উছতায আবূ ছা‘আদাহ হাম্মাদ বিল্লাহ c এই অডিও বক্তব্যে নারীদের সম-সাময়িক বিভিন্ন সমস্যা এবং এসকল সমস্যা থেকে উত্তোরণের পথ ও পদ্ধতি বিষয়ে ক্বোরআন-ছুন্নাহ্র আলোকে অত্যন্ত মূল্যবান আলোচনা পেশ করেছেন। পারিবারিক এবং বৈবাহিক জীবনে নারীরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হওয়া, সন্তানদের লালন-পালন করা, সুখী ও সমৃদ্ধ পরিবার গড়ে তোলা, ঘরের বাইরে কাজ-কর্ম করা ইত্যাদি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে এখানে আলোচনা করা হয়েছে। তন্মধ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয় এখানে তুলে ধরা হলো:-
১) মুখের দ্বারা তথা কথার দ্বারা একজন লোক তার ইহ ও পরকালকে বিনষ্ট করে ফেলতে পারে। আমাদের পরিবার ও সমাজে যে সমস্যাগুলো দেখা দেয়, এর বেশিরভাগই মূলতঃ মুখের বা কথার দ্বারা সৃষ্ট। উছতায উদাহরণসহ বিষয়টি আলোচনা করেছেন।
২) উছতায পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি বজায় রাখতে হলে অবশ্যই মুখকে হিফাযাত ও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
৩) মু‘আয ইবনু জাবাল 3 বর্ণিত নিম্নোক্ত হাদীছ সম্পর্কে আলোচনা-
يَا رَسُلَ اللهِ أَخْبِرْنِي بِعَمَلٍ يُدْخِلُنِي الْجَنَّةَ، وَيُبَاعِدُنِي عَنِ النَّارِ، قَالَ: لَقَدْ سَأَلْتَ عَنْ عَظِيمٍ، وَإِنَّهُ لَيَسِيرٌ عَلَى مَنْ يَسَّرَهُ اللهُ تَعَالَى عَلَيْهِ: تَعْبُدُ اللهَ لاَ تُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا، وَتُقِيمُ الصَّلاَةَ، وَتُؤْتِي الزَّكَاةَ، وَتَصُومُ رَمَضَانَ، وَتَحُجُّ الْبَيْتَ. ثُمَّ قَالَ: أَلاَ أَدُلُّكَ عَلَى أَبْوَابِ الْخَيرِ: الصَّوْمُ جُنَّةٌ، وَالصَّدَقَةُ تُطْفِىءُ الْخَطِيئَةَ كَمَا يُطْفِىءُ الْمَاءُ النَّارَ، وَصَلاَةُ الرَّجُلِ فِي جَوْفِ اللَّيْلِ، ثُمَّ تَلاَ
تَتَجَافَى جُنُوبُهُمْ عَنِ الْمَضَاجِعِ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ خَوْفًا وَطَمَعًا وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنفِقُونَ. فَلَا تَعْلَمُ نَفْسٌ مَّا أُخْفِيَ لَهُم مِّن قُرَّةِ أَعْيُنٍ جَزَاء بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
ثمَّ قَالَ: أَلاَ أُخْبِرُكَ بِرَأْسِ الأَمْرِ وَعَمُودِهِ وَذِرْوَةِ سَنَامِهِ؟ قُلْتُ: بَلَى يَا رَسُولُ اللهِ. قَالَ: رَأْسُ الأَمْرِ الإِسْلاَمُ، وَعَمُودُهُ الصَّلاَةُ، وَذِرْوَةُ سَنَاِمِه الْجِهَادُ. ثُمَّ قَالَ: أَلاَ أُخْبِرُكَ بِمَلاَكِ ذلِكَ كُلِّهِ؟. فَقُلْتُ: بَلَى يَا رَسُولَ اللهِ، فَأَخَذَ بِلِسَانِهِ وَقَالَ: كُفَّ عَلَيْكَ هذَا. قُلْتُ: يَا نَبِيَّ اللهِ، وَإِنَّا لَمُؤَاخَذُونَ بِمَا نَتَكَلَّمُ بِهِ؟ فَقَالَ: ثَقِلَتْكَ أُمُّك، وَهَلْ يَكُبُّ النَّاسَ فِي النَّارِ عَلَى وُجُوهِهِمْ ـ أَوْ قَالَ: عَلَى مَنَاخِرِهِمْ ـ إِلاَّ حَصَائِدُ أَلْسِنَتِهِمْ؟ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ
অর্থ- হে আল্লাহ্র রাছূল! আমাকে এমন একটি ‘আমাল সম্পর্কে বলুন, যেটি আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাতে এবং জাহান্নাম থেকে দূরে রাখতে পারবে। রাছূলুল্লাহ 1 বললেন:- তুমি এক মহান বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে, তবে আল্লাহ যারা জন্য সহজ করে দেন বিষয়টি তার জন্য খুবই সহজ। তুমি আল্লাহ্র ‘ইবাদাত করবে, তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক করবে না, সালাত ক্বায়িম করবে, যাকাত দেকে, রামাযান মাসের রোযা পালন করবে এবং বায়তুল্লাহ্র হাজ্জ করবে। অতঃপর বললেন:- আমি কি তোমাকে (হে মু‘আয!) সকল কল্যাণের দরজাগুলো সম্পর্কে নির্দেশনা দেব: (জেনে রেখো) রোযা হলো ঢাল স্বরূপ, আর সাদাক্বাহ ভুল-ত্রুটিগুলোকে এমনভাবে মিটিয়ে দেয় যেমন পানি আগুনকে নিভিয়ে দেয়, এমনিভাবে মধ্যরাতে ব্যক্তির সালাতও (গুনাহ-খাত্বাগুলোকে মিটিয়ে দেয়)। অতঃপর তিনি (রাছূলুল্লাহ 1 ছূরা আছ্ ছাজদাহ এর ১৬ ও ১৭নং আয়াত) তিলাওয়াত করেন:-
অর্থাৎ- “তাদের পার্শ্বদেশ বিছানা থেকে উঠে যায়, তারা তাদের রাবকে ডাকে ভয় ও আশা নিয়ে এবং আমি তাদেরকে যে রিয্ক্ব দিয়েছি তারা তা থেকে ব্যয় করে। সুতরাং কেউ জানে না তাদের জন্য চোখের প্রশান্তিদায়ক কি-সব লুকায়িত রয়েছে তাদের কর্মের প্রতিদান স্বরূপ”।
তারপর তিনি (রাছূলুল্লাহ 1) বলেন:-(হে মু‘আয!) আমি কি তোমাকে (দ্বীনের) প্রধান বিষয়, তার ভিত্তি ও তার সর্বোচ্চ চূড়া সম্পর্কে অবহিত করব? আমি বললাম:- হ্যাঁ, অবশ্যই হে আল্লাহ্র রাছূল! তিনি বললেন:- (দ্বীনের) প্রধান বিষয় হলো- ইছলাম, তার ভিত্তি হলো- সালাত এবং তার সর্বোচ্চ চূড়া হলো- জিহাদ। অতঃপর তিনি (রাছূলুল্লাহ 1) বলেন:-(হে মু‘আয!) যে বিষয়টির উপর উক্ত বিষয়গুলো (‘ইবাদাতগুলো) নির্ভরশীল, আমি কি সে সম্পর্কে তোমাকে অবহিত করব? আমি বললাম:- হ্যাঁ, অবশ্যই হে আল্লাহ্র রাছূল! তাই তিনি তাঁর জিহ্বা টেনে ধরলেন এবং বললেন:- তোমার করণীয় হলো এটিকে নিবৃত্ত রাখা। আমি বললাম- হে আল্লাহ্র নাবী! আমরা কি আমাদের কথা-বার্তার জন্যও পাকড়াও হবো? রাছূলুল্লাহ 1 বললেন:- হে মু‘আয, তোমার মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুন! মানুষকে টেনে-হিচড়ে তাদের মুখের উপর কিংবা নাকের উপর জাহান্নামে ফেলা হবে কেবল তাদের মুখের কারণে (মুখের দ্বারা অর্জিত গুনাহের কারণে)।জামে‘ তিরমিযী
ক্লাস শেষে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদান করা হয়:-
ক) السلام عليكم ورحمة الله وبركاته। আল্লাহ্ 0 শাইখকে এবং আমাদের দ্বীনী ভাই ও বোনদেরকে যারা এই চমৎকার বক্তব্যগুলো শুনছেন তাদের দ্বীনী জ্ঞান আরো বাড়িয়ে দিন। আল্লাহ্র (8) রাহ্মাত যে, আমরা একই সাথে আহলুছ্ ছুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের ইমামগণের নির্ভরযোগ্য গ্রন্থ থেকে আহলুছ্ ছুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের ‘আক্বীদাহ সম্পর্কে জানতে পারছি। আমার প্রশ্ন হলো- আমাদের সমাজে প্রায়শঃই দেখা যায় যে, যখন কেউ ছুন্নাহ অনুযায়ী সঠিকভাবে দ্বীন চর্চা করতে শুরু করে তখন তার নিকটবর্তী এমনকি প্রিয়জনরাও বিষয়টিকে কোনরূপ গুরুত্ব প্রদান করে না, এমনকি তাদের অনেকে তাকে অপমানও করে থাকে। এই পরিস্থিতিতে তার প্রতিক্রিয়া কেমন হওয়া উচিত?
আল্লাহ 0 আপনার মধ্যে বারাকাহ দান করুন।