ড. আশ্‌ শাইখ সালিহ্‌ আল ফাওযান কর্তৃক ব্যাখ্যাকৃত ইমাম আল বারবাহারী রচিত “শারহুছ্ ছুন্নাহ (ছুন্নাতের ব্যাখ্যা)” (৪৯তম পর্ব)

এটি মুহ্তারাম আশ্শাইখ সালিহ্ আলফাওযান (c) কর্তৃক আহলে ছুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের প্রখ্যাত ইমাম- ইমাম আল বারবাহারী (o) এর অনবদ্য গ্রন্থ “শারহুছ্ ছুন্নাহ” এর অতি চমৎকার ও মূল্যবান ব্যাখ্যাগ্রন্থের অডিও ভাষান্তর। বাংলা ভাষায় গ্রন্থটি ধারাবাহিকভাবে অডিও ভাষান্তর করছেন উছতায আবূ ছা`আদা হাম্মাদ বিল্লাহ c। অদ্যকার আলোচনায় উছতায- আম্বিয়া k ও মালাইকাদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের বিষয়ে মূল্যবান আলোচনা করেছেন। এছাড়াও তাতে নিম্নোক্ত বিষয়াদী সম্পর্কে অত্যন্ত চমৎকার আলোচনা করা হয়েছে:-
১) আম্বিয়া ও মালাইকাগণের প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের ব্যাখ্যায় শাইখ ‘উছাইমীন o বলেন- ঈমানের রুক্‌নসমূহের একটি হচ্ছে- আল্লাহ্‌র (0) নাবীগণ ও মালাইকাগণের প্রতি বিশ্বাস। এই ব্যাপারে হাদীছে জিবরীলে বর্ণিত রয়েছে, যেখানে জিবরীল k রাছূলুল্লাহ-কে (1) জিজ্ঞাসা করেন যে, আমাকে ঈমান সম্পর্কে বলুন? উত্তরে রাছূলুল্লাহ 1 বলেন- ঈমান হচ্ছে যে, আপনি আল্লাহ্‌র (0) প্রতি, তাঁর মালাইকাগণের প্রতি, তাঁর নাযীলকৃত কিতাবসমূহের প্রতি, তাঁর রাছূলগণের প্রতি, আখিরাতের প্রতি এবং তাক্বদীরের ভালো ও মন্দের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবেন।
শাইখ ফাওযান c বলেন, ক্বোরআনে কারীমে আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেন-

لَيْسَ الْبِرَّ أَنْ تُوَلُّوا وُجُوهَكُمْ قِبَلَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ وَلَكِنَّ الْبِرَّ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالْكِتَابِ وَالنَّبِيِّينَ

অর্থাৎ- এটা পূণ্য নয় যে, তোমরা নিজেদের মুখ পূর্ব-পশ্চিম দিকে ফিরাবে বরং পূণ্য হলো- যে ব্যক্তি ঈমান এনেছে আল্লাহ, শেষ দিবস, ফিরিশতাগণ, কিতাব ও নাবীগণের প্রতি।ছূরা আল বাক্বারা- ১৭৭
ক্বোরআনে কারীমের অন্যত্র আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেনঃ-

آمَنَ الرَّسُولُ بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْهِ مِنْ رَبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ كُلٌّ آمَنَ بِاللَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِنْ رُسُلِهِ وَقَالُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا

অর্থাৎ- রাছূল ঈমান এনেছেন সেসব বিষয়ের প্রতি যা তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ হতে তাঁর প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে, আর মু’মিনগণও। প্রত্যেকেই আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফিরিশতাগণের প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি এবং তাঁর রাছূলগণের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছেন। (তারা বলেন) আমরা তাঁর রাছূলগণের কারো মধ্যে বিভেদ করি না, আর তারা একথাও বলেন যে, আমরা শুনেছি এবং মেনে নিয়েছি।ছূরা আল বাক্বারা- ২৮৫
ক্বোরআনে কারীমের অন্যত্র আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেনঃ-

