এই অডিওটি হলো শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু ‘উমার বাযমূল c প্রদত্ত “ছালাফে সালিহীনের অনুসৃত নীতির উপর অটল ও অবিচল থাকা” বিষয়ে প্রদত্ত একটি মূল্যবান ‘আরাবী ভাষণের বাংলা ভাষান্তর। ভাষান্তর করেছেন উছতায হাম্মাদ বিল্লাহ c। বক্তব্যে উল্লেখিত মূল বিষয়গুলো:-
১) ৫ম পর্বের সংক্ষিপ্ত পূণঃআলোচনা।
২) সঠিক মানহাজের উপর অটল-অবিচল থাকা আহলুছ্ ছুন্নাহ তথা আহলুল হাদীছের বৈশিষ্ট্য।
৩) মানহাজ কি?
৪) আহলুছ ছুন্নাহ ও আহলুল হাদীছের বৈশিষ্ট্য এবং তাদের বিরুদ্ধবাদীদের বিবরণ।
৫) যারা যে কোন বক্তার ‘আক্বীদাহ ও মানহাজ সম্পর্কে না জেনেই তার বক্তব্য শুনতে যায়, তাদের প্রতি সতর্কতা।
৬) ইছলাম বিষয়ে কোন বক্তার বক্তব্য শুনার আগে অবশ্যই মুছলমানদের সেই বক্তার ‘আক্বীদাহ ও মানহাজ সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে নেয়া আবশ্যক।
৭) আহলুল কালাম সম্পর্কে ইমাম ‘উমার ইবনু ‘আব্দিল ‘আযীয ও ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ্র (q) বক্তব্য।
৮) বাত্বিল ‘আক্বীদাহ ও মানহাজের অনুসারীদের থেকে দূরে থাকা আবশ্যক। যদিও তাদের মধ্যে কিছুটা সত্যের চর্চা থাকে, কেননা তারা হাক্ব ও বাত্বিলকে একত্রিত করে ফেলে।
৯) শুধুমাত্র কারো মাক্কী, মাদানী, আযহারী, লুবনানী, দিমাশক্বী, ইয়ামানী ইত্যাদি ডিগ্রী আছে বলেই তার দিকে দ্রুত এগিয়ে যাওয়া তথা তার বক্তব্য বা দা‘ওয়াতকে তাড়াহুড়ো করে গ্রহণ করা উচিত নয়। কার কতো বড় ডিগ্রী আছে সেটা মুখ্য কোন বিষয় নয়, বরং আমাদেরকে ঐ লোকটির অবস্থা সম্পর্কে যাচাই করতে হবে। আর এটাই হচ্ছে আহলুল হাদীছ, ছালাফী তথা প্রকৃত আহলুছ ছুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের বৈশিষ্ট্য।
১০) প্রকৃতপক্ষে আহলুছ্ ছুন্নাহ্র অনুসারীরাই সঠিক মানহাজের উপরে অটল ও অবিচল থাকেন। আমরা প্রকৃত আহলুল ‘ইল্ম, আহলুছ্ ছুন্নাহ বা আহলুল হাদীছের অনুসারী কাউকে সঠিক ‘আক্বীদাহ ও মানহাজ থেকে বিচ্যুত হতে দেখি না।
১১) আল্লাহ্র (0) দ্বীন অনুসরণ ও অবলম্বনের জন্য সকল নাবী-রাছূল m নির্যাতিত হয়েছেন। এমনিভাবে সাহাবায়ে কিরাম-কে (4) সঠিক দ্বীন ও মানহাজ থেকে বিচ্যুত করার জন্য অনেক নির্যাতন করা হয়েছে, কিন্তু সর্বাবস্থায় তারা ছিলেন সঠিক ‘আক্বীদাহ ও মানহাজের উপর অটল ও অবিচল। আর এটাই হলো নাবী-রাছূলগণের (m), আহলুছ্ ছুন্নাহ, আহলুল হাদীছ ও প্রকৃত ছালাফিয়্যূনের বৈশিষ্ট্য।
১২) এতদ্বিষয়ে ইমাম আহ্মাদ o এর উদাহরণ।
১৩) এতদ্বিষয়ে ইমাম মালিক o এর বক্তব্য।
১৪) নেতৃত্ব চেয়ে নেয়ার বিষয় নয়। আল্লাহ যাকে চান তাকেই নেতৃত্ব দান করেন।
১৫) নিজেদের ‘আক্বীদাহ ও মানহাজ সংশোধন না করে যারা যুদ্ধ ও মারামারি করে কেবল নেতৃত্বলাভ কিংবা ইছলামী রাষ্ট্র ক্বায়িম করতে চায় (নেতৃত্ব কিংবা ইছলামী রাষ্ট্র ক্বায়িমের আন্দোলনে যারা নিয়োজিত তাদের অধিকাংশের বাস্তব চিত্র বা অবস্থা এটাই) তাদের ব্যাপারে সতর্কতা। তারা প্রকৃত অর্থে মুছলমানদের মান-মর্যাদা ক্ষুন্ন করছে।
১৬) তথাকথিত জিহাদীরা ক্বোরআনে কারীমের অনেক আয়াত ও হাদীছ মুখস্ত করে বটে, কিন্তু ছালাফে সালিহীন (4) এসব আয়াত ও হাদীছকে যেভাবে ব্যাখ্যা ও হৃদয়ঙ্গম করেছেন তারা এগুলোকে সেভাবে না বুঝে বরং নিজের মতো করে বুঝে ও ব্যাখ্যা করে থাকে। আর এ কারণেই তারা পথভ্রষ্ট।
১৭) প্রকৃত ছালাফিয়্যূনের মধ্যে দু’টি বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত, একটি হলো- ইয়াক্বীন বা সুদৃঢ় তাওহীদী বিশ্বাস, আর অপরটি হলো- সাব্র বা ধৈর্যধারণ। আর এটাই হলো সফলতা লাভের পথ।
১৮) বাংলাদেশের জনসাধারণের প্রতি উযতায হাম্মাদ c এর উদাত্ত আহবান।
ক্লাস শেষে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলো উপস্থাপন করা হয়:-
ক) কাদেরকে আমরা দ্বীনি ভাই বা দ্বীনী বোন বলে মনে করবো? বিশেষ করে যেসব ভাই বা বোনের ‘আক্বীদাহ-মানহাজ ঠিক নেই তাদের ব্যাপারে আমরা কী নীতি অবলম্বন করব?
খ) যারা মানহাজের বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব দেয় না বরং অনেক সময় মানহাজের ক্ষেত্রে ভ্রষ্টতা বা বিপথগামীতার বিষয়টিকে এড়িয়ে চলে এবং বলে যে “আকীদাহ সঠিক হলেই একজন ব্যক্তি থেকে জ্ঞান অর্জন করা যাবে” আমরা তাদের কি বলবো?
গ) উলুল আম্র্দের (রাষ্ট্রপ্রধান/শাসকবৃন্দকে) সদুপদেশ দানের পথ ও পদ্ধতি কি?
ঘ) ফিলিছতীনের মযলূমদের প্রতি আমাদের করণীয় কি?
ঙ) কোনো ধর্মীয় বই যদি কোনো বিশ্বস্থ লাইব্রেরীতে থাকে, কিন্তু আমরা জানি যে বইটির অনুবাদকের মানহাজ সঠিক নয়, তাহলে কি আমরা সেই বইটি পড়ব?