জিলহাজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের ফাযীলাত? শাইখ মোহাম্মাদ ইবনু সালিহ আল ‘উছাইমীন

এই অডিওটি হলো- জিলহাজ্জের প্রথম ১০ দিনের ফাযীলাত সম্পর্কে শাইখ মোহাম্মাদ ইবনু সালিহ আল ‘উছাইমীন o প্রদত্ত এবং উছতায আবূ ছা‘আদা হাম্মাদ বিল্লাহ c কর্তৃক অনুবাদকৃত ব্যাখ্যা।
অডিও থেকে নেয়া সংক্ষিপ্ত ও অতি গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পয়েন্ট:-
১) যিলহাজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের ফাযীলাত বর্ণনায় শাইখ মোহাম্মাদ ইবনু সালিহ আল ‘উছাইমীন (o) বলেছেন- রাছূলুল্লাহ (1) বলেছেন-
অর্থ- যিলহাজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনে সম্পাদিত নেক ‘আমালের চেয়ে আল্লাহ্‌র নিকট অধিক প্রিয় কোন নেক ‘আমাল নেই।
এই হাদীছের ভিত্তিতে উক্ত দশ দিনে আমাদের রোযা পালন, যিক্‌র, তিলাওয়াতুল ক্বোরআন, নাফ্‌ল সালাত সম্পাদন, সাদাক্বাহ ও দান খয়রাত, মানুষের প্রতি বদান্যতা প্রদর্শন, তাদের প্রতি দয়াপরায়ণতা ইত্যাদি যেসব নেককাজ বান্দাহ্‌কে আল্লাহ্‌র অধিক নিকটবর্তী করে থাকে, সেগুলো বেশিবেশি করা উচিত।
২) রামাযানের শেষ দশ দিবসের নেক ‘আমালের চেয়ে যিলহাজ্জের প্রথম ১০ দিবসের নেক ‘আমাল অধিক উত্তম।
এবিষয়ে জামে‘ তিরমিযীতে বর্ণিত হাদীছে রয়েছে, রাছূলুল্লাহ (1) বলেছেন:-
অর্থ- ‘‘অনান্য দিনের চেয়ে সাধারণভাবে জিলহাজ্বের প্রথম দশ দিনের নেক ‘আমাল অধিক উত্তম”।
৩) যেহেতু সাধারণ মানুষ এই দশদিনের ফাযীলাত সম্পর্কে উদাসীন, একারণে ত্বালিবুল ‘ইল্‌মগণের উচিত, মানুষকে এ বিষয়ে অবহিত ও সচেতন করা, তাদেরকে এই দিনগুলোতে নেক ‘আমালের যে কি উপকারীতা ও ফাযীলাত রয়েছে তা স্মরণ করিয়ে দেয়া।
৪) ‘আরাফাহ্‌র দিনের যেটি যিলহাজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের মধ্যেই পড়ে, রোযা পালন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘আমাল। ‘আরাফাহ্‌র দিনের রোযা পালন সম্পর্কে রাছূলুল্লাহ-কে (1) জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন:- এটি পূর্ববর্তী ও পরবর্তী এক বছরের গুনাহ মুছে দেয়।
৫) যারা যিলহাজ্জ মাসের ৭, ৮ ও ৯ তারিখ এই তিন দিন রোযা পালনে বিশেষ ছাওয়াব রয়েছে বলে মনে করেন, এটি আসলে তাদের একটি ভুল ধারণা। তবে যারা প্রত্যেক মাসে ৩দিন রোযা পালন করে থাকেন, যেমন, যারা প্রতি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ রোযা পালন করে থাকেন, তারা যদি যিলহাজ্জ মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ এর পরিবর্তে ৭, ৮ ও ৯ যিলহাজ্জ তারিখ রোযা পালন করে নেন, তাহলে তারা সেটা করতে পারেন। তবে এ কাজটি ছুন্নাহ বলে দাবি করার পক্ষে কোন প্রমাণ নেই।
যাই হোক, যিলহাজ্জের রোযা পালন বিষয়ে মোটকথা হলো- কেউ যদি রোযা রাখতে চায় তাহলে তার উচিত কেবল ‘আরাফাহ্‌র দিনের রোযা রাখা অথবা ১ম তারিখ থেকে ‘আরাফাহ্‌র দিন পর্যন্ত রোযা পালন করা। আর কেউ যদি প্রতি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোযা রাখতে অভ্যস্ত হয়ে থাকে, তাহলে সে যিলহাজ্জ মাসের ঐ তিন দিনের পরিবর্তে ৭, ৮ ও ৯ তারিখ রোযা পালন করতে পারবে।

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close