قُولُوٓاْ ءَامَنَّا بِٱللَّهِ وَمَآ أُنزِلَ إِلَيۡنَا وَمَآ أُنزِلَ إِلَىٰٓ إِبۡرَٲهِـۧمَ وَإِسۡمَـٰعِيلَ وَإِسۡحَـٰقَ وَيَعۡقُوبَ وَٱلۡأَسۡبَاطِ وَمَآ أُوتِىَ مُوسَىٰ وَعِيسَىٰ وَمَآ أُوتِىَ ٱلنَّبِيُّونَ مِن رَّبِّهِمۡ لَا نُفَرِّقُ بَيۡنَ أَحَدٍ۬ مِّنۡهُمۡ وَنَحۡنُ لَهُ ۥ مُسۡلِمُونَ

অর্থাৎ- তোমরা বলো- “আমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি এবং যা আমাদের প্রতি নাযিল করা হয়েছে এবং যা ইবরাহীম, ইছমা‘ঈল, ইছহাক্ব, ইয়া‘ক্বূব ও (ইয়া‘ক্বূবের) বংশধরদের প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছে এবং যা মূছা ও ‘ঈছাকে দেয়া হয়েছে, আর যা নাবীগণকে তাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে দেয়া হয়েছে (এ সবের প্রতিও ঈমান এনেছি), তাদের কারো মধ্যে আমরা বিভেদ করি না এবং আমরা তাঁরই নিকট আত্মসমর্পণকারী”।ছূরা আল বাক্বারাহ- ১৩৬
২) মালাইকাগণ হচ্ছেন অদৃশ্য জগতের সৃষ্ট অধিবাসী। মহান আল্লাহ 0 তাদেরকে নূর থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং জ্বীনদেরকে সৃষ্টি করেছেন আগুন থেকে। মানুষদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে মাটি থেকে। আমাদেরকে মালাইকাগণের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। কোনো ব্যক্তি যদি কিছু মালাইকার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং কিছু মালাইকাকে অস্বীকার করে, তবে সে সকল মালাইকাকেই অস্বীকারকারী বলে গণ্য হবে। যেমন- ইয়াহুদীরা বলে থাকে যে, জিবরীল আমাদের দুশমন। যদি মুহাম্মাদের প্রতি জিবরীল ছাড়া অন্য কেউ ক্বোরআন নিয়ে নাযিল হতো, তাহলে আমরা মুহাম্মাদের আনুগত্য করতাম। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ ইরশাদ করেছেনঃ

قُلْ مَنْ كَانَ عَدُوًّا لِجِبْرِيلَ فَإِنَّهُ نَزَّلَهُ عَلَى قَلْبِكَ بِإِذْنِ اللَّهِ مُصَدِّقًا لِمَا بَيْنَ يَدَيْهِ وَهُدًى وَبُشْرَى لِلْمُؤْمِنِينَ

অর্থাৎ- আপনি বলুন! যে ব্যক্তি জিবরীলের শত্রু হয়েছে (তার জেনে রাখা উচিত), নিশ্চয় তিনি তো আল্লাহ্‌রই নির্দেশে আপনার হৃদয়ে ক্বোরআন অবতীর্ণ করেছেন এর পূর্ববর্তীর কিতাব সমূহের সত্যায়নকারীরূপে এবং মূমিনদের জন্য পথনির্দেশিকা ও সুসংবাদ স্বরূপ।ছূরা আল বাক্বারাহ- ৯৭
পরের আয়াতেই আল্লাহ 0 আরো ইরশাদ করেছেনঃ-

مَنْ كَانَ عَدُوًّا لِلَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَرُسُلِهِ وَجِبْرِيلَ وَمِيكَالَ فَإِنَّ اللَّهَ عَدُوٌّ لِلْكَافِرِينَ

অর্থাৎ- যে ব্যক্তি আল্লাহ, তাঁর ফিরিশতাগণ, তাঁর রাছূলগণ এবং জিবরীল ও মীকালের শত্রু, তাহলে নিশ্চয়ই আল্লাহও (এসব) কাফিরদের শত্রু।ছূরা আল বাক্বারাহ- ৯৮
ইছলামের মধ্যে কিছু পথভ্রষ্ট দল রয়েছে। যারা বলে যে, জিবরীল আমানাতের খিয়ানাত করেছেন। তাদের দাবি হলো, জিবরীল- ‘আলী (3) এর কাছে রিছালাত না পৌঁছিয়ে মুহাম্মাদ (1) এর কাছে নিয়ে এসেছিলেন।
৩) ক্বোরআনে কারীমে আল্লাহ 7 ইরশাদ করেছেনঃ

