(১) শির্কে আকবার সবচেয়ে বড় অন্যায় ও অপরাধ। এর প্রমাণ হলো ক্বোরআনে কারীমের নিম্নোক্ত আয়াত- লুক্বমান 5 তাঁর ছেলেকে বলেছিলেন:-
يَا بُنَيَّ لَا تُشْرِكْ بِاللَّهِ إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيمٌ.سورة لقمان- ١٣
অর্থাৎ- হে আমার বৎস, আল্লাহ্র সাথে অংশীদার নির্ধারণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ্র (0) সাথে শির্ক করা মহা যুল্ম।ছূরা লোক্বমান- ১৩
অন্য আয়াতে আল্লাহ b ইরশাদ করেছেন:-
الَّذِينَ آمَنُوا وَلَمْ يَلْبِسُوا إِيمَانَهُمْ بِظُلْمٍ أُولَئِكَ لَهُمُ الأَْمْنُ وَهُمْ مُهْتَدُونَ.سورة الأنعام- ٨٢
অর্থাৎ- যারা ঈমান আনে এবং নিজের ঈমানকে যুলমের (শিরকের) সাথে মিশ্রিত করে না, তাদের জন্যেই শান্তি এবং তারাই সুপথগামী।ছূরা আল আন‘আম- ৮২
এ আয়াতে যুল্ম বলতে শির্ককে বুঝানো হয়েছে। এর প্রমাণ হলো- সাহীহ্ বুখারী ও সাহীহ্ মুছলিমে বর্ণিত হাদীছে রয়েছে যে, উপরোক্ত আয়াত নাযিল হওয়ার পর সাহাবায়ে কিরাম 4 অত্যন্ত বিচলিত হয়ে রাছূলকে (1) জিজ্ঞেস করলেন- হে আল্লাহ্র (0) রাছূল 1 আমাদের মধ্যে কে এমন আছে, যে তার নাফ্ছের উপর যুল্ম করেনি? (অর্থাৎ- আমরা প্রত্যেকেই তো কম-বেশি নিজের নাফ্ছের উপর অত্যাচার করছি। তাহলে তো আমরা কেউই আল্লাহ্র ‘আযাব থেকে নিরাপদ এবং হিদায়াতপ্রাপ্ত নই।) প্রতি উত্তরে রাছূল 1 তাদেরকে বললেন:- “আয়াতটির মর্ম তোমরা যা মনে করছ তা নয়, বরং এ আয়াতে যুল্ম বলতে ঐ শির্ককেই বুঝানো হয়েছে, যে শির্ক সম্পর্কে সতর্ক ও সাবধান করতে যেয়ে লুক্বমান 5 তাঁর ছেলেকে বলেছিলেন:-
يَا بُنَيَّ لَا تُشْرِكْ بِاللَّهِ إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيمٌ.سورة لقمان- ١٣
অর্থাৎ- হে আমার বৎস! আল্লাহ্র সাথে শির্ক করো না, নিশ্চয় শির্ক হলো এক মহা যুল্ম।ছূরা লুক্বমান- ১৩
‘আব্দুল্লাহ ইবনু মাছ‘ঊদ e থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন যে, আমি আল্লাহ্র রাছূলকে (1) জিজ্ঞেস করেছিলাম যে, কোন গুনাহ্টি আল্লাহ্র (7) নিকট সবচেয়ে বড়? এর উত্তরে রাছূল 1 বলেছেন:- ‘‘সেটি হলো- যে আল্লাহ্ তোমাকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর সাথে কাউকে অংশীদার (শরীক) নির্ধারণ করা’’।সাহীহ্ বুখারী, সাহীহ্ মুছলিম, মুছনাদে ইমাম আহ্মাদ
শির্কে আসগার সাধারণ কাবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত।
এর প্রমাণ হলো আল্লাহ্র (b) এ বাণী:-
إِنَّ اللّهَ لاَ يَغْفِرُ أَن يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَن يَشَاء.سورة النساء- ٤٨
অর্থাৎ- নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাঁর সাথে শির্ক করার পাপ ক্ষমা করেন না, তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন।ছূরা আন্ নিছা- ৪৮
এ আয়াত এবং উপরে উল্লেখিত হাদীছ সমূহ থেকে প্রমাণিত হয় যে, শির্কে আসগার শির্কে আকবারের পর্যায়ভুক্ত নয় বরং তা অন্যান্য কাবীরাহ গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। কেননা তাতে স্পষ্ট ও প্রত্যক্ষভাবে আল্লাহ্র (0) সাথে কোন অংশীদার নির্ধারণ করা হয় না।
(২) শির্কে আকবার (বড় শির্ক) মুছলমানকে ইছলাম থেকে বের করে দেয়। অর্থাৎ শির্কে আকবার করলে মুছলমান ইছলাম থেকে বহিষ্কৃত হয়ে যায়; সে আর মুছলমান থাকে না। যদিও সে নিজেকে মুছলিম বলে দাবি করে এবং ধর্মীয় কাজ-কর্ম করে থাকে, তথাপি আল্লাহ 7 ও তাঁর রাছূলের (1) দৃষ্টিতে সে আর মুছলিম বলে গণ্য হয় না।
এর প্রমাণ হলো আল্লাহ্র (8) এ বাণী:-
وَيَقُولُونَ آمَنَّا بِاللَّهِ وَبِالرَّسُولِ وَأَطَعْنَا ثُمَّ يَتَوَلَّى فَرِيقٌ مِنْهُمْ مِنْ بَعْدِ ذَلِكَ وَمَا أُولَئِكَ بِالْمُؤْمِنِينَ.سورة النور- ٤٧
অর্থাৎ- তারা বলে আমরা আল্লাহ ও রাছূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছি এবং আনুগত্য করি; কিন্তু অতঃপর তাদের একদল মুখ ফিরিয়ে নেয়, প্রকৃতপক্ষে তারা বিশ্বাসী নয়।ছূরা আন্নূর- ৪৭
পক্ষান্তরে শিরকে আসগার (ছোট শির্ক) মুছলমানকে ইছলাম থেকে বের করে দেয় না। অর্থাৎ শিরকে আসগার করার কারণে কোন মুছলিম, কাফির-মুশরিকে পরিণত হয় না, বা ইছলাম থেকে বহিষ্কৃত হয়ে যায় না।
