ড. আশ্‌ শাইখ সালিহ্‌ আল ফাওযান কর্তৃক ব্যাখ্যাকৃত ইমাম আল বারবাহারী রচিত “শারহুছ্ ছুন্নাহ (ছুন্নাতের ব্যাখ্যা)” (৩২তম পর্ব)

এটি মুহ্‌তারাম আশ্‌শাইখ সালিহ্‌ আলফাওযান (c) কর্তৃক আহলে ছুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের প্রখ্যাত ইমাম- ইমাম আল বারবাহারী (o) এর অনবদ্য গ্রন্থ “শারহুছ্‌ ছুন্নাহ” এর অতি চমৎকার ও মূল্যবান ব্যাখ্যাগ্রন্থের অডিও ভাষান্তর। বাংলা ভাষায় গ্রন্থটি ধারাবাহিকভাবে অডিও ভাষান্তর করছেন উছতায আবূ ছা‘আদা হাম্মাদ বিল্লাহ (c)।
এই পর্বে ইছলামী ‘আক্বীদাহ্‌র অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় “মু’মিনদের আল্লাহ্‌কে (0) স্বচক্ষে দেখা-”সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়া এত নিম্নোক্ত বিষয়াদী সম্পর্কেও অত্যন্ত চমৎকার আলোচনা করা হয়েছে:-
১) ‘আক্বীদাহ বিষয়ক জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা। এটিকে (‘আক্বীদাহ বিষয়ক জ্ঞান অর্জনকে) তুচ্ছ বা হালকা মনে করার কোন অবকাশ নেই।
২) আ-খিরাতে আল্লাহ্‌কে (7) দেখার বিষয়ে মুছলমান দাবীদারগণ নিম্নোক্ত তিন ভাগে বিভক্ত:

(এক) যারা আল্লাহ্‌কে (0) দুন্‌ইয়াতে হোক বা আখিরাতে হোক, স্বচক্ষে দেখতে পাওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করে। এদের মধ্যে অন্যতম হলো- জাহ্‌ম ইবনু সাফওয়ান ও তার অনুসারী, রাফিযী, মু‘তাযিলাহ, ইমামিয়্যাহ, যায়দিয়্যাহ সম্প্রদায় এবং মুরজিয়াহ সম্প্রদায়ের কিছু সংখ্যক লোক।
(দুই) আশ‘আরী সম্প্রদায়। তারা আ-খিরাতে আল্লাহ্‌কে (8) দেখার বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করে না, কিন্তু তাদের বিশ্বাস হলো- পরকালে মানুষ আল্লাহ্‌কে (7) সরাসরি     দেখতে পারবে না বরং তাঁকে অনুভব করতে পারবে। উছতায হাম্মাদ বিল্লাহ (c) এ বিষয়ে ইমাম আবুল হাছান আল আশ‘আরী-র (o) ‘আক্বীদাহ ও অভিমত ব্যাখ্যা করেছেন

(তিন) আ-খিরাতে আল্লাহ্‌কে (0) দেখার বিষয়ে আহলুছ্‌ ছুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের ‘আক্বীদাহ-বিশ্বাস ।

 

ক্লাস শেষে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদান করা হয়:-
১) السلام عليكم ورحمة الله وبركاته।
রাছূলুল্লাহ (1) আল্লাহ্‌কে দেখেছেন কি-না, এই বিষয় নিয়ে আমাদের মুছলিম সমাজে নানা রকম বিভ্রান্তি বিদ্যমান, এ বিষয়ে বিশুদ্ধ ‘আক্বীদাহ কি হওয়া উচিত?
২) السلام عليكم।
উছতায! আমাদের সমাজে অনেকে বলে, রাছূলুল্লাহ (1) আল্লাহ্‌কে (0) স্বপ্নে দেখেছেন, এই কথাটার সত্যতা কতটুক?
৩) السلام عليكم ورحمة الله وبركاته।
শাইখ! ‘আরাফাহ্‌র দিন সিয়াম পালনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন জায়গায় অবস্থানরত মুছলমানদেরকে এ বিষয়ে চরম সংশয় পোষণ করতে দেখা যায় যে, তারা সৌদি ‘আরাবে চাঁদ দেখার উপর ভিত্তি করে ‘আরাফাহ্‌র দিনের রোযা রাখবেন না-কি স্বীয় দেশে চাঁদ দেখার উপর ভিত্তি করে রোযা রাখবেন? অনুগ্রহ করে এ বিষয়ে আমাদেরকে সত্য-সঠিক পরামর্শ দিন। আল্লাহ 7 আপনার মধ্যে বারাকাহ দান করুন।
৪) ক্বিয়ামাতের দিন বিচারের অপেক্ষায় অপেক্ষমাণ একজন মুছলিমকেও কি অমুছলিমের মতো শাস্তি ভোগ করতে হবে?
৫) السلام عليكم ورحمة الله।
আমাদের ঢাকায় কোনো ছালাফি মাছজিদ আছে কি-না? কারণ আহলে হাদিছ মাছজিদগুলি তাদের সংগঠন এ বিভক্ত। প্রত্যেকে নিজ নিজ সংগঠনের দিকে দাওয়াত দিচ্ছে। জুমু‘আ সালাতে প্রকৃত ছালাফি মানহাজ ভিত্তিক মাছজিদ এর অভাববোধ করছি।
৬) কুরবানির পশুর চামড়া থেকে প্রাপ্ত অর্থ বিদ‘আতী মাদ্‌রাছাগুলো নিয়ে যায়। এই অর্থ কিভাবে আমরা ছালাফি দা‘ওয়াত এ কাজে লাগাতে পারি?
৭) আমাদের আগামি প্রজন্ম দ্বীন শিখতে পারে এমন কোনো প্রতিষ্ঠান বর্তমানে আছে কি-না বা উছতাযের করার ইচ্ছা আছে কিনা?
৮) السلام عليكم ورحمة الله।
শাইখ! যারা বলে থাকে যে, আমরা জানি যে ইমাম আবু হানীফাহ ও তাঁর উছতায শাইখ হাম্মাদ ইবনু ছুলাইমান ও মুরজিয়াহ সম্প্রদায়ের ন্যায় এই ‘আক্বীদাহ পোষণ করতেন যে, ‘আমাল ঈমানের অংশ নয়।
তাহলে এটা কি একতা প্রমান করে না যে, ‘আক্বীদাহ সংক্রান্ত বিষয়েও ছালাফদের মধ্যে মতানৈক্য ছিল?
৯) কোন বাবা মা যদি ক্বোরবানী দিতে চান, কিন্তু তারা যদি জিলহাজ্বের সুনির্দিষ্ট দিনগুলোতে চুল , নোঁখ কাটা-ছাঁটা থেকে বিরত না থাকেন, তাহলে তাদের ক্বোরবানটি যাতে পরিপূর্ণ ও ছুন্নাহ সম্মতভাবে আদায় হয় সে লক্ষ্যে ছেলে কি তার বাবা- মায়ের পক্ষ থেকে ক্বোরবানী দিতে পারবে?

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close