وَمَنْ يَكْفُرْ بِاللَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا بَعِيدًا

অর্থাৎ- যে ব্যক্তি আল্লাহ, তাঁর ফিরিশতাগণ, তাঁর কিতাবসমূহ, তাঁর রাছূলগণ এবং শেষ দিবসকে অস্বীকার করে, সে অবশ্যই সীমাহীন পথভ্রষ্টতায় পতিত হয়।ছূরা আন্‌নিছা- ১৩৬
উক্ত আয়াত থেকে বুঝা যায় যে, মালাইকা ও নাবীগণের প্রতি বিশ্বাস হচ্ছে ঈমানের একটি অন্যতম রুক্‌ন। তাই, কেউ যদি মালাইকা বা নাবীগণের একজনকেও অস্বীকার করে, তবে সে ব্যক্তি ঈমানদার বলে গণ্য হবে না।
৪) মালাইকাগন আল্লাহ 8 এর আদেশ ও নির্দেশগুলো বাস্তবায়নের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। নভোমন্ডল এবং ভূমন্ডল, উভয় জায়গাতেই মালাইকাগণের উপস্থিতি রয়েছে। আছমানে ও যমীনে যতো ধরনের নড়াচড়া হচ্ছে, এর সবগুলোই মালাইকাদের দ্বারা সংঘটিত হচ্ছে। তাদের সম্পর্কে আল্লাহ 8 ইরশাদ করেছেনঃ- فَالْمُدَبِّرَاتِ أَمْرًا অর্থাৎ- আর (শপথ তাদের) যারা (সকল) কর্ম ব্যবস্থপনায় নিয়োজিত।ছূরা আন্‌ নাযি‘আত- ৫
ক্বোরআনে কারীমের অন্যত্র আল্লাহ 8 ইরশাদ করেছেনঃ- فَالْمُقَسِّمَاتِ أَمْرًا অর্থাৎ- আর (শপথ) নির্দেশ বন্টনকারীদের।ছূরা আয্‌যারিয়াত- ৪
ক্বোরআন ও হাদীছ থেকে জানা যায় যে, বিভিন্ন ধরনের বা বিভিন্ন প্রকৃতির মালাইকা রয়েছেন। একেক ধরনের মালাইকাগণ একেক ধরনের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। তাদের প্রকৃত সংখ্যা একমাত্র আল্লাহ 8 ছাড়া আর কেউ জানে না।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ 8 ইরশাদ করেছেনঃ- وَمَا يَعْلَمُ جُنُودَ رَبِّكَ إِلَّا هُوَ
অর্থাৎ- আপনার প্রতিপালকের বাহিনী সম্পর্কে তিনি ব্যতিত কেউ জানে না।ছূরা আল-মুদ্দাছ্‌ছির- ৩১
ছূরা আন্‌ নাযি‘আতে মালাইকাগণের কিছু বৈশিষ্ট্য বর্ণিত হয়েছে। যেমন- আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেনঃ-

وَالنَّازِعَاتِ غَرْقًا وَالنَّاشِطَاتِ نَشْطًا وَالسَّابِحَاتِ سَبْحًا فَالسَّابِقَاتِ سَبْقًا فَالْمُدَبِّرَاتِ أَمْرًا

অর্থাৎ- শপথ তাদের (সেই ফিরিশতাদের) যারা (পাপীদের আত্মা) ডুব দিয়ে (নির্মমভাবে) হরণ করে। শপথ তাদের যারা সহজভাবে বাঁধন খুলে দেয় (নেককারদের রূহের)। শপথ তাদের যারা (রূহ্‌ নিয়ে) দ্রুতগতিতে (আকাশের দিকে) সাঁতার কেটে যায়। আর (শপথ তাদের) যারা (রূহ্‌ গ্রহণ করতে) দ্রুতবেগে অগ্রসর হয়। আর (শপথ তাদের) যারা (সকল) কর্ম ব্যবস্থপনায় নিয়োজিত।ছূরা আন্‌ নাযি‘আত- ১-৫১০
ক্বোরআনে কারীমের অন্যত্র আল্লাহ 8 ইরশাদ করেছেনঃ- وَالصَّافَّاتِ صَفًّا فَالزَّاجِرَاتِ زَجْرًا فَالتَّالِيَاتِ ذِكْرًا
অর্থাৎ- শপথ তাদের যারা কাতারে কাতারে সারিবদ্ধ, অতঃপর যারা ধমক দিয়ে তাড়িয়ে বেড়ায়- তাদের শপথ, আর তাদের যারা (আল্লাহর) যিকর পাঠে রত।ছূরা আস্‌ সাফফাত- ১-৩১১
ক্বোরআনে কারীমের অন্যত্র আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেনঃ- يَخَافُونَ رَبَّهُمْ مِنْ فَوْقِهِمْ وَيَفْعَلُونَ مَا يُؤْمَرُونَ
অর্থাৎ- তারা তাদের উপরে স্বীয় প্রতিপালককে ভয় করে, আর তারা তা-ই করে যা তাদেরকে আদেশ দেয়া হয়।ছূরা আন্‌ নাহ্‌ল- ৫০১২
৫) মালাইকাদের মধ্যে ৩ জন হচ্ছেন প্রধান। তারা ৩ জন যে দায়িত্বে আছেন, সেগুলোর সবগুলোই জীবনের সাথে সম্পৃক্ত। যেমন-

