এই অডিওটি হলো শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু ‘উমার বাযমূল c প্রদত্ত “ছালাফে সালিহীনের অনুসৃত নীতির উপর অটল ও অবিচল থাকা” বিষয়ে প্রদত্ত একটি মূল্যবান ‘আরাবী ভাষণের বাংলা ভাষান্তর। ভাষান্তর করেছেন উছতায হাম্মাদ বিল্লাহ c। বক্তব্যে উল্লেখিত মূল বিষয়গুলো:-
১) পূর্ববর্তী ক্লাসের সংক্ষিপ্ত পূণঃআলোচনা।
২) প্রত্যেক মু’মিনের জন্য আবশ্যক হলো ধৈর্যধারণ করা এবং এটুকু জেনে রাখা যে, শেষ উত্তম পরিণতি রয়েছে ধৈর্যধারণকরীদের জন্যে। একথার প্রমাণ রয়েছে ছূরা মা‘আরিজ-র ৫নং আয়াতে, ছূরা আল ক্বালাম-র ৪৮ নং আয়াতে, ছূরা আল মুদ্দাছ্ছির-র ৭নং আয়াতে এবং ছূরা আল ইনছানে-র ২৪ নং আয়াতে।
৩) আল্লাহ 7 ক্বিয়ামাত পর্যন্ত একদল লোককে সত্যের উপর সুপ্রতিষ্ঠিত রাখবেন। এরাই হবে বিজয়ী দল।
৪) দ্বীনী বিষয়ে ধৈর্যধারণ দু’প্রকারের হয়ে থাকে-
ক) প্রতিটি বিষয়ের ছাওয়াব বা প্রতিদান সম্পর্কে জেনেশুনে আল্লাহ্র আদেশকৃত বিষয়াদী পালনের উপর, তাঁর নিষেধকৃত বিষয়-বস্তু থেকে বিরত থাকার উপর এবং তার ফায়সালা বা সিদ্ধান্তের উপর ধৈর্যধারণ।
খ) প্রতিদান বা ছাওয়াব সম্পর্কে না জেনে না শুনে এসব বিষয়ের উপর ধৈর্যধারণ।
এক্ষেত্রে যে ব্যক্তি প্রতিদান বা ছাওয়াব সম্পর্কে না জেনে না শুনে আল্লাহ্র আদেশকৃত বিষয়াদী পালনের উপর, তাঁর নিষেধকৃত বিষয়-বস্তু থেকে বিরত থাকার উপর এবং তাঁর ফায়সালা বা সিদ্ধান্তের উপর ধৈর্যধারণ করবে সেই হবে অধিক উত্তম। কেননা প্রকৃত অর্থে এরূপ ধৈর্যধারণের মাধ্যমেই আল্লাহ্র প্রতি নিখাদ বিশ্বাস ও তাঁর প্রতি পরিপূর্ণরূপে আত্মসমর্পণের প্রতিফলন ঘটে।
৫) এ পর্যায়ে উছতায উপরোক্ত দু’প্রকার সাব্র সম্পর্কে বিভিন্ন রকমের প্রমাণ পেশ করেন।
৬) যতই কষ্ট হোক না কেন, মুছলমানের কাজ হলো পরিপূর্ণ ধৈর্যের সাথে দা‘ওয়াতের কাজ অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাওয়া।
৭) উছতায তাদের বিষয়ে আলোচনা করেন, যারা নিজের কঠিন সময়ে আল্লাহ্কে (b) না ডেকে অন্যদেরকে ডাকে (অর্থাৎ- আল্লাহ্র কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে না বরং সরকার কিংবা অন্য কোন প্রভাবশালী ব্যক্তির নিকট সাহায্য চায়)।
৮) মৃত্যূর সময়েও ফির‘আউনের ঔদ্ধত্যের নমূনা।
৯) আমরা আল্লাহ্র প্রতি যেরূপ ধারণা পোষণ করব আল্লাহ্কে আমাদের কাছে সেভাবেই পাব। আমরা যদি আল্লাহ্র (0) প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস ও আশা রাখি তাহলে আল্লাহ অবশ্যই আমাদেরকে দুঃখ-কষ্ট তথা যাবতীয় কঠিন অবস্থা থেকে মুক্তি দেবেন।
১০) আইয়ূব k এর ধৈর্যধারণের নমূনা।