এটি মুহ্তারাম আশ্শাইখ সালিহ্ আলফাওযান c কর্তৃক আহলে ছুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের প্রখ্যাত ইমাম- ইমাম আল বারবাহারী o এর অনবদ্য গ্রন্থ “শারহুছ্ ছুন্নাহ” এর অতি চমৎকার ও মূল্যবান ব্যাখ্যাগ্রন্থের অডিও ভাষান্তর।
বাংলা ভাষায় গ্রন্থটি ধারাবাহিকভাবে অডিও ভাষান্তর করছেন উছতায আবূ ছা‘আদা হাম্মাদ বিল্লাহ c। এই পর্বে ইছলামী ‘আক্বীদাহ্র অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আর সেটি হলো- “ক্বিয়ামাতের দিন ঈমানদারগণ তাদের মহান পালনকর্তা আল্লাহ্কে (0) স্বচক্ষে (বাহ্যিক/দৈহিক চোঁখে) দেখবেন। তিনি তাদের থেকে হিসাব গ্রহণ করবেন অথচ তাঁর ও বান্দাহদের মধ্যে তখন কোন পর্দা বা আবরণ কিংবা কোন অনুবাদকারী মধ্যস্থ থাকবে না”।
অডিওটিতে নিম্নোক্ত বিষয়াদী অত্যন্ত চমৎকারভাবে আলোচনা করা হয়েছে:-
১) হাশ্রের দিন আল্লাহকে (7) দেখার বিষয়টি ক্বোরআন-ছুন্নাহ দ্বারা অকাট্যরূপে প্রমাণিত। এতদসত্ত্বেও মুছলমান নামধারী পথভ্রষ্ট কতক দল ইছলামী ‘আক্বীদাহ্র এই বিষয়টিকে অস্বীকার করে থাকে।
২) “ক্বিয়ামাতের দিন ঈমানদারগণ তাদের মহান পালনকর্তা আল্লাহ্কে (8) স্বচক্ষে (বাহ্যিক/দৈহিক চোঁখে) দেখবেন”- এর প্রমাণস্বরূপ ক্বোরআনে কারীমের নিম্নোক্ত আয়াত সমূহের ব্যাখ্যা-
ক)
لِّلَّذِينَ أَحْسَنُواْ الْحُسْنَى وَزِيَادَةٌ
অর্থাৎ- যারা উত্তম কর্ম করে তাদের জন্য রয়েছে উত্তম প্রতিফল এবং আরো বেশি কিছু।ছূরা ইউনুছ- ২৬
খ)
وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ نَّاضِرَةٌ – إِلَى رَبِّهَا نَاظِرَةٌ
অর্থাৎ- সেদিন কতক চেহারা উজ্জ্বল-সজীব হবে। তারা তাদের প্রতিপালকের দিকে তাকিয়ে থাকবে।ছূরা আল ক্বিয়ামাহ- ২২-২৩
গ)
كَلاَّ إِنَّهُمْ عَن رَّبِّهِمْ يَوْمَئِذٍ لَّمَحْجُوبُونَ
অর্থাৎ- কক্ষনো না, নিশ্চয়ই সেদিন তারা তাদের প্রতিপালক (এর দর্শন লাভ) থেকে অবশ্যই বঞ্চিত হবে।ছূরা আল মুত্বাফ্ফিফীন- ১৫
৩) মু‘তাযিলাহ সম্প্রদায় দাবি করে যে, কেউ কখনো আল্লাহ্কে দেখতে পাবে না। তারা ক্বোরআনে কারীমের ছূরা আল আ‘রাফের নিম্নোক্ত আয়াতের অপব্যাখ্যার মাধ্যমে মুছলমানদের মধ্যে উক্ত সংশয় ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে থাকে-
وَلَمَّا جَاءَ مُوسَى لِمِيقَاتِنَا وَكَلَّمَهُ رَبُّهُ قَالَ رَبِّ أَرِنِي أَنْظُرْ إِلَيْكَ قَالَ لَنْ تَرَانِي وَلَكِنِ انْظُرْ إِلَى الْجَبَلِ فَإِنِ اسْتَقَرَّ مَكَانَهُ فَسَوْفَ تَرَانِي.سورة الأعراف- ١٤٣
অর্থাৎ- অতঃপর মূছা যখন আমার নির্ধারিত সময়ে এসে হাযির হলেন এবং তাঁর সাথে তাঁর পালনকর্তা কথা বললেন তখন তিনি বললেন- হে আমার প্রতিপালক আমাকে দর্শন দাও, আমি তোমার প্রতি তাকাতে চাই। তিনি বললেন:- তুমি কক্ষনো আমাকে দেখতে পারবে না, তবে পাহাড়ের দিকে তাকাও, যদি সেটি স্বস্থানে অটল থাকে তাহলে তুমি আমাকে দেখতে পাবে।ছূরা আল আ‘রাফ- ১৪৩
উপরোক্ত আয়াতের সঠিক ব্যাখ্যা।
৪) আহলুছ্ ছুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের ‘আক্বীদাহ হলো- এ জগতে আমরা আল্লাহ্কে (0) স্বচক্ষে দেখতে পারব না, কিন্তু আ-খিরাতে মূমিনগণ অবশ্যই আল্লাহ্কে (7) বাহ্যিক চোঁখ দিয়ে দেখবে।
৫) “মূমিনগণ আ-খিরাতে আল্লাহ্কে (0) স্বচক্ষে দেখতে পাবে” এ বিষয়ে ইমাম ইবনু ক্বায়্যিম আল জাওযিয়াহ্র (o) বক্তব্য তাঁর “হা-দী আল আরওয়াহ্” গ্রন্থ থেকে তুলে ধরা হয়েছে।
মু‘তাযিলা সহ আরো কতক পথভ্রষ্ট সম্প্রদায় “আল্লাহ্কে কক্ষনো কেউ স্বচক্ষে দেখতে পাবে না” এই বাত্বিল দাবির সপক্ষে ক্বোরআনে কারীমের যে আয়াতটিকে অপব্যাখ্যার মাধ্যমে প্রমাণ হিসেবে পেশ করে থাকে, ইমাম ইবনু ক্বায়্যিম আল জাওযিয়াহ o সেই একই আয়াত দ্বারা সাতভাবে প্রমাণ করেছেন যে, পরকালে ঈমানদারগণ আল্লাহ্কে (8) তাদের বাহ্যিক-দৈহিক চোঁখ দিয়ে দেখবে।
৬) “আল্লাহ নিরাকার” বলে তথাকথিত ‘আলিমদের ভ্রান্ত দাবি খন্ডন।
ক্লাস শেষে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদান করা হয়:
ক) শাইখ, প্রত্যেক মুছলিম কি ঈমানদার? মুছলিম আর মূমিন কি একই? প্রত্যেক ঈমানদার আল্লাহ কে দেখতে পারবেন। প্রত্যেক মুছলিম কি আল্লাহ্কে দেখতে পাবে না?
খ) রাছূলুল্লাহ 1 আল্লাহকে (0) স্বচক্ষে দেখেছেন কি-না, এ বিষয়ে অনেক মুছলমান সঠিক জ্ঞান ও ‘আক্বীদাহ পোষণ করে না। এ ব্যাপারে শাইখের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
গ) ফাছিক্বরা কি পরিপূর্ণ মুছলিম?