ক) জিবরীল k ওয়াহীর দায়িত্বে নিয়োজিত। এই ওয়াহী হচ্ছে মানুষের ক্বাল্‌ব ও রূহের জন্য জীবন স্বরূপ।
খ) মীকাঈল k বৃষ্টির দায়িত্বে নিয়োজিত। মাটি, উদ্ভিদ ও জীব-জন্তু প্রাণ ফিরে পায় এই বৃষ্টির দ্বারা।
গ) ইছরাফীলk শিঙ্গায় ফুঁৎকারের দায়িত্বে নিয়োজিত। তার ফুঁৎকারের মাধ্যমেই হাশ্‌রের দিনে মৃতরা জীবন লাভ করবে।
কাফির-মুশরিকদের মধ্যে অনেকে বলে যে, মালাইকারা হচ্ছে আল্লাহ্‌র মেয়ে। তাদের এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে আল্লাহ 7 ইরশাদ করেছেন- بَلْ عِبَادٌ مُكْرَمُونَ
অর্থাৎ- বরং তারা সম্মানীত বান্দাহ।ছূরা আল আম্বিয়া- ২৬১৩

৬) কিরামান-কাতিবীন হচ্ছেন আল্লাহ্‌র (0) সম্মানিত মালাইকাহ। যারা বান্দার প্রত্যেকটি কাজকর্ম ও কথাবার্তা লিপিবদ্ধ করার দায়িত্বে নিয়োজিত। তাদের সম্পর্কে আল্লাহ 0 ক্বোরআনে কারীমে ইরশাদ করেছেনঃ- وَإِنَّ عَلَيْكُمْ لَحَافِظِينَ كِرَامًا كَاتِبِينَ يَعْلَمُونَ مَا تَفْعَلُونَ
অর্থাৎ- আর নিশ্চয় তোমাদের উপর অবশ্যই রয়েছে সংরক্ষণকারীরা। সম্মানিত লেখকগণ, তারা জানে তোমরা যা কর।ছূরা আল ইনফিত্বার- ১০-১৩১৪
তাদের সম্পর্কে ক্বোরআনে কারীমে আল্লাহ 0 আরো ইরশাদ করেছেনঃ- مَا يَلْفِظُ مِنْ قَوْلٍ إِلَّا لَدَيْهِ رَقِيبٌ عَتِيدٌ
অর্থাৎ- সে যে কথাই উচ্চারণ করে, (তা সংরক্ষণের জন্য) তার নিকটে একজন সদা তৎপর পর্যবেক্ষক আছে।ছূরা ক্বাফ- ১৮১৫
এসকল সম্মানিত মালাইকাহদের লিখিত কিতাবই ক্বিয়ামাতের দিন বান্দাদেরকে পড়তে দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেনঃ- اقْرَأْ كِتَابَكَ كَفَى بِنَفْسِكَ الْيَوْمَ عَلَيْكَ حَسِيبًا
অর্থাৎ- পাঠ কর তোমার কিতাব, আজ তুমি নিজেই তোমার বিরুদ্ধে হিসাবগ্রহণকারী হিসেবে যথেষ্ট।ছূরা আল ইছরা- ১৪১৬
এ প্রসঙ্গে ক্বোরআনে কারীমে আল্লাহ 0 আরো ইরশাদ করেছেনঃ-

