দালায়িলুন্‌ নাবুওয়্যাত বা নাবুওয়্যাতের প্রমাণাদী

ক্বোরআনে কারীমই হলো রাছূলুল্লাহ 1 এর নাবুওয়্যাতের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রমাণ। এই প্রমাণ ছাড়াও মাতৃগর্ভে থাকাকালীন সময় থেকে নিয়ে রাছূলুল্লাহ 1 এর জীবনে বিভিন্ন সময়ে এমন কতক অলৌকিক ঘটনাবলী সংঘটিত হয়েছে, যেগুলো সুস্পষ্টরূপে তাঁর নাবুওয়্যাতের ইঙ্গিত ও প্রমাণ বহন করে।

তন্মধ্যে নিম্নে কয়েকটি ঘটনার বিবরণ যথাসম্ভব সংক্ষেপে পেশ করা হলো:-

এক- রাছূলুল্লাহ 1 এর জন্মের বছরটিতে পবিত্র মাক্কাহ নগরী ও এর পাশ্ববর্তী এলাকাগুলোতে শিশু জন্মের হার ছিল সর্বনিম্ম। তাই দুগ্ধপোষণকারী মহিলারা প্রায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছিলেন। হালীমা ছা‘দিয়াহ f বর্ণনা করেন- আমি আমার স্বামী ও একটি দুগ্ধপোষ্য পুত্রকে সাথে নিয়ে একটি সাদা গাধার পিঠে চড়ে বনু সা‘দ এর একদল মহিলার সাথে দুধ-শিশুর সন্ধানে বের হই। ঐ মহিলারা সকলেই দুধ-শিশুর সন্ধানে ব্যস্ত ছিলেন। আমাদের সাথে ছিল আমাদের বয়স্ক একটি উট। সেটি এক ফোঁটা দুধও দিচ্ছিল না। আমাদের যে শিশু-সন্তানটি সাথে ছিল ক্ষুধার জ্বালায় সে এত বেশি কাঁদছিল যে, তার দরুন আমরা কেউই ঘুমাতে পারছিলাম না। তার ক্ষুধা মিটানোর মত দুধ আমার বুকেও ছিল না। বৃষ্টি ও স্বাচ্ছন্দ লাভের অধীর আগ্রহে আমরা অপেক্ষায় ছিলাম। এ অবস্থায় আমি নিজের গাধার পিঠে চড়ে বেরিয়ে পড়লাম। পথছিল দীর্ঘ এবং এক নাগাড়ে চলতে চলতে আমাদের গোটা কাফিলা ক্লান্ত ও অবসন্ন হয়ে পড়ল। অবশেষে আমরা দুধ-শিশুর খোঁজে মাক্কায় এসে হাযির হলাম। আমাদের প্রত্যেককেই মুহাম্মাদ-কে (1) দুধ শিশু রূপে গ্রহণ করতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু যখনই বলা হয় যে, তিনি পিতৃহীন তখন প্রত্যেকেই তাকে নিতে অপছন্দ ও অপারগতা প্রকাশ করে। কারণ আমরা দুগ্ধপোষণকারী মহিলারা প্রত্যেকেই শিশুর পিতার কাছ থেকে উত্তম পারিতোষিক প্রত্যাশা করতাম। তাই মুহাম্মাদ 1 সম্পর্কে আমরা প্রত্যেকেই এ ধারণা পোষণ করতাম যে, তিনি হলেন পিতৃহীন শিশু। শিশুর মা আর দাদা কিইবা পারিতোষিক দিতে পারবে। এ কারণে আমরা কেউই তাঁকে গ্রহণ করা পছন্দ করছিলাম না। ইতিমধ্যে আমার সাথে আগত সকল মহিলাই একটা না একটা দুধ-শিশু পেয়ে গেল। পেলাম না শুধু আমি। খালি হাতেই ফিরে যাব বলে যখন মনস্থির করেছি, তখন আমি আমার স্বামীকে বললাম- আল্লাহ্‌র ক্বছম, যেখানে আমার সহযাত্রী প্রত্যেকেই একটা না একটা শিশু নিয়ে যাচ্ছে, সেখানে আমার সম্পূর্ণ খালি হাতে ফিরে যেতে মোটেই ভাল লাগছে না। আল্লাহ্‌র শপথ! আমি ঐ ইয়াতীম শিশুটাকেই (মুহাম্মাদ-কেই) নিয়ে যাব।

আমার স্বামী বললেন- হ্যাঁ, তুমি তাকে নিতে পার, হয়তো আল্লাহ ওর মধ্যেই আমাদের জন্য কল্যাণ রেখেছেন।

হালীমা ছা‘দিয়াহ f বলেন, মূলতঃ অন্য শিশু না পাওয়ার কারণে আমি বাধ্য হয়ে তাকে নিয়ে এসেছিলাম। তাকে নিয়ে কাফিলার কাছে চলে গেলাম। যখন তাঁকে কোলে নিলাম তখন আমার স্তন দু‘টি দুধে ভর্তি হয়ে গেল। শিশু মুহাম্মাদ 1 ও তাঁর দুধভাই পেট ভরে দুধ খেলেন। অতঃপর শিশু মুহাম্মাদ 1 ঘুমিয়ে পড়লেন এবং তাঁর দুধভাই; সেই ছেলেটিও ঘুমিয়ে পড়ল, যার কান্না-কাটির জন্য এতদিন আমরা ঠিকমত ঘুমাতে পারছিলাম না। ওদিকে আমার স্বামী আমাদের সেই বুড়ো উষ্ট্রীটার কাছে যেতেই দেখলেন সেটির ওলান দুধে ভরপূর হয়ে আছে। অতঃপর তিনি প্রচুর পরিমাণে সেটি থেকে দুধ দোহন করলেন এবং আমরা দু‘জনে তৃপ্ত হয়ে দুধ পান করলাম। এরপর বেশ ভালোভাবেই আমাদের রাতটা কাটলো। সকল বেলা আমার স্বামী বললেন, “হালীমা, জেনে রেখো! তুমি এক মহাকল্যাণময় শিশু নিয়ে এসেছ”। আমি বললাম, বাস্তবিকই আমারও তাই মনে হচ্ছে।

এরপর আমরা রওয়ানা দিলাম। আমি গাধার পিঠে ছওয়ার হলাম। আমার গাধা গোটা কাফিলাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে চললো। কাফিলার কারো গাধাই তার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে সক্ষম হলো না। আমার সহযাত্রী মহিলারা বলতে লাগলো, “হে আবূ যুয়াইবের কন্যা! একটু দাঁড়াও এবং আমাদের জন্য অপেক্ষা করো। এটা কি তোমার সেই গাধা নয় যেটার পিঠে চড়ে তুমি এসেছিলে”। আমি তাদেরকে বললাম, হ্যাঁ, সেইটাই তো! তারা বললো, আল্লাহর ক্বছম, এখন এর অবস্থা পাল্টে গেছে।

ছফর শেষে আমরা বনি সা‘দ গোত্রে আমাদের নিজ নিজ গৃহে এসে হাযির হলাম। আমাদের এই এলাকার মত খরাপীড়িত এলাকা দুনিয়ার আর কোথাও ছিল বলে আমার জানা ছিল না। শিশু মুহাম্মাদকে নিয়ে বাড়ী পৌঁছার পরে প্রতিদিন আমাদের ছাগল-ভেড়াগুলো খেয়ে পরিতৃপ্ত হয়ে ওলান ভর্তি দুধ নিয়ে সন্ধ্যায় ফিরে আসতো। আমরা সেগুলো দোহন করে পান করতে লাগলাম, অথচ অন্যান্য অনেক লোকেরাই তাদের ছাগল-ভেড়ার ওলানে এক ফোঁটা দুধও পেত না। তারা তাদের রাখালদের বলতে লাগলো- “আবু যুয়াইবের কন্যার (হালীমা) রাখাল যেখানে মেষ চরায়, তোমরাও আমাদের মেষগুলো সেখানে নিয়ে চরাবে”।

