কে আরো কিছু আলোচনা।
৩) অন্তরকে সরল-সঠিক তথা ছালীম বানানোর এবং বক্রতা থেকে হিফাযাতের কিছু শর্ত ও নিয়ম-নীতি।
৪) আবূ ছা‘ঈদ আল খুদরী رضي الله عنه বর্ণিত হাদীছের ব্যাখ্যা।
৫) সত্য অবলম্বন না করার কুফল।
৬) যাবতীয় ‘ইবাদাতে ইখলাসের আবশ্যকতা।

ড. আশ্‌শাইখ রাবী‘ ইবনু হাদী আলমাদখালী রচিত “অন্তর থেকে অন্তরে” (৩য় পর্ব)

এই অডিওটি “মিনাল ক্বালব ইলাল ক্বালব” (অন্তর থেকে অন্তরে) শিরোনামে আশ্‌শাইখ আল ‘আল্লামা রাবী‘ ইবনু হাদী আল মাদখালী حفظه الله প্রদত্ত অত্যন্ত মুল্যবান একটি ভাষণের বাংলা ধারাবাহিক অনুবাদ। এই পর্বে নিম্নোক্ত বিষয়াদী সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে:-
১) দ্বিতীয় পর্বে আলোচিত “ইখলাস” সম্পর্কে চমৎকার ধারাবাহিক আলোচনা।
২) প্রতিটি ভালো কাজে ইখলাস থাকতে হবে এবং সকল নেক ‘আমাল একমাত্র আল্লাহ্‌র (سبحانه وتعالى) জন্যেই করতে হবে।
৩) ‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘উমার رضي الله عنها বর্ণিত হাদীছের ব্যাখ্যা।
৪) মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে খাঁটিভাবে শুধুমাত্র আল্লাহ্‌র (سبحانه وتعالى) ‘ইবাদাত করার জন্যে। যদি কেউ খালিসভাবে শুধুমাত্র আল্লাহ্‌র (عز وجل) ‘ইবাদাত করে, তাহলে সে ইহ ও পরকালে প্রতিদান লাভ করবে।
৫) ইখলাস তথা অন্তরের বিশুদ্ধতা অর্জনের জন্য ব্যক্তিকে আল্লাহ عز وجلসম্পর্কে জ্ঞান, আল্লাহ্‌র (جل وعلا) প্রতি ভয় এবং তাঁর প্রতি অগাধ 

ইহকালীন জীবন

এটি উছতায হাম্মাদ বিল্লাহ حفظه الله প্রদত্ত মানুষের ইহ-পরকালীন জীবন সম্পর্কে অত্যন্ত মূল্যবান একটি ভাষণ। এতে তিনি বলেছেন যে, কত মানুষই তো তার ইহকালীন অতি সংক্ষিপ্ত এই জীবনকে ভুলপথে পরিচালিত করে। সে তার গোঁটা জীবনকে দুন্‌ইয়ার সংক্ষিপ্ত জীবনের আরাম-‘আয়েশ আর ভোগ-বিলাসের পিছনে ব্যয় করে, অথচ সে তার আখিরাতের অনন্ত জীবনের কথা দিব্যি ভুলে যায়। সবমিলিয়ে এই ভাষণটি একটি চমৎকার উপদেশ; এটি মানুষকে আখিরাতের কথা স্মরণ করিয়ে দেবে إن شاء الله।

ড. আশ্‌শাইখ রাবী‘ ইবনু হাদী আলমাদখালী রচিত “অন্তর থেকে অন্তরে” (১ম পর্ব)

এই অডিওটি “মিনাল ক্বালব ইলাল ক্বালব” (অন্তর থেকে অন্তরে) শিরোনামে আশ্‌শাইখ আল ‘আল্লামা রাবী‘ ইবনু হাদী আল মাদখালী حفظه الله প্রদত্ত অত্যন্ত মুল্যবান একটি ভাষণের বাংলা ধারাবাহিক অনুবাদ। এই পর্বে নিম্নোক্ত বিষয়াদী সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে:-
১) শাইখ রাবী‘ حفظه الله প্রদত্ত ভূমিকা
২) মানুষের অন্তর দুই প্রকার হয়ে থাকে:-

(ক) এক আল্লাহ্‌-তে (سبحانه وتعالى) বিশ্বাসী ঈমানদার অন্তর, যেটি অত্যন্ত সুস্থ, সবল, সঠিক, সুন্দর, আল্লাহ্‌র (جل وعلا) প্রতি আনুগত্যশীল এবং আল্লাহ্‌র প্রতি ভয় পোষণকারী।
(খ) উপরোক্ত প্রথম প্রকারের সম্পূর্ণ বিপরীত অন্তর। যেটি অত্যন্ত শক্ত, রুদ্ধ, পর্দাঢাকা-অন্ধকারাচ্ছন্ন, হিদায়াত তথা আল্লাহ عز وجل প্রদর্শিত সঠিক-সরল পথ থেকে দূরে, যে অন্তরে আল্লাহ্‌র (عز وجل) প্রতি ভয়-ভীতি নেই।

৩) ছূরা বাক্বারাহ্‌র প্রারম্ভিক আয়াতসমূহ থেকে গৃহীত ঈমানদার অন্তর, মুনাফিক্ব ও কাফির অন্তরের বিবরণ। এখানে এ বিষয়গুলোর জ্ঞানগর্ব ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে।

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close