চারটি বিষয় সম্পর্কে শিক্ষা অর্জন করা আমাদের উপর ওয়াজিব। এগুলো হলো-
* ‘ইল্ম বা জ্ঞান। আর তা হলো আল্লাহ্কে (0), তাঁর নাবীকে (1) এবং দ্বীনে ইছলামকে দালীল-প্রমাণ সহকারে চেনা ও জানা। দ্বিতীয়টি হলো- এই ‘ইল্ম অনুযায়ী ‘আমাল করা। তৃতীয়টি হলো- এর প্রতি মানুষকে আহবান করা। চতুর্থটি হলো- উপরোক্ত তিনটি কাজ করতে যেয়ে আপতিত যন্ত্রণা ও দুঃখ-কষ্টে ধৈর্যধারণ করা। এ চারটি বিষয় সম্পর্কে যথাক্রমে জ্ঞানলাভ করা প্রত্যেক মুছলমানের উপর ওয়াজিব। এ কথার প্রমাণ হলো ছূরাতুল ‘আস্র। এ ছূরায় আল্লাহ 0 ‘আস্র যা যুগের শপথ করে বলেছেন যে, সকল মানুষই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে, তবে যারা এ চারটি গুণে গুণান্বিত হবে তারা উপরোক্ত ক্ষতির আওতাধীন নয়। একজন লোক যখন এ চারটি গুণে সঠিকভাবে গুণান্বিত হয়ে যাবে, তখনই সে রাব্বানিয়্যীন তথা আল্লাহ ওয়ালাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।
* ‘আমাল- যে ব্যক্তি ‘ইল্ম ছাড়া ‘আমাল করল সে নাসারা তথা খৃষ্টানদের অনুকরণ করল এবং যে ব্যক্তি শুধুমাত্র ‘ইল্ম অর্জন করল কিন্তু তদনুযায়ী ‘আমাল করল না সে ইয়াহদীদের অনুকরণ করল।
* দা‘ওয়াত:- আল্লাহ্র (0) অপার অনুগ্রহে যখনই কোন মানুষ তার মহান মা‘বূদকে (আল্লাহকে), তার নাবীকে এবং তার দ্বীনকে জানতে ও চিনতে পারে, তখন থেকেই সমাজের অন্যান্য লোকজনকে আল্লাহ্র দিকে আহবান করার মাধ্যমে তাদেরকে ধংসের হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা করা এবং তাদেরকে কল্যাণের সুসংবাদ প্রদান করা তার কর্তব্য হয়ে যায়।
* সব্র বা ধৈর্য- আল্লাহ্র আনুগত্যের উপর নাফ্ছকে অটল ও অবিচল রাখা, নাফ্ছকে আল্লাহ্র নাফরমানী অর্থাৎ অবাধ্যতা থেকে বিরত রাখা এবং তাকে আল্লাহ্র সিদ্ধান্ত বা ফয়সালা সমূহের ব্যাপারে ক্রোধান্বিত, অসন্তষ্ট বা বিরক্ত হওয়া থেকে বিরত ও নিবৃত রাখা।
আল্লাহ্কে সুদৃঢ়ভাবে জানা বা তাঁর পরিচয় লাভ করা- অন্তর দিয়ে আল্লাহ্কে এমনভাবে জানা বা তাঁর পরিচয় লাভ করা, যা তাঁর প্রবর্তিত বিষয়াদিকে গ্রহণ করতে, তাঁর প্রতি পূর্ণ আনুগত্যশীল হতে এবং তাঁর রাছূল মুহাম্মাদ 1 এর নিয়ে আসা শারী‘য়াতকে চূড়ান্ত বিধান হিসেবে মেনে নিয়ে জীবনের সর্বক্ষেত্রে সর্বাবস্থায় তা বাস্তবায়ন করতে তাকে বাধ্য করে।
রাছূলকে (1) সুদৃঢ়ভাবে জানা ও তাঁর পরিচয় লাভ করা- আল্লাহ্র রাছূলকে এমনভাবে চেনা ও জানা, যা তাঁর নিয়ে আসা সরল-সঠিক পথ ও সত্য ধর্মকে গ্রহণ করতে, আল্লাহর তরফ থেকে তিনি যে সব বার্তা পৌঁছিয়েছেন সেসব বিষয়ে তাঁকে সত্য বলে স্বীকার করতে, তাঁর যাবতীয় আদেশ যথাযথভাবে পালন করতে, তিনি যা কিছু থেকে নিষেধ ও সর্তক করেছেন সেগুলোকে পরিহার ও বর্জন করতে, তাঁর অনুসৃত শারী‘য়াতকে জীবনের সর্বক্ষেত্রে মেনে চলতে এবং তাঁর সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সন্তুষ্টি প্রকাশ করতে অন্তরকে অনুপ্রাণিত ও বাধ্য করে।
দ্বীনকে সঠিক ও সুদৃঢ়ভাবে জানা- সাধারণ অর্থে ইছলাম হলো- আল্লাহ 0 কর্তৃক এ পৃথিবীতে নাবী-রাছূল (m) প্রেরণের প্রারম্ভিক যুগ হতে ক্বিয়ামাত পর্যন্ত তাঁরই নির্ধারিত ও নির্দেশিত পন্থার অর্থাৎ শারী‘য়াতের প্রতি পূর্ণ বিনয় ও আনুগত্য প্রদর্শন করা।
বিশেষ অর্থে ইছলাম হলো তিনটি বিষয়ের সমষ্টির নাম- (১) আল্লাহ্র এককত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আল্লাহ্র নিকট আত্মসমর্পণ করা (২) আল্লাহ্র আনুগত্যের মাধ্যমে তাঁর বশ্যতা স্বীকার করা (৩) শির্ক ও মুশরিকদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা।
উল্লেখিত তিনটি মৌলনীতি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা প্রতিটি মানুষের অবশ্য কর্তব্য। কেননা প্রতিটি মানুষ যখনই সে ক্বব্রে শায়িত হবে এবং তাকে রেখে দিয়ে যখন তার আত্মীয়-স্বজন ও সঙ্গি-সাথীরা চলে যাবে, তখনই তার নিকট দুজন ফিরিশতা আসবেন। তাঁরা তাকে বসাবেন, অতঃপর তাকে উপরোক্ত মৌলনীতিগুলো সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। ফিরিশতাদ্বয় (মুনকার ও নাকীর) তাকে জিজ্ঞেস করবেন- কে তোমার রাব্ (প্রতিপালক)? কি তোমার দ্বীন (ধর্ম)? এবং কে তোমার নাবী?
আপনি বই সংক্রান্ত আরও তথ্যের জন্য eshodinshikhi@gmail.com তে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন অথবা কল করুন:
সিলেট : +৮৮০১৭২৭ ০৫ ৩৫ ৮৪
ঢাকা: +৮৮০১৯৭৮ ১৪ ২৯ ১৪
আমেরিকা: +১৩৪৭ ৮৩৫ ১৫০৭