তাদের রাখালগুলো কথামতো সেখানে নিয়েই মেষ চরাত, এতদসত্ত্বেও তাদের মেষগুলো ক্ষুধার্ত অবস্থায় ফিরে আসত এবং ওগুলোর ওলানে তারা আদৌ দুধ পেত না। অথচ আমার মেষ পাল খেয়ে তৃপ্ত হয়ে ওলান ভর্তি দুধ নিয়ে ফিরে আসতো। এভাবে ক্রমেই আমার সংসার প্রার্চুয ও সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে উঠতে লাগল। এ অবস্থার ভেতর দিয়েই দু‘বছর অতিবাহিত হলো এবং আমি শিশু মুহাম্মাদের (1) দুধ ছাড়িয়ে দিলাম। অন্যান্য ছেলেদের চেয়ে দ্রুত গতিতে তিনি বড় হয়ে উঠতে লাগলেন। দু‘বছর বয়স হতেই তিনি বেশ চটপটে ও নাদুসনুদুস বালকে পরিণত হলেন। আমরা তাকে তাঁর মার কাছে নিয়ে গেলাম। তবে আমরা তাকে আমাদের কাছে রাখতেই বেশি আগ্রহী ছিলাম। কারণ তাঁর আসার পর থেকে আমরা বিপুল কল্যাণের অধিকারী হয়েছিলাম। তাঁর মাকে আমি বললাম- “আপনি যদি এই ছেলেকে আমার কাছে আরো হৃষ্টপুষ্ট হওয়া পর্যন্ত থাকতে দিতেন তাহলেই ভালো হতো। আমার আংশকা হয়, মাক্কার রোগ-ব্যাধিতে বা মহামারীতে তিনি আক্রান্ত হতে পারেন”। এসব কথা শুনে শেষ পর্যন্ত মুহাম্মাদের (1) মা তাকে আমাদের সাথে ফেরত পাঠিয়ে দিলেন।

আমরা তাকে নিয়ে ফিরে এলাম। এর মাত্র কয়েক মাস পরে একদিন তিনি তাঁর দুধভাই-এর সাথে মাঠে মেষ শাবক চরাচ্ছিলেন। এমন সময় তাঁর দুধভাই দৌড়ে এসে আমাকে ও তাঁর পিতাকে বললো- আমার ঐ ক্বোরাইশী ভাইকে সাদা কাপড় পরিহিত দুটো লোক এসে ধরে শুইয়ে দিয়ে পেট চিরে ফেলেছে এবং পেটের সবকিছু বের করে নাড়াচাড়া করছে।

আমি ও তার পিতা দুজনেই তৎক্ষণাৎ তাঁর কাছে ছুটে গেলাম। গিয়ে দেখলাম, তিনি দাঁড়িয়ে আছেন। আমরা দু‘জনেই তাঁকে জড়িয়ে ধরলাম এবং বললাম, বাবা তোমার কি হয়েছে? তিনি বললেন, সাদা কাপড় পরিহিত দু‘জন লোক এসে আমাকে শুইয়ে দিয়ে আমার পেট চিরেছে। তারপর তারা কি যেন একটা জিনিস খুঁজেছে, আমি জানি না।

এরপর আমরা মুহাম্মাদকে (1) বাড়ীতে নিয়ে এলাম। আমার স্বামী বললেন- হালীমা! আমার আশংকা, এই ছেলের ওপর কোন কিছুর আছর হয়েছে। কাজেই কোন ক্ষতি হওয়ার আগেই তাকে তাঁর পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়া আমাদের উচিত।

যথার্থই আমরা তাকে তাঁর মার কাছে নিয়ে গেলাম। তাঁর মা আমাকে বললেন- কি হলো বোন, তুমি তো ওকে তোমার কাছে রাখতে খুবই আগ্রহী ছিলে, কি হয়েছে যে, ওকে নিয়ে এলে? আমি বললাম, আল্লাহ আমাকে দু’টি ছেলের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমার যা করণীয় ছিল তা আমি করেছি। কোন অঘটন ঘটতে পারে বলে আমি চিন্তিত ও শঙ্কিত। তাই আপনার ছেলেকে ভালোয় ভালোয় আপনার হাতে তুলে দিলাম।

