উছতায হাম্মাদ বিল্লাহ c কর্তৃক এই অডিও বক্তৃতাটি হলো মূলত ইমাম ইবনুল ক্বায়্যিম o প্রণীত -‘উদ্দাতুস্ সাবিরীন ওয়া যাখীরাতুশ্ শাকিরীন- নামক কিতাবের ভাষান্তর। গ্রন্থকার ইছলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে -সাব্র বা ধৈর্য্য, অধৈর্য্য এবং শুক্র বা কৃতজ্ঞতা- এ ক‘টি গুরুত্বপূর্ণ দ্বীনী বিষয়ের অনুশীলনমূলক কাঠামো এবং এগুলোকে কিভাবে মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে সংযুক্ত ও রপ্ত করা যায়, সেসব বিষয়ে অত্যন্ত চমৎকার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ দিয়েছেন। গ্রন্থখানি ছয় শতাব্দী পূর্বে লিখা হলেও এর বিষয়-বস্তু অত্যন্ত সময় উপযোগী এবং বর্তমান বাস্তবতার সাথে অতি প্রাসঙ্গিক। উছতায হাম্মাদ c নিম্নোক্ত বিষয়াদী সম্পর্কে আলোচনা করেছেন:-
১) পূর্ববর্তী ১২ নং ক্লাসের সংক্ষিপ্ত পূণঃআলোচনা।
২) সাব্রের স্তর বিভিন্ন জনের বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।
৩) কেউ যদি আাল্লাহ্র (8) সুমহান গুণাবলীকে ভালোবাসে, তাহলে এই ভালোবাসা তাকে আল্লাহ্র (0) নৈকট্য লাভে সাহায্য করবে।
৪) “আস্সাবূর” অর্থাৎ পরম ধৈর্যশীল (যার থেকে অধিক ধৈর্যশীল আর কেউ নেই), এটি হলো আল্লাহ্র একটি মহান গুণ। হাদীছে বর্ণিত রয়েছে যে, আল্লাহ 7 দাঊদ 5 এর প্রতি ওয়াহী নাযিল করলেন এই মর্মে যে, “আমার গুণে নিজেকে গুণান্বিত করো। আর আমার একটি গুণ হলো- আমি আস্সাবূর”।
আল্লাহ 0 স্বীয় গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্যগুলোকে খুবই ভালোবাসেন। এ বিষয়ে শাইখ কিছু উদাহরণ ও ব্যাখ্যা উক্ত আলোচনায় পেশ করেছেন।
৫) সাব্র বিল্লাহ এবং সাব্র লিল্লাহ সম্পর্কে অত্যন্ত মূল্যবান আলোচনা।
৬) আল্লাহ্র কাছে ফরইয়াদ এবং সাব্র- বিষয় দু’টি সাংঘর্ষিক নয়।
৭) সাব্রে জামীলের ব্যাখ্যা।
আলোচনা শেষে উছতায নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদান করেছেন-
১) যখন দুন্ইয়া বিমূখ আল্লাহ্র কোন বান্দাহ্র উপর মুসীবাত ঝেঁপে পড়ে, তখন তিনি কিভাবে ধৈর্যধারণ করবেন? ধৈর্যধারণের আদাবগুলো কি কি?
২) “ঈমান হল সাবর এবং সহনশীলতা”- এই হাদীছটি কি সাহীহ? যদি সাহীহ্ হয়ে থাকে, তাহলে এর তাৎপর্য কী?
৩) আল্লাহ্র তরফ থেকে যে কাজ করার রুখসাত বা অনুমতি রয়েছে, তথাপি কেউ যদি আল্লাহ্কে সন্তুষ্ট করার জন্য সেই কাজ থেকে নিবৃত্ত থাকতে অর্থাৎ ধৈর্যধারণ করতে চায়, তাহলে সে কিভাবে তা করবে?