এই অডিওটি হলো আশ্শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু সালিহ্ আল ‘উছাইমীন o কর্তৃক ব্যাখ্যাকৃত ইমাম ইবনু ক্বোদামাহ আল মাক্বদিছী o রচিত সুপ্রসিদ্ধ গ্রন্থ “লুম‘আতুল ই‘তিক্বাদ” এর ধারাবাহিক অডিও ভাষান্তর। বাংলা ভাষায় অডিওরূপে এটি ভাষান্তর করেছেন উছতায হাম্মাদ বিল্লাহ c। এতে ছালাফে সালিহীনের (4) ‘আক্বীদাহ-বিশ্বাসের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। আহলুছ্ ছুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের ‘উলামায়ে কিরামের চিরাচরিত স্বভাব–বৈশিষ্ট্যও হলো যে, তারা তাদের লিখনীর মাধ্যমে সর্বাগ্রে বিশুদ্ধ ইছলামী ‘আক্বীদাহ্র সংরক্ষণ এবং তা প্রচার ও প্রসার করে থাকেন। ভাষান্তরিত বক্তব্যের এ পর্বে উছতায হাম্মাদ বিল্লাহ c নিম্নোক্ত বিষয়ে আলোচনা করেছেন:-
১) হাদীছে বর্ণিত আল্লাহ্র (0) সিফাত বা গুণাবলির আলোচনা।
২) হাদীছে বর্ণিত আল্লাহ্র (7) সিফাত (গুণ) “অবতরণ” সম্পর্কে আলোচনা।
৩) “আল্লাহ b অবতরণ করেন” হাদীছ থেকে এর প্রমাণ হলো- রাছূলুল্লাহ 1 বলেছেন:- অর্থ- রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকতে আল্লাহ (0) দুন্ইয়ার আকাশে অবতরণ করেন এবং তিনি বলতে থাকেন “আমাকে কেউ আহবানকারী আছে কি, আমি তার ডাকে সাড়া দেব——-”।
৪) যারা বলে যে, আল্লাহ্র (0) অবতরণ বলতে আল্লাহ্র (7) কোন নির্দেশ কিংবা তাঁর রাহ্মাত অথবা তাঁর কোন ফিরিশতার অবতরণকে বুঝায়, তাদের দাবি প্রত্যাখ্যান ও খন্ডন।
৫) প্রত্যেক মুছলমানের জন্য ওয়াজিব আল্লাহ্র (b) এ মহান গুণটিকে (আল্লাহ অবতরণ করেন) বাত্বিল সাব্যস্ত না করা, তার শব্দ বা অর্থে কোনরূপ পরিবর্তন না করা, এর কোন আকার বা সদৃশ সাব্যস্ত না করা, বরং ছুন্নাহ্তে এ গুণটি যেভাবে বর্ণিত রয়েছে ঠিক সেভাবেই তার বাহ্যিক অর্থসহ পরিপূর্ণরূপে বিশ্বাস ও স্বীকার করা।
৬) হাদীছে বর্ণিত আল্লাহ্র (0) সিফাত (গুণ) “আশ্চর্যান্বিত বা বিস্মিত হওয়া” সম্পর্কে আলোচনা।
৭) “আল্লাহ 8 আশ্চর্য বা বিস্মিত হন” হাদীছ থেকে এর প্রমাণ হলো- রাছূলুল্লাহ 1 বলেছেন:- অর্থ- তোমাদের পালনকর্তা ঐসব যুবকদের প্রতি আশ্চর্য বা বিস্মিত হন যাদের মধ্যে যৌবনের উন্মাদনা নেই। (মুছনাদে ইমাম আহ্মাদ গ্রন্থে হাদীছটি বর্ণিত রয়েছে, তবে বর্ণনাটি যা‘য়ীফ)
৮) আহলুত্ তা‘ত্বীলগণ আল্লাহ্র (0) এ গুণটিকে (আল্লাহ 8 আশ্চর্য বা বিস্মিত হন) প্রত্যাখ্যান করে থাকে। তারা বলে যে, আল্লাহ্র আশ্চর্য বা বিস্মিত হওয়ার অর্থ হচ্ছে বদলা বা প্রতিদান প্রদান করা।
৯) আশ্চর্য বা বিস্মিত- দু’প্রকার হয়ে থাকে:-
প্রথম প্রকার হলো:- হঠাৎ গোপন কিংবা অজানা কোন বিষয়-বস্তু কিংবা তার কারণ সম্পর্কে জানতে পেরে আশ্চর্য বা বিস্মিত হওয়া। এরকম আশ্চর্য বা বিস্মিত হওয়ার গুণ থেকে আল্লাহ b সম্পূর্ণরূপে মুক্ত ও পুতঃপবিত্র, কারণ জগতের কোন কিছুই বিন্দুমাত্র তাঁর জ্ঞানের বাইরে কিংবা অজানা নয়।
দ্বিতীয় প্রকার হলো:- যখন কোন বিষয় বা বস্তু তার স্বাভাবিক অবস্থা ভিন্ন অন্য কোন অবস্থায় আবির্ভূত হয় কিংবা কোন-বিষয় বা বস্তু সাধারণত যেভাবে হওয়ার কথা সেভাবে না হয়ে বরং তাতে কোনরূপ অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়, তখন এতে বিস্মিত বা আশ্চর্য হওয়া। এজাতীয় বিস্ময় আল্লাহ্র (0) সিফাত বা গুণ বলে স্বীকৃত ও প্রমাণিত।