মুহাম্মাদ 1 এর মা আমিনা আমাকে বললেন- আসল ঘটনাটা কি আমাকে খুলে বলো। তুমি যা বলছো, আমার মনে হয় তা প্রকৃত ঘটনা নয়।

আমি তাকে ঘটনাটি সবিস্তার বললাম। শুনে তিনি (আমিনা) বললেন- “ওকে যখন গর্ভে ধারণ করি, তখন একদিন স্বপ্নে দেখি, আমার দেহ থেকে একটা জ্যোতি বেরিয়ে এলো এবং তার আলোয় সিরীয় ভূখন্ডের বসরার প্রাসাদগুলো আলোকিত হয়ে গেল। অতঃপর সে (মুহাম্মাদ) গর্ভে বড় হতে লাগল। আল্লাহর ক্বছম, এত হালকা ও সহজ গর্ভধারণ আমি আর কখনো দেখিনি। যখন ওকে প্রসব করলাম তখন সে (মুহাম্মাদ) মাটিতে হাত রাখা ও আকাশের দিকে মাথা উঁচু করা অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হলো। যাক, তুমি তাকে রেখে নিশ্চিন্তে চলে যেতে পারো”।

দুই- মাদীনার উদ্দেশ্যে ছফরের পথে রাছূলুল্লাহ 1 উম্মু মা‘বাদ খোযা‘য়িইয়াহ্‌’র তাঁবুর কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ মহিলা এ পথে যাতায়াতকারীদের পানাহার করাতেন। নাবী কারীম 1 তাকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনার কাছে কি কিছু আছে? মহিলা বললেন, যদি কিছু থাকতো তাহলে অবশ্যই আপনাদের মেহমানদারী করতে ভুল হতো না। আমাদের বকরীগুলোও এখন ‍দূরে চারণভূমিতে রয়েছে।

এমন সময় রাছূল 1 লক্ষ্য করলেন, মহিলার তাঁবুর এক কোণায় একটি বকরী পড়ে আছে। তিনি বললেন, উম্মু মা‘বাদ, এ বকরীটি এখানে কেন? জবাবে উম্মু মা‘বাদ বললেন, এটি খুবই দুর্বল, হাঁটতে পারে না, তাই পালের পেছনে রয়ে গেছে। রাছূলুল্লাহ 1 জিজ্ঞেস করলেন, এতে কি কিছু দুধ আছে? উম্মু মা‘বাদ বললেন, এটি তো চলাচলের চেয়ে দুধ দেয়ায় আরো বেশি দুর্বল। রাছূল 1 বললেন, বকরীটি কি আমি দোহন করতে পারি? মহিলা বললেন, হ্যাঁ, আমার মা-বাপ আপনার ওপর ক্বোরবান হোন- যদি দুধ দেখতে পান তবে অবশ্যই দোহন করুন। অনুমতি লাভের পর রাছূলুল্লাহ 1 আল্লাহ্‌র (0) নাম নিয়ে বকরীর ওলানে হাত বুলান এবং দু‘আ করেন। বকরীটি সাথে সাথে পা প্রসারিত করে দেয়। সেটির ওলান ভরে দুধ নেমে আসে। রাছূল 1 একটি বড় পাত্র নিয়ে তাতে এই পরিমাণ দুধ দোহন করেন, যা এক দল লোক তৃপ্তি সহকারে পান করতে পারতো। অতপর তিনি উম্মু মা‘বাদকে ডাকেন। উম্মু মা‘বাদ পরিতৃপ্ত হয়ে পান করেন। এরপর নিজের সঙ্গীদের পান করান। তারাও পরিতৃপ্ত হয়ে পান করেন। সবার শেষে রাছূলুল্লাহ 1 নিজে পান করেন। এরপর সে পাত্রে পুনরায় দুধ এতো দোহন করেন, যাতে পাত্র ভর্তি হয়ে যায়। এ ‍দুধ উম্মু মা‘বাদের কাছে রেখে আল্লাহ্‌র রাছূল 1 তাঁর গন্তব্য পথে রওয়ানা হয়ে যান।

