এটি মুহ্তারাম আশ্ শাইখ সালিহ্ আল ফাওযান c কর্তৃক আহলে ছুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের প্রখ্যাত ইমাম- ইমাম আল বারবাহারী o এর অনবদ্য গ্রন্থ “শারহুছ্ ছুন্নাহ” এর অতি চমৎকার ও মূল্যবান ব্যাখ্যাগ্রন্থের অডিও ভাষান্তর। এতে ইছলামের মৌলিক বিষয়াদী, সঠিক ইছলামী ‘আক্বীদাহ ও মানহাজ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বাংলা ভাষায় গ্রন্থটি ধারাবাহিকভাবে অডিও ভাষান্তর করছেন শাইখ আবূ ছা‘আদা হাম্মাদ বিল্লাহ c। এ পর্বে শাইখ নিম্নোক্ত বিষয়াদী সম্পর্কে আলোচনা করেছেন:-
১) ‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব 3 বলেছেন:-এটা কারো জন্যে ‘উয্র নয় যে, সে সঠিক পথের উপর আছে মনে করে ভ্রান্থ পথ অবলম্বন করবে। তদ্রুপ এটাও কারো জন্যে ‘উযর বলে গণ্য হবে না যে, সে সঠিক পথকে ভ্রান্থ পথ মনে করে সেটাকে বর্জন করবে। কেননা দ্বীনের সকল বিষয় সুস্পষ্ট হয়ে গেছে, প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে এবং ‘উযর পেশ করার পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে। (ইবনু বাত্ত্বাহ “ইবানাতুল কুবরা” গ্রন্থে {আছার নং ১৬০} আওযা‘য়ীর সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, ‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব 3 বলেছেন মর্মে উক্ত কথাটি তাঁর কাছে পৌঁছেছে। যাই হোক, উক্ত বর্ণনাটির বর্ণনাধারা বিচ্ছিন্ন )
২) প্রকৃত আহলুল ‘ইলমের নিকট হতে জ্ঞান অর্জন করা এবং সত্য অনুসন্ধান করা আবশ্যক।
৩) অজ্ঞদের জন্য ইজতিহাদ নয়।
আলোচনান্তে তিনি নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদান করেছেন-
১। “জ্ঞান অর্জন করা আবশ্যক” এ বিষয়টি না জানার কারণে কেউ যদি ভুল পথে চলে কিংবা সঠিক কাজ না করে, তাহলে এক্ষেত্রে তার এই অজ্ঞতা কি ‘উয্র হিসেবে গণ্য হবে?
২। অজ্ঞতা কি ‘উয্র হিসেবে গণ্য?
৩। কেউ যদি তার সাধ্যানুযায়ী বিবেক বুদ্ধি খাটিয়ে কাউকে ‘আলিম বলে মনে করে, আর সেই লোকটি যদি কোন বিষয় সম্পর্কে তাকে বলে যে, তা ক্বোরআন ও ছুন্নাহ্তে আছে, অতঃপর সরল বিশ্বাসে লোকটি যদি তার কথা অনুযায়ী ‘আমাল করে থাকে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সেই বিষয়টি ক্বোরআন ও ছুন্নাহ্তে না থাকে, এমতাবস্থায় ঐ লোকটি কি ক্ষমাপ্রাপ্ত হবে?
৪। সাধারণ মানুষ কি ইজতিহাদ করতে পারবে?
৫। একথা বলা কি ঠিক যে, একজন লোকের মানহাজই হলো তার ‘আক্বীদাহ্র প্রতিবিম্ব অর্থাৎ মানহাজের মাধ্যমেই তার ‘আক্বীদাহ্র প্রকাশ ঘটে?