কালিমাতুশ্ শাহাদাহ এর সাতটি শর্ত (কোন কোন ‘উলামায়ে কিরাম বলেছেন- আটটি শর্ত) একত্রে; একই সাথে পূরণ করতে হবে। তা হলেই কেবল প্রকৃত অর্থে মুছলমান হওয়া যাবে।
কালিমাতুশ্ শাহাদাহ্ ّ“لا اله إلا الله” এর শর্তগুলো হলো যথা:-
(১) জ্ঞান, যাতে থাকবে না অজ্ঞতার লেশমাত্র।
অর্থাৎ, সুস্পষ্টভাবে জানতে হবে এই কালিমাহ্র প্রকৃত অর্থ, তাৎপর্য, এবং এর দাবি ও চাহিদা।
কেননা আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেন:-
فَاعْلَمْ أَنَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ.سورة محمد- ١٩
অর্থাৎ- আর জেনে রেখো, আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোন মা‘বূদ নেই।ছূরা মুহাম্মাদ- ১৯
এ সম্পর্কে রাছূল 1 বলেছেন:-
مَنْ مَاتَ وَهُوَ يَعْلَمُ أَنَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، دَخَلَ الْجَنَّةَ.رواه مسلم
অর্থাৎ- যে ব্যক্তি এমন অবস্থায় মারা গেল যে, (জীবিত অবস্থায়) সে ভালো করে জানত, “আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন সত্য ও সত্যিকার মা‘বূদ নেই”, সে ব্যক্তি অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে।সাহীহ্ মুছলিম
(২) সুদৃঢ় বিশ্বাস, যাতে থাকবে না সন্দেহের গন্ধমাত্র।
অর্থাৎ কোনরূপ সন্দেহ ব্যতীত অন্তরে দৃঢ়ভাবে এই বিশ্বাস পোষণ করতে হবে যে, একমাত্র আল্লাহ b ব্যতীত আর কোন সত্য ও সত্যিকার মাবূদ নেই। কেননা আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেন:-
إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ آمَنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ ثُمَّ لَمْ يَرْتَابُوا.سورة الحجرات- ١٥
অর্থাৎ- সত্যিকারের মু’মিন হচ্ছে তারাই, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাছূলের উপর ঈমান এনেছে এবং ঈমান আনার পর তাতে কোনোরূপ সন্দেহ পোষণ করে না।ছূরা হুজুরাত- ১৫
এ সম্পর্কে রাছূল 1 বলেছেন:-
أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَأَنِّي رَسُولُ اللهِ، لَا يَلْقَى اللهَ بِهِمَا عَبْدٌ غَيْرَ شَاكٍّ فِيهِمَا، إِلَّا دَخَلَ الْجَنَّةَ.رواه مسلم
অর্থ- “আমি এই সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ছাড়া সত্য কোনো মা‘বূদ নেই এবং আমিই (মুহাম্মাদ) আল্লাহ্র রাছূল”। যে ব্যক্তি এ দু’টি শাহাদাহ্র (ঘোষণা ও সাক্ষ্যের) ব্যাপারে কোনরূপ সন্দেহ পোষণ না করে আল্লাহ্র নিকট উপস্থিত হবে (মৃত্যুবরণ করবে), সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে ।সাহীহ্ মুছলিম
(৩) ইখলাস বা একনিষ্ঠতা, যাতে থাকবে না শির্কের গন্ধমাত্র।
অর্থাৎ কথা, কাজ ও অন্তরকে আল্লাহ্র জন্য বিশুদ্ধ ও পরিশুদ্ধ করে শুধুমাত্র রাছূলের (1) ছুন্নাহ অনুযায়ী যাবতীয় ‘ইবাদাত একমাত্র আল্লাহ্র (7) সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে করা। আল্লাহ b ভিন্ন অন্য কাউকে তাতে সামান্যতম অংশীদার না করা।
কেননা আল্লাহ b ইরশাদ করেছেন:-
وَمَا أُمِرُوا إِلَّا لِيَعْبُدُوا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ حُنَفَاء.سورة البينة- ٥
অর্থাৎ- আর তাদেরকে শুধু এ নির্দেশই দেয়া হয়েছে যে, তারা আল্লাহ্র ‘ইবাদাত করবে দ্বীনকে (‘ইবাদাতকে) তাঁর জন্য খাঁটি ও বিশুদ্ধ করে।ছূরা আল বায়্যিনাহ- ৫
এ সম্পর্কে রাছূল 1 বলেছেন:-
أَسْعَدُ النَّاسِ بِشَفَاعَتِي يَوْمَ القِيَامَةِ، مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، خَالِصًا مِنْ قَلْبِهِ، أَوْ نَفْسِهِ.رواه البخاري
অর্থ- ক্বিয়ামাতের দিন আমার সুপারিশ লাভে ঐ ব্যক্তি সবচেয়ে সৌভাগ্যবান হবে, যে অন্তরের অন্তস্থল থেকে পূর্ণ নিষ্ঠার সাথে “লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ্’’ বলবে।সাহীহ্ বুখারী
রাছূল 1 আরও বলেছেন:-
إِنَّ اللهَ قَدْ حَرَّمَ عَلَى النَّارِ مَنْ قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ يَبْتَغِي بِذَلِكَ وَجْهَ اللهِ.رواه مسلم
অর্থ- নিশ্চয়ই আল্লাহ b ঐ ব্যক্তির জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম করে দিয়েছেন, যে একমাত্র আল্লাহ্র (0) সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে “লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ” বলে।সাহীহ্ মুছলিম
(৪) বিশুদ্ধ সত্যবাদীতা, যাতে থাকবে না নিফাক্ব (মোনাফিক্বি) বা কপটতার গন্ধমাত্র।
অর্থাৎ পূর্ণ সততা ও সত্যবাদীতার সাথে খাঁটি মনে সর্বান্তকরণে এই কালিমাহ্কে স্বীকার করা, যাতে কথার সাথে অন্তরের এবং অন্তরের সাথে কথার পূর্ণ মিল থাকবে। তাই কেউ যদি শুধু মুখে “লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ” বলে, আর তার অন্তরে যদি এই কালিমাহ্র অর্থের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস না থাকে, তাহলে সে মুছলমান হতে পারবে না, বরং সে হবে মুনাফিক্ব।
এ সম্পর্কে আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেন:-
الم. أَحَسِبَ النَّاسُ أَن يُتْرَكُوا أَن يَقُولُوا آمَنَّا وَهُمْ لَا يُفْتَنُونَ. وَلَقَدْ فَتَنَّا الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ فَلَيَعْلَمَنَّ اللَّهُ الَّذِينَ صَدَقُوا وَلَيَعْلَمَنَّ الْكَاذِبِينَ.سورة العنكبوت ١-٣ .
অর্থাৎ- আলিফ লা-ম মী-ম। মানুষ কি মনে করে যে, তারা একথা বলেই অব্যাহতি (ছাড়) পেয়ে যাবে যে, “আমরা বিশ্বাস করি” এবং তাদেরকে পরীক্ষা করা হবে না? আমি তাদেরকেও পরীক্ষা করেছি, যারা তাদের পূর্বে ছিল। আল্লাহ অবশ্যই জেনে নেবেন যারা সত্যবাদী এবং নিশ্চয়ই জেনে নেবেন মিথ্যুকদেরকে।ছূরা আল ‘আনকাবূত- ১-৩
এ সম্পর্কে রাছূল 1 ইরশাদ করেছেন-
مَا مِنْ أَحَدٍ يَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، صِدْقًا مِنْ قَلْبِهِ، إِلَّا حَرَّمَهُ اللَّهُ عَلَى النَّارِ.رواه البخاري و مسلم
অর্থ- যে কেউ তার অন্তর থেকে সত্য জেনে সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোন সত্য মা‘বুদ নেই এবং মুহাম্মাদ 1 আল্লাহ্র রাছূল, তাহলে আল্লাহ 7 তার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম করে দেন।সাহীহ্ বুখারী ও সাহীহ্ মুছলিম
(৫) আল্লাহ্র প্রতি এমন অগাধ ভালোবাসা, যাতে থাকবে না আল্লাহ্র (0) প্রতি কিংবা আল্লাহ্র দ্বীনের কোন বিষয়ের প্রতি সামান্যতম ঘৃণা বা বিদ্ধেষ। সুতরাং কেউ যদি মুখে “লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ” স্বীকার করে, আর তার অন্তরে যদি আল্লাহ্র (8) কিংবা আল্লাহ্র দ্বীনের প্রতি সামান্যতম ঘৃণা থাকে, তাহলে সে ব্যক্তি কাফির বলে গণ্য হবে। কেননা আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেন-
قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللّهُ.سورة آل عمران- ٣١
অর্থাৎ- বলুন! যদি তোমরা আল্লাহ্কে (b) ভালোবাস তাহলে আমার অনুসরণ করো, এতে আল্লাহ তোমাদেরকে ভালোবাসবেন।ছূরা আলে ইমরান- ৩১
আল্লাহ 0 আরো ইরশাদ করেছেন:-
وَمِنَ النَّاسِ مَن يَتَّخِذُ مِن دُونِ اللّهِ أَندَاداً يُحِبُّونَهُمْ كَحُبِّ اللّهِ وَالَّذِينَ آمَنُواْ أَشَدُّ حُبًّا لِّلّهِ.سورة البقرة- ١٦٥
অর্থাৎ- এবং মানুষের মধ্যে এমনও লোক রয়েছে, যারা অন্যান্যকে আল্লাহ্র সমকক্ষ সাব্যস্ত করে এবং তাদের প্রতি তেমনি ভালোবাসা পোষণ করে, যেমন আল্লাহ্র প্রতি ভালোবাসা হয়ে থাকে। কিন্ত যারা ঈমানদার, তারা আল্লাহ্র প্রতি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা পোষণকারী।ছূরা আল বাক্বারাহ- ১৬৫
এমনিভাবে মানুষের প্রতি এ কালিমাতুশ্ শাহাদাহ্’র অন্যতম দাবি হলো:- যে সব মু’মিন বান্দাহ “লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ” এর এসব শর্ত পালন করেন, তারা শুধু তাদেরকেই (মু’মিন বান্দাহ্দেরকেই) আল্লাহ্র (7) রাহে ভালোবাসবে এবং যারা তা (“লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ” এর এসব শর্ত) অমান্য বা লঙ্ঘন করে তাদেরকে ঘৃণা করবে।
এ সম্পর্কে রাছূল 1 বলেছেন:-
ثَلاَثٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ وَجَدَ حَلاَوَةَ الإِيمَانِ: أَنْ يَكُونَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا سِوَاهُمَا، وَأَنْ يُحِبَّ المَرْءَ لاَ يُحِبُّهُ إِلَّا لِلَّهِ، وَأَنْ يَكْرَهَ أَنْ يَعُودَ فِي الكُفْرِ كَمَا يَكْرَهُ أَنْ يُقْذَفَ فِي النَّارِ.رواه البخاري و مسلم
অর্থ- তিনটি গুণ যার মধ্যে আছে সে ব্যক্তি তদ্বারা ঈমানের স্বাদ পাবে।
(এক) আল্লাহ 0 এবং আল্লাহ্র (0) রাছূল 1 তার নিকট সমস্ত কিছু হতে সর্বাধিক প্রিয় হবেন।
(দুই) শুধুমাত্র আল্লাহ্র (b) সন্তুষ্টি লাভের নিমিত্ত কাউকে ভালোবাসবে।
(তিন) কুফ্রীতে ফিরে যাওয়াকে তেমনি ঘৃণা করবে, যেমনি আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়াকে ঘৃণা করে।
সাহীহ্ বুখারী ও সাহীহ্ মুছলিম
(৬) এই কালিমাহ্কে নির্দ্ধিধায় প্রফুল্ল মনে এমনভাবে গ্রহণ করা, যাতে অস্বীকার বা বর্জন করার কোন অবকাশ থাকবে না।
অর্থাৎ এই কালিমাহ্র প্রকৃত অর্থকে সন্তুষ্টচিত্তে দৃঢ়ভাবে গ্রহণ ও পালন করা এবং খুশি মনে এর (এই কালিমাহ্র) দাবি ও চাহিদা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা। অন্যথায় প্রকৃত অর্থে মুছলমান হওয়া যাবে না।
তাইতো মুশরিকদের অবস্থা বর্ণনা করে আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেন:-
إِنَّهُمْ كَانُوا إِذَا قِيلَ لَهُمْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ يَسْتَكْبِرُونَ. وَيَقُولُونَ أَئِنَّا لَتَارِكُوا آلِهَتِنَا لِشَاعِرٍ مَّجْنُونٍ.سورة الصافات- ٣٥-٣٦