কিছুক্ষণ পর উম্মু মা‘বাদের স্বামী আবু মা‘বাদ বকরীর পাল নিয়ে নিজের তাঁবুতে এসে পৌঁছান। দুর্বলতার কারণে বকরীগুলো অতি ধীর গতিতে পথ চলছিলো।

আবূ মা‘বাদ তাঁবুতে ফিরে দুধ দেখে তো অবাক! উম্মু মা‘বাদ-কে জিজ্ঞেস করলেন, সব দুগ্ধবতী বকরী তো দূরদূরান্তে চারণভুমিতে ছিল, ঘরে তো দুধ দেয়ার মতো কোনো বকরী ছিল না, তাহলে এ দুধ পেলে কোথায়? উম্মু মা‘বাদ বললেন, আমাদের কাছ দিয়ে একজন বারাকাতসম্পন্ন মানুষ পথ অতিক্রম করে গেছেন। তাঁর কথা ও অবস্থা এরকম এরকম ছিলো। আল্লাহ্‌র ক্বছম, বিষয় এ ছাড়া আর কিছুই নয়।

সব শুনে আবূ মা‘বাদ বললেন, এ তো মনে হয় সে ব্যক্তি যাকে ক্বোরাইশরা খুঁজে বেড়াচ্ছে। আচ্ছা, তুমি তাঁর আকৃতি-প্রকৃতি সম্পর্কে একটু বলো তো দেখি? তখন উম্মু মা‘বাদ রাছূল 1 এর আকার–আকৃতি ও গুণবৈশিষ্ট্যের বিবরণ এমনভাবে পেশ করেন, যেন তিনি তাঁকে চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছেন। উম্মু মা‘বাদের দেয়া বিবরণ শুনে আবু মা‘বাদ বললেন, “আল্লাহর শপথ, এ তো ক্বোরাইশের সে ব্যক্তি যার সম্পর্কে লোকেরা নানা কথা বলেছে। আমার ইচ্ছা- তাঁর সঙ্গীদের একজন হব। যদি কোনো পথ পাই তবে অবশ্যই তা করব।

এদিকে মাক্কার বাতাসে কবিতার ছন্দে কিছু কথা ভেসে আসছিলো, কিন্তু এ কবিতা আবৃত্তিকারককে দেখা যাচ্ছিলো না।

আছমা f বলেন, আমাদের জানা ছিলো না, আল্লাহ্‌র রাছূল 1 কোনদিকে গেছেন। ইতিমধ্যে এক জিন মাক্কার নিম্নভূমি থেকে কবিতা আবৃত্তি করতে করতে আসে। লোকজন কবিতা আবৃত্তিকারী জিনের পেছনে পেছনে চলছিলো, তার আবৃত্তির আওয়ায শুনছিলো, কিন্তু তাকে দেখতে পাচ্ছিলো না। এক সময় সে জিন মাক্কার উঁচু এলাকা দিয়ে বের হয়ে যায়। আছমা বিনতে আবী বাক্‌র h বলেন, জিনের আবৃত্তি করা কবিতা শুনে আমরা বুঝতে পারি, রাছূল 1 মাদীনার পথে রয়েছেন।যাদুল মা‘আদ, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা নং- ৫৩-৫৪

খুব সম্ভব এ ঘটনা রাছূলুল্লাহ 1 এর ছূর গুহা থেকে মাদীনাহ্‌র উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার দ্বিতীয় দিন ঘটেছিলো।

সূত্রাবলী:-

১) আশ শাইখ ছফিউর রহমান মোবারকপুরী o সংকলিত “আর রাহীকুল মাখতূম”।

২) ইমাম ইবনু হিশাম o রচিত “ছীরাতে ইবনে হিশাম”

 

 

 

 


১. যাদুল মা‘আদ, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা নং- ৫৩-৫৪ 

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close