এটি মুহ্তারাম আশ্ শাইখ সালিহ্ আল ফাওযান c কর্তৃক আহলে ছুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের প্রখ্যাত ইমাম- ইমাম আল বারবাহারী o এর অনবদ্য গ্রন্থ “শারহুছ্ ছুন্নাহ” এর অতি চমৎকার ও মূল্যবান ব্যাখ্যাগ্রন্থের অডিও ভাষান্তর। এতে ইছলামের মৌলিক বিষয়াদী, সঠিক ইছলামী ‘আক্বীদাহ ও মানহাজ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বাংলা ভাষায় গ্রন্থটি ধারাবাহিকভাবে অডিও ভাষান্তর করছেন উছতায আবূ ছা‘আদা হাম্মাদ বিল্লাহ c। বক্তব্যে উছতায c নিম্নোক্ত বিষয়াদী সম্পর্কে আলোচনা করেছেন:-
১) ইমাম বারবাহারী (o) বলেছেন:- “জেনে রেখো! যখনই কেউ কোনরূপ বিদ‘আত অনুশীলন করবে, তখন অনুরূপ ছুন্নাত তার থেকে ছুটে যাবে। সুতরাং দ্বীনের মধ্যে নব-আবিষ্কৃত বিষয়াদী থেকে সতর্ক ও সাবধান থেকো, কেননা প্রতিটি নব-আবিষ্কৃত বিষয়ই হচ্ছে বিদ‘আত, আর প্রতিটি বিদ‘আতই হলো ভ্রষ্টতা আর প্রতিটি ভ্রষ্টতার ঠিকানা হলো জাহান্নাম”। এ বিষয়ে আরো কিছু আলোচনা।
২) নিষিদ্ধ বা হারাম বিষয়-বস্তু থেকে বেঁচে থাকো, কেননা হারাম বিষয়-বস্তুতে কোনরূপ কল্যাণ নেই। যা কিছু মন্দ এবং মানুষের জন্য অনিষ্টকর এমনসব বিষয়-বস্তুকেই আল্লাহ 0 হারাম বা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন।
৩) “যদি কোন বিষয়ে ভালো এবং মন্দ দু’টোই থাকে, এমতাবস্থায় যদি তাতে ভালো থেকে মন্দের পরিমাণ বেশি হয় কিংবা ভালো ও মন্দ উভয়টি সমান সমান হয়, তাহলে ঐ বিষয়টিকে পরিহার বা প্রত্যাখ্যান করো। আর যদি বিষয়টিতে ভালোর পরিমাণ বেশি হয় এবং মন্দের পরিমাণ সামান্য হয় তাহলে এমতবস্থায় সে বিষয়টি গ্রহণ করো। বেশি পরিমাণ কল্যাণ থাকায় অল্প পরিমাণ মন্দের দ্বারা আশা করা যায় কোন ক্ষতি হবে না”। উছতায হাম্মাদ বিল্লাহ c, শাইখ সালিহ্ আল ফাওযান c এর উপরোক্ত বক্তব্যের যথাযথ ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
৪) হারাম ও হালালের ব্যাখ্যা।
ক্লাস শেষে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদান করা হয়-
ক) কোন “প্রকার” ও কোন “মাপের” হারাম কাজের পর তাওবা করে দু’রাকাত সালাত আদায় করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া হলে আশা করা যায় যে আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন? এই ক্ষেত্রে, বর্তমান প্রশাসনে অপরাধের শারী‘য়াতসম্মত শাস্তির বিধান কার্যকর না থাকলে অন্যায়কারী কি একান্তে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে পারবে?
খ) ছালাফে সালিহনের (4) মানহাজ অনুসারী (ছালাফী) কারো জন্য ফেইসবুক ব্যবহার করা কি সমীচীন?
গ) আমরা কি কোন মুছলমান সরকার কিংবা কোন মুছলিম রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে পারব? কোন মুছলমান সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণ কি হাতে অস্ত্র তুলে নিতে তথা সশস্ত্র আন্দোলন করতে পারবে?
ঘ) السلام عليكم ورحمة الله وبركاته।
“মানত” শব্দের সঠিক অর্থ কি বা মানত বলতে কি বুঝায়? বাংলাদেশে আমাদের সমাজে অনেকেই মানত করে থাকেন। যেমন- সন্তান অসুস্থ হলে, তার মা সাথে সাথে এই বলে মানত করেন যে, “যদি আল্লাহ আমার সন্তানকে সুস্থতা দান করেন তাহলে আমি এই—-এই— সাদাক্বাহ করব”।
আমার প্রশ্ন হলো এরূপ মানত করা কি জায়িয? ইছলামে এরূপ মানতের বিধান কী?
بارك الله فيكم।