অর্থাৎ- তাদেরকে যখন লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’র কথা বলা হয়, তারা তখন ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করে এবং বলে যে, আমরা কি এক পাগল কবির কথায় আমাদের উপাস্যগুলোকে ছেড়ে দিব?ছূরা আস্সা-ফ্ফা-ত- ৩৫-৩৬
(৭) “لا إله إلا الله” এর দাবি ও চাহিদার প্রতি পূর্ণ বিনয় ও আনুগত্য প্রদর্শন, যাতে থাকবে না কোনরূপ অহঙ্কার বা নাফরমানির লেশমাত্র।
তাই কেউ যদি মুখে “লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ” বলে, কিন্ত সকলপ্রকার তাগুতকে (বাত্বিল উপাস্যকে) অস্বীকার ও বর্জন করতঃ এক আল্লাহ্র ‘ইবাদাত না করে এবং আল্লাহ 0 ও তাঁর রাছূলের (1) আদেশ-নিষেধের প্রতি তথা আল্লাহ 0 প্রদত্ত শারী‘য়াতের প্রতি পূর্ণ বিনয়ী ও আনুগত্যশীল না হয়, বরং ইবলীছের ন্যায় দম্ভ, অহঙ্কার ও ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করে, তাহলে সে মুছলমান বলে গণ্য হবে না।
তাইতো আল্লাহ 0 আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন:-
وَأَنِيبُوا إِلَى رَبِّكُمْ وَأَسْلِمُوا لَهُ.سورة الزمر- ٥٤
অর্থাৎ- আর তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের দিকে প্রত্যাবর্তন করো এবং তাঁর নিকট সম্পূর্ণরূপে আত্মসমর্পণ করো।ছূরা আয্যুমার- ৫৪
আল্লাহ 7 আরো ইরশাদ করেছেন:-
بَلَى مَنْ أَسْلَمَ وَجْهَهُ لِلّهِ وَهُوَ مُحْسِنٌ فَلَهُ أَجْرُهُ عِندَ رَبِّهِ وَلاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ.سورة البقرة- ١١٢
অর্থাৎ- হ্যাঁ, যে ব্যক্তি নিজেকে আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে সমর্পণ করেছে এবং সে সৎকর্মশীলও বটে, তার জন্য তার পালনকর্তার কাছে পুরস্কার রয়েছে, তাদের ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না।ছূরা আল বাক্বারাহ- ১১২
(৮) তাগুত সমূহকে অস্বীকার ও বর্জন করা। অর্থাৎ আল্লাহ 7 ব্যতীত অন্য সকল উপাস্যকে অস্বীকার ও বর্জন করা। আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেন:-
فَمَنْ يَكْفُرْ بِالطَّاغُوتِ وَيُؤْمِن بِاللّهِ فَقَدِ اسْتَمْسَكَ بِالْعُرْوَةِ الْوُثْقَىَ لاَ انفِصَامَ لَهَا.سورة البقرة- ٢٥٦
অর্থাৎ- আর যে ব্যক্তি ত্বাগুতদের অস্বীকার করবে এবং আল্লাহ্র (8) প্রতি ঈমান আনবে, তাহলে নিশ্চয়ই সে এমন এক মজবুত হাতল আকঁড়ে ধরল যা ছুটবার নয়।ছূরা আল বাক্বারাহ- ২৫৬
এ সম্পর্কে রাছূল 1 বলেছেন:-
مَنْ قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَكَفَرَ بِمَا يُعْبَدُ مَنْ دُونِ اللهِ، حَرُمَ مَالُهُ، وَدَمُهُ، وَحِسَابُهُ عَلَى اللهِ.رواه مسلم
অর্থ- যে ব্যক্তি “লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ” বলে এবং আল্লাহ 0 ব্যতীত সকল উপাস্যকে অস্বীকার করে, তার জান ও মাল নিষিদ্ধ (অর্থাৎ হাদ্দ বা ক্বিসাস ব্যতীত অন্য কোন কারণে তাকে কাফির বলে হত্যা করা যাবে না এবং তার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা যাবে না)। আর তার হিসাব আল্লাহ্র কাছে রয়েছে।সাহীহ্ মুছলিম
উল্লেখ্য যে, যেহেতু এই ৮নং শর্তটি মূলত: উল্লেখিত ৭নং শর্তের (“লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ” এর দাবি ও চাহিদার) অন্তর্ভুক্ত, তাই অনেক ‘উলামায়ে কিরাম ৭টি শর্তের কথা বলেছেন।