এই অডিওটি হলো শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু ‘উমার বাযমূল c প্রদত্ত “ছালাফে সালিহীনের অনুসৃত নীতির উপর অটল ও অবিচল থাকা” বিষয়ে প্রদত্ত একটি মূল্যবান ‘আরাবী ভাষণের বাংলা ভাষান্তর। ভাষান্তর করেছেন শাইখ হাম্মাদ বিল্লাহ c।
বক্তব্যে উল্লেখিত মূল বিষয়গুলো:-
১) সত্যের উপরে অর্থাৎ দ্বীনের উপরে কিভাবে অটল থাকা যায়? শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু ‘উমার বাযমূল c নিম্নোক্ত চারটি বিষয়কে দ্বীনের উপর অটল ও অবিচল থাকার মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং ছূরাতুল ‘আস্র-কে এর প্রমাণ হিসাবে পেশ করেছেন। বিষয় চারটি হলো যথা:-
(ক) ঈমান বাস্তবায়ন।
(খ) নেককাজ করা।
(গ) পরস্পর সত্যের সদুপদেশ প্রদান করা।
(ঘ) একে অপরকে ধৈর্যধারণের সদুপদেশ প্রদান করা।
ইতোমধ্যে তৃতীয় ক্লাসে শাইখ হাম্মাদ বিল্লাহ c নিম্নোক্ত দু’টি মাধ্যম সম্পর্কে আলোচনা করেছেন- ক) ঈমান বাস্তবায়ন (খ) নেক কাজ বাস্তবায়ন।
দ্বীনের উপর অটল ও অবিচল থাকার তৃতীয় মাধ্যম হলো “পরস্পর সত্যের সদুপদেশ প্রদান করা”। অদ্যকার চতুর্থ ক্লাসে দ্বীনের উপর অটল ও অবিচল থাকার এই তৃতীয় মাধ্যমটি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এতে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো অত্যন্ত সরল ও সাবলীলভাবে আলোচনা করা হয়েছে:-
১) ভালো কাজের আদেশ দান এবং মন্দ কাজ হতে নিষেধ প্রদানের মাধ্যমে ছূরাতুল ‘আস্রে বর্ণিত “ওয়া তাওয়াসাও বিল হাক্ব” (এবং যারা পরস্পর সত্যের সদুপদেশ প্রদান করে) এই বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। এছাড়া ক্বোরআনে কারীমে ছূরা আলে ‘ইমরানের ১১০ নং আয়াতে আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেন:-
كُنْتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ.سورة ال عمران-١١٠
অর্থাৎ- তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মাত, মানবজাতির কল্যাণের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎ কাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাঁধা দেবে এবং আল্লাহ্র প্রতি ঈমান আনবে।ছূরা আলে ‘ইমরান- ১১০
শাইখ উক্ত আয়াতের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন।
২) ছূরা আলে ‘ইমরানের ১১০ নং আয়াতের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শাইখ, ফুযাইল ইবনু ‘আয়াযের কাছে লিখা ইমাম ‘আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারাকের (q) একটি চিঠির কথা উল্লেখ করেছেন।
সৎ কাজের আদেশ দান এবং মন্দ কাজ থেকে বাঁধা প্রদানের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা। ভালো কাজের আদেশ এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ প্রদান না করা নিঃসন্দেহে একটি মন্দ কাজ। যেমনটি ছূরা আল মায়িদাহ্র ৭৮-৭৯ নং আয়াতে আল্লাহ 7 ইরশাদ করেছেন।
৩) যারা সৎ কাজের আদেশ করে না এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করে না, তারা কল্যাণ বঞ্চিত।
৪) ছূরা আল মুলকের ২নং আয়াত-
الَّذِي خَلَقَ الْمَوْتَ وَالْحَيَاةَ لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا وَهُوَ الْعَزِيزُ الْغَفُورُ.سورة الملك- ٢
(অর্থাৎ- যিনি সৃষ্টি করেছেন মরণ ও জীবন, যাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন- কে তোমাদের মধ্যে কর্মে শ্রেষ্ট) এর সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা এবং এ আয়াত সম্পর্কে ইমাম ফুযাইল ইবনু ‘আয়ায (o) এর বক্তব্য।
৫) “আসওয়াব” (সবচেয়ে সঠিক) ও “আখলাস” (সবচেয়ে খাঁটি) বলতে কি বুঝায়, সে সম্পর্কে ইমাম ফুযাইল ইবনু ‘আয়ায o এর ব্যাখ্যা।
৬) ঈমান বা ‘আক্বীদাহ সম্পর্কিত বিষয়ে দা‘ওয়াতের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা।
৭) নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর জ্ঞান অর্জন আমাদেরকে ধৈর্যশীল হতে সাহায্য করবে এবং পাপ কাজ থেকে দূরে থাকতে এবং আল্লাহ্র (8) নির্দেশ পালন করতে এবং তাঁর প্রতি আনুগত্যশীল হতে সাহায্য করবে-
ক) পূর্ববর্তী জাতিগুলো কিভাবে ধৈর্যধারণ করেছিল এবং অধৈর্য হওয়ার কারণে কিরূপ শাস্তি পেয়েছিল? ধৈর্যশীলদের জন্যে আল্লাহ্র (7) কাছে কিরূপ প্রতিদান রয়েছে?
খ) ক্বারূন ও তার অনুকরণ কারীদের ঔদ্ধত্য ও দাম্ভিকতা।
গ) কোন দেশ বা সমাজে যদি দ্বীনী দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করা সম্ভবপর না হয়, তাহলে সেখান থেকে হিজরাত করা আবশ্যক।
ঘ) সাব্র বা ধৈর্যধারণ দ্বীনের উপর অটল ও অবিচল থাকতে সাহায্য করে।
ঙ) সাব্র এবং দু‘আর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা। ধৈর্যহারা হওয়া থেকে সাবধান ও সতর্কীকরণ।
চ) জাগতিক বিষয়ে ধৈর্যহারা হওয়ার কিছু উদাহরণ।