আল ইমাম মুহাম্মাদ ইবনু সালিহ্‌ আল ‘উছাইমীন কর্তৃক ব্যাখ্যাকৃত আল ইমাম ইবনু ক্বোদামাহ আল মাক্বদিছী রচিত -‘আক্বীদাহ সংকলন- গ্রন্থ (৩৩তম পর্ব)

এই অডিওটি হলো আশ্‌শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু সালিহ্‌ আল ‘উছাইমীন o কর্তৃক ব্যাখ্যাকৃত ইমাম ইবনু ক্বোদামাহ আল মাক্বদিছী o এর সুপ্রসিদ্ধ গ্রন্থ “লুম‘আতুল ই‘তিক্বাদ” এর ধারাবাহিক অডিও ভাষান্তর। বাংলা ভাষায় অডিওরূপে এটি ভাষান্তর করেছেন উছতায হাম্মাদ বিল্লাহ c। এতে ছালাফে সালিহীনের (4) ‘আক্বীদাহ-বিশ্বাসের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। আহলুছ্‌ ছুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের ‘উলামায়ে কিরামের চিরাচরিত স্বভাব–বৈশিষ্ট্যও হলো যে, তারা তাদের লিখনীর মাধ্যমে সর্বাগ্রে বিশুদ্ধ ইছলামী ‘আক্বীদাহ্‌র সংরক্ষণ এবং তা প্রচার ও প্রসার করে থাকেন। বক্তব্যের এ পর্বে উছতায হাম্মাদ বিল্লাহ c বিশেষ করে ক্বাযা ও ক্বাদ্‌র সহ নিম্নোক্ত বিষয়ে আলোচনা করেছেন:-
১) উছতায (c) এই পর্বের শুরুতে পুর্ববর্তী ক্লাসের গুরুত্বপূর্ণ দু’-একটি বিষয় পূণঃ আলোচনা করেন।
২) আমাদের অবশ্য কর্তব্য হলো তাক্বদীরের ভালো ও মন্দে বিশ্বাস পোষণ করা।
৩) তাক্বদীরের প্রতি ঈমান বলতে বুঝায় নিম্নোক্ত চারটি বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা:-

(ক) এই বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে যে, অতীতে যা কিছু ছিল এবং বর্তমান ও ভবিষ্যতে যা কিছু হচ্ছে কিংবা হবে তার সবকিছুই আল্লাহ্‌র (0) জানা আছে। আল্লাহ 7 তাঁর বান্দাহ্‌দের যাবতীয় অবস্থা সম্পর্কে অবহিত। তাদের রিয্ক্ব, মৃত্যুর নির্ধারিত সময়, দৈনন্দিন কার্যাবলীসহ অন্যান্য সব বিষয়াদি সম্পর্কে তিনিই সম্যক অবগত, কোন কিছুই তাঁর অজানা নেই। তিনি পূতঃপবিত্র, সুমহান।
(খ) দৃঢ়ভাবে এই বিশ্বাস পোষণ করতে হবে যে, আল্লাহ যা কিছু নির্ধারণ ও সম্পাদন করেন- সে সব কিছু পূর্ব থেকেই তাঁর জানা রয়েছে এবং সেসব আগে থেকেই তাঁর কাছে লিখা রয়েছে।
(গ) আল্লাহ্‌র (7) কার্যকরী ইচ্ছার প্রতি এই বিশ্বাস স্থাপন করা যে, তিনি যা চান তাই হয় এবং যা তিনি চান না তা হয় না।
(ঘ) দৃঢ়ভাবে এই বিশ্বাস পোষণ করতে হবে যে, সমগ্র বস্তুজগত আল্লাহ্‌র (0) সৃষ্টি। তিনি ব্যতীত না আছে কোন স্রষ্টা, আর না আছে কোন প্রতিপালক (রাব্‌)।

৪) তাক্বদীর সম্পর্কিত উপরোক্ত ৪টি মৌলিক বিষয়কে অস্বীকারকারী কিংবা এগুলো সম্পর্কে ভ্রান্থ ‘আক্বীদাহ পোষণকারীদের বৈশিষ্ট্য। এদের মধ্যে অন্যতম হলো ক্বাদারিয়্যাহ সম্প্রদায়।

 

ক্লাস শেষে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদান করা হয়:-
ক) السلام عليكم.
তাবিয ব্যবহার করা বা ক্বোরআনের আয়াত লিখা তাবিয পানিতে ভিজিয়ে খাওয়া জায়িয কি না? যদি জায়িয না হয়ে থাকে তাহলে ক্বোরআন ও ছুন্নাহ্‌ থেকে এতদ্বিষয়ে কোন প্রমাণ কি উল্লেখ করা যাবে?
খ) যদি কোনো ব্যক্তি মুখে স্বীকার করেন যে, তিনি তাকদীরের ভালো-মন্দে বিশ্বাস পোষণ করেন, কিন্তু যখন তার উপর কোনো মন্দ আপতিত হয় তখন তিনি যদি তার উপর নির্ধারিত বিষয়কে মেনে নিয়ে যথাযথ সবর করতে না পারেন, তাহলে তার ঈমান কি পরিপূর্ণতা পাবে? শুধু মুখের স্বীকারোক্তি কি একজন মুছলিমের জন্য যথার্থ হবে?
গ)ক্বাদরের (তাক্বদীরের) ভালো ও মন্দে বিশ্বাসের দাবিগুলো কি কি? جزاك الله خيرا
ঘ) কখন কিভাবে দু‘আ তাক্বদীরকে পরিবর্তন করে? দু‘আ দ্বারা কি তাক্বদীর সাধারণভাবে পরিবর্তন হয়ে থাকে?
ঙ) আল্লাহ 1 উছতাযকে উত্তম প্রতিদান প্রদান করুন। আমার প্রশ্ন হচ্ছে- ‘‘ইরাদাহ” এবং ‘‘মাশীয়াহ” এর মধ্যে পার্থক্য কি?

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close