এটি মুহ্তারাম আশ্শাইখ সালিহ্ আলফাওযান c কর্তৃক আহলে ছুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের প্রখ্যাত ইমাম- ইমাম আল বারবাহারী o এর অনবদ্য গ্রন্থ “শারহুছ্ ছুন্নাহ” এর অতি চমৎকার ও মূল্যবান ব্যাখ্যাগ্রন্থের অডিও ভাষান্তর। এ পর্বে উছতায হাম্মাদ বিল্লাহ c “কালাম” বিষয়ে আলোচনা করেছেন। দ্বীনী বিষয়ে কালাম অর্থাৎ বাক-বিতন্ডা, যুক্তি-পাল্টা যুক্তি এসব হলো দ্বীনের মধ্যে নব-আবিষ্কৃত বিষয়। একজন লোক যদিও ছুন্নাহ ও সত্যান্বেষু হয়ে থাকে তথাপি দ্বীনী বিষয়ে এরূপ কালাম বা কথা-বার্তা অন্তরে সন্দেহের সৃষ্টি করে। এই পর্বে নিম্নোক্ত বিষয়াদী সম্পর্কে অত্যন্ত চমৎকার আলোচনা করা হয়েছে:-
১) শাইখ ফাওযান c বলেছেন:- “কালাম” তথা বাক-বিতন্ডা, যুক্তি-পাল্টা যুক্তি উত্থাপন ইত্যাদি যে বিষয়গুলো বিভিন্ন দলের মধ্যে দেখা যায় এগুলো হলো সম্পূর্ণরূপে নব-আবিষ্কৃত বিষয়। এসবের কারণ হলো প্রবৃত্তির অনুসরণ। প্রকৃত অর্থে যে ব্যক্তির ইচ্ছা ও আগ্রহ হবে রাছূলুল্লাহ 1 এর ছুন্নাহ অনুসরণ করা, তার মধ্যে দ্বীনী কোন বিষয়ে কোনরূপ সন্দেহ-সংশয় থাকতে পারে না এবং এতদ্বিষয়ে তার কোনরূপ বিবাদ কিংবা বাক-বিতন্ডায় লিপ্ত হওয়ারও অবকাশ নেই। কারণ সে হলো আত্মসমর্পণ ও অনুসরণকারী। তার কাজ হলো কেবল রাছূলুল্লাহ 1 এর ছুন্নাহ্র প্রতি আত্মসমর্পণ ও তার যথাযথ অনুসরণ।
২) শাইখ ফাওযান c বলেছেন যে, এখানে মূল বিষয় হলো কোনরূপ তর্ক-বিতর্ক, বাক-বিতন্ডা ছাড়া আল্লাহ ও তাঁর রাছূলের নির্দেশ অনুসরণ এবং এগুলোর প্রতি আনুগত্য ও আত্মসমর্পণ।
৩) শাইখ ফাওযান c বলেছেন যে, সত্য বিচ্যুত লোকেরা পরস্পর তর্কে-বিতর্কে এজন্যই জড়িত হয় কারণ তারা আহলুছ্ ছুন্নাহ ওয়াল জামা‘আহ-র ন্যায় আল্লাহ 0 ও তাঁর রাছূলের আদেশ-নির্দেশের প্রতি আত্মসমর্পণ করে না। এজন্যই ‘আক্বীদাহ, দ্বীনী বিশ্বাস এবং ঈমান বিষয়ে আপনি -আলহামদুল্লিাহ- আহলুছ্ ছুন্নাহ ওয়াল জামা‘আহ্কে ঐক্যবদ্ধ দেখতে পাবেন, তাদের মধ্যে কোন অনৈক্য পরিলক্ষিত হয় না। অপরদিকে যত ধরনের মতভিন্নতা কেবল পথভ্রষ্ট দলসমূহের মধ্যেই দেখা যায়।
৪) শাইখ c এখানে “কালাম” বা বিবাদ-বিসম্বাদ ও বিতর্ক বলতে কি বুঝায় তা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করেছেন।
ক্লাস শেষে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদান করা হয়:-
ক) السلام عليكم ورحمة الله। শাইখ, ঢাকার টঙ্গীতে আয়োজিত তাবলীগ জামা‘আতের বার্ষিক সম্মেলন (ইজতিমা‘) সম্পর্কে শারী‘য়াতের বিধান এবং ‘উলামায়ে কিরামের বক্তব্য কি?
খ) তাবলীগ জামা‘আতের বার্ষিক ইজতিমা‘ চলাকালীন কতিপয় আহলে হাদীছ নামীয় দল কর্তৃক আয়োজিত -আহলে হাদীছ ইজতিমা‘-এ অংশগ্রহণ করার বিষয়ে আপনার মতামত ও নির্দেশনা কি?
গ) السلام عليكم ورحمة الله। দা‘ওয়াত দেয়ার উদ্দেশ্যে এমন ব্যক্তির সাথে উঠাবসা করা কি আমার জন্য ঠিক, যে ব্যক্তি (খারিজী মতাদর্শ পোষণকারী) কোন দলের নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে রয়েছে? ঐ ব্যক্তি আমার পরিবারের সদস্য হওয়ার সুবাদে স্বীয় মতাদর্শের দা‘ওয়াত আমাকে দিতে চায় এবং তার মতাদর্শ বিষয়ে আমার সাথে আলোচনা করতে চায়। এমতাবস্থায় আমি কিভাবে বুঝবো যে, তার সাথে আলোচনা করার জন্য আমি পুরোপুরি সক্ষম? আমি কিভাবে বুঝতে পারবো যে, পরিবারের এই সদস্যকে দা‘ওয়াত দেয়ার জন্য আমি সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
ঘ) السلام عليكم ورحمة الله। আমার প্রশ্ন হলো- আল্লাহ্র সুমহান নাম ও গুণাবলী বিষয়ে তর্ক ও যুক্তিবাদীরা কেন এতো বেশি ভ্রষ্টতায় নিমজ্জিত?