فَأَمَّا مَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ بِيَمِينِهِ فَيَقُولُ هَاؤُمُ اقْرَءُوا كِتَابِيَهْ وَأَمَّا مَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ بِشِمَالِهِ فَيَقُولُ يَالَيْتَنِي لَمْ أُوتَ كِتَابِيَهْ

অর্থাৎ- অতঃপর যাকে তার ‘আমালনামা তার ডান হাতে দেয়া হবে, সে বলবে- “নাও আমার ‘আমালানামা, পড়ে দেখ”। কিন্তু যাকে তার ‘আমালনামা বাম হাতে দেয়া হবে, সে বলবে- “হায়! আমাকে যদি আমার ‘আমালনামা না দেয়া হত”।ছূরা আল হাক্ব্‌ক্বাহ- ১৯, ২৫১৭
মানুষকে হিফাযাত করার জন্য আল্লাহ 0 কিছু মালাইকাহ নির্ধারণ করে রেখেছেন। যেমন- আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেনঃ- لَهُ مُعَقِّبَاتٌ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ يَحْفَظُونَهُ مِنْ أَمْرِ اللَّهِ
অর্থাৎ- মানুষের সামনে ও পেছনে পাহারাদার নিযুক্ত আছে, যারা আল্লাহর নির্দেশে তাকে হিফাযাত করে।ছূরা আর্‌রা‘দ- ১১১৮

 

ক্লাস শেষে নিম্নোক্ত প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হয়:-
১) السلام علیكم।
উছ্‌তায! কেমন আছেন? বাংলাদেশে কেউ কেউ আছে যারা ক্বাব্‌রের ‘আযাব এবং মুনকার-নাকীরকে অস্বীকার করে এবং নিজেদের ভ্রান্ত বিশ্বাসের প্রতি অন্যকেও দা‘ওয়াত দেয়, তাদের ব্যাপারে শারী‘আতের বিধান কি?
২) রূহ্‌ শব্দটা ক্বোরআনে কারীমের বিভিন্ন জায়গায় এসেছে। এই রূহ্‌ শব্দটাকে আমাদের কিভাবে বুঝা উচিত? কারণ এর দ্বারা জিবরীলকেও (k) বুঝায় হয়, আবার ক্বোরআনে কারীমকেও বুঝায়, আবার ওয়াহীকেও বুঝায়।
৩) ক্বালবের মধ্যে কিংবা অনেক সময় চিন্তা-চেতনার মধ্যে যে মন্দ বিষয়গুলো কাজ করে, যা ধীরে ধীরে অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়, এক পর্যায়ে এই বিষয়গুলো মানুষকে আল্লাহ 0 থেকে নিরাশ করে দেয়। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায় কি?
৪) কোনো ব্যক্তি যদি ছালাফে সালিহীনের প্রকৃত অনুসারী কারো বিরুদ্ধে কোনো মিথ্যা কথা বলে, তবে শার‘ঈ বিধান অনুযায়ী ক্বিয়ামাতের দিন তার শাস্তি কি হবে?


১. ছূরা আল বাক্বারা- ১৭৭ 
২. ছূরা আল বাক্বারা- ২৮৫ 
৩. ছূরা আল বাক্বারাহ- ১৩৬ 
৪. ছূরা আল বাক্বারাহ- ৯৭ 
৫. ছূরা আল বাক্বারাহ- ৯৮ 
৬. ছূরা আন্‌নিছা- ১৩৬ 
৭. ছূরা আন্‌ নাযি‘আত- ৫ 
৮. ছূরা আয্‌যারিয়াত- ৪ 
৯. ছূরা আল-মুদ্দাছ্‌ছির- ৩১ 
১০. ছূরা আন্‌ নাযি‘আত- ১-৫ 
১১. ছূরা আস্‌ সাফফাত- ১-৩ 
১২. ছূরা আন্‌ নাহ্‌ল- ৫০ 
১৩. ছূরা আল আম্বিয়া- ২৬ 
১৪. ছূরা আল ইনফিত্বার- ১০-১৩ 
১৫. ছূরা ক্বাফ- ১৮ 
১৬. ছূরা আল ইছরা- ১৪ 
১৭. ছূরা আল হাক্ব্‌ক্বাহ- ১৯, ২৫ 
১৮. ছূরা আর্‌রা‘দ- ১১ 

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close