এই অডিওটি হলো শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু ‘উমার বাযমূল c প্রদত্ত “ছালাফে সালিহীনের অনুসৃত নীতির উপর অটল ও অবিচল থাকা” বিষয়ে প্রদত্ত একটি মূল্যবান ‘আরাবী ভাষণের বাংলা ভাষান্তর। ভাষান্তর করেছেন উছতায হাম্মাদ বিল্লাহ c। বক্তব্যে উল্লেখিত মূল বিষয়গুলো:-
১) পূর্ববর্তী ক্লাসের সংক্ষিপ্ত পূণঃআলোচনা।
২) সালাত ও সাব্রের মাঝে পারস্পরিক যোগসূত্র।
৩) মুছলমানদের মূল শক্তি; ঈমান ও তাক্বওয়ার মধ্যে নিহিত। উহুদ যুদ্ধের ঘটনা এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
৪) ফিতনাহ কিংবা বালা-মুসীবতের সম্মুখীন হলে আমাদের করণীয় হলো ধৈর্যধারণ করা এবং বিচলিত না হয়ে এই সুদৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে দ্বীনের উপর অটল ও অবিচল থাকা যে, শেষ উত্তম পরিণতি কেবল মুত্তাক্বীদের জন্যই।
৫) আমাদের করণীয় হলো যথাযথভাবে ধৈর্যধারণ করা, সর্ববস্থায় দ্বীনের উপর অটল ও অবিচল থাকা এবং আল্লাহ্র উপর পূর্ণ ভরসা রাখা।
৬) দ্বীনে ইছলামের শুরুটা ছিলো অজানা-অপরিচিতের ন্যায় এবং তা পুনরায় ঐ অবস্থায় ফিরে যাবে। যেমন বিশুদ্ধ হাদীছে বর্ণিত রয়েছে, রাছূলুল্লাহ 1 বলেছেন-
بَدَأَ الْإِسْلَامُ غَرِيبًا وَسَيَعُودُ كَمَا بَدَأَ غَرِيبًا فَطُوبَى لِلْغُرَبَاءِ
অর্থ- ইছলাম শুরু হয়েছে (আত্মপ্রকাশ করেছে) অজানা-অপরিচিতের ন্যায় এবং তা অচিরেই ঐ অবস্থায় ফিরে যাবে। অতএব জান্নাতের সুসংবাদ রয়েছে (ঐসকল) অজানা-অপরিচিতের জন্যে।সাহীহ্ মুছলিম, ছুনানু ইবনে মাজাহ
৭) এ পর্যায়ে উছতায, বাঙ্গালী মুছলমানদের নিকট প্রকৃত ইছলাম অদ্ভুত ও অজানা-অপরিচিতের ন্যায় হওয়ার বিষয়ে কিছু উদাহরণ পেশ করেন। তিনি বলেন যে, অনেক বাংলাভাষী মুছলমানদের নিকট ঈমান ও ইছলাম ভঙ্গের বিষয়টি অত্যন্ত আশ্চর্যজনক ও অদ্ভুত বলে মনে হয় (তাদের ধারণা, ইমান ও ইছলাম কি আবার বিনষ্ট হয় নাকি!!!)। এমনিভাবে ইছলামে আরো অনেক বিষয় তাদের কাছে খুবই উদ্ভট ও আশ্চর্যজনক মনে হয়। এমনও অনেক লোক এ সমাজে রয়েছে যারা নিজেকে মুছলমান বলে দাবি করে কিন্তু হারাম ও বিদ‘আত কাজে তারা কোন আপত্তি মনে করে না বরং ওগুলোকে সঠিক মনে করে।
৮) গুরাবা বা অজানা-অপরিচিতদের সম্পর্কে ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ o এর বক্তব্য।
৯) গুরাবাদের জন্য সুসংবাদ।
ক্লাশ শেষে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলো করা হয় :-
ক) السلام عليكم। بارك الله فيكم ইয়া উছতায। বাংলাদেশে যারা বিশেষ কিছু ‘ইবাদাতের মাধ্যমে (যেমন নির্দিষ্ট সংখ্যক নাফ্ল সালাত, দু‘আ-দুরূদ, যিক্র-আযকার ইত্যাদির মাধ্যমে) শবে মি‘রাজ (মি‘রাজের রাত বা ২৭ই রাজাব রাত্রি) নির্দিষ্ট করে পালন বা উদযাপন করে থাকে, তাদের প্রতি আপনার নাসীহা বা উপদেশ কী?
খ) সালাতে ছাজদাহরত অবস্থায় বাংলায় দু‘আ করা যাবে কি-না? ছাজদাহরত অবস্থায় কিভাবে দু‘আ করা উত্তম? যেমন: ছাজদাহরত অবস্থায় দুন্ইয়াওয়ী বিষয়ে দুআ করা উচিত হবে কি-না, এবং “ছুবহানা রাব্বিয়াল আ‘লা” তিনবার বলার পরে দু‘য়া করা উচিত কি-না?
গ) ছুন্নাহ অনুসারে সালাত আদায় করা কিভাবে শিখব, যদি কোন আহলুছ্ ছুন্নাহ এবং ছালাফি ‘আলিম বা শিক্ষক এর সংসর্গ লাভ করা সম্ভব না হয়?