(৩) শির্কে আকবার একটি হলেও তা কর্তাব্যক্তির অতীতের যাবতীয় নেক ‘আমাল ধ্বংস করে দেয়। অর্থাৎ কোন মুছলমান যদি মাত্র একটি শির্কে আকবার করে, তাহলে তা তার অতীতের যাবতীয় নেক ‘আমাল ধ্বংস করে দেবে।
এর প্রমাণ হলো আল্লাহ্র (0) এ বাণী:-
وَلَوْ أَشْرَكُوا لَحَبِطَ عَنْهُمْ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ.سورة الأنعام- ۸۸
অর্থাৎ- যদি তারা শির্ক করতেন, তাহলে তাদের কাজকর্ম তাদের জন্যে নিষ্ফল হয়ে যেত।ছূরা আল আন‘আম- ৮৮
অন্য আয়াতে আল্লাহ 7 ইরশাদ করছেন:-
لَئِنْ أَشْرَكْتَ لَيَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ.سورة الزمر- ٦٥
অর্থাৎ- যদি (আল্লাহ্র সাথে) অংশীদার সাব্যস্ত করেন, তবে আপনার কর্ম অবশ্যই নিষ্ফল হয়ে যাবে।ছূরা আয্যুমার- ৬৫
পক্ষান্তরে শির্কে আসগার অতীতের সকল নেক ‘আমালকে ধ্বংস করে দেয় না, বরং তা শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট ‘আমালকেই (যে ‘আমাল বা ‘ইবাদাতে শির্কে আসগার সংঘটিত হয়েছে, শুধুমাত্র সে ‘আমালটিকেই) বাত্বিল ও বরবাদ করে।
(৪) যে ব্যক্তি শির্কে আকবার করে, সে যদি খাঁটিভাবে তাওবা করে নতুন করে ইছলাম গ্রহণ না করে, তাহলে সে জাহান্নামের চিরস্থায়ী বাসিন্দা হয়ে যায়। জান্নাত তার জন্য হারাম হয়ে যায় এবং সে ব্যক্তি সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ্র (0) ক্ষমার অযোগ্য হয়ে যায়।
যেমন ক্বোরআনে কারীমে আল্লাহ b ইরশাদ করেছেন:-
إِنَّهُ مَن يُشْرِكْ بِاللّهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللّهُ عَلَيهِ الْجَنَّةَ وَمَأْوَاهُ النَّارُ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنصَارٍ.سورة المائدة- ٧٢
অর্থাৎ- নিশ্চয় যে ব্যক্তি আল্লাহ্র সাথে অংশীদার স্থির করে, আল্লাহ তার জন্যে জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার বাসস্থান হয় জাহান্নাম। আর অত্যাচারীদের কোন সাহায্যকারী নেই।ছূরা আল মা-য়িদা- ৭২
পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি শির্কে আসগার করবে, সে জাহান্নামের চিরস্থায়ী বাসিন্দা হবে না। তার এ অপরাধ ক্ষমাযোগ্য, আল্লাহ 0 চাইলে নিজ দয়া-গুণে তাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন।
এ কথার প্রমাণ হলো আল্লাহ্র (8) এ বাণী:-
إِنَّ اللّهَ لاَ يَغْفِرُ أَن يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَن يَشَاء.سورة النساء- ٤٨
অর্থাৎ- নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাঁর সাথে শির্ক করার পাপ ক্ষমা করেন না, তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন।ছূরা আন্ নিছা- ৪৮
(৫) যে ব্যক্তি শির্কে আকবার করে, সে তাওবা করে নতুন করে ইছলাম গ্রহণ না করেলে শারী‘য়াতের দৃষ্টিতে তার জান ও মালের কোন নিরাপত্তা নেই (অর্থাৎ শারী‘য়াতে ইছলামিয়্যাহ্র দৃষ্টিতে সে মৃত্যুদন্ডের যোগ্য এবং তার সম্পদ বাজেয়াপ্তযোগ্য)।
এর প্রমাণ হলো আল্লাহ্র (7) এ বাণী:-
فَإِذَا انسَلَخَ الأَشْهُرُ الْحُرُمُ فَاقْتُلُواْ الْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدتُّمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَاحْصُرُوهُمْ وَاقْعُدُواْ لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ فَإِن تَابُواْ وَأَقَامُواْ الصَّلاَةَ وَآتَوُاْ الزَّكَاةَ فَخَلُّواْ سَبِيلَهُمْ إِنَّ اللّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ.سورة النوبة- ٥
অর্থাৎ- অতঃপর নিষিদ্ধ মাসগুলো আতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা করো যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী করো এবং অবরোধ করো। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওৎপেতে বসে থাকো। কিন্তু যদি তারা তাওবা করে, নামায ক্বায়িম করে ও যাকাত প্রদান করে, তাহলে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।ছূরা আত্ তাওবাহ্- ৫
পক্ষান্তরে শির্কে আসগারকারী যদিও ফাসিক্ব, তথাপি মু’মিন হওয়ার কারণে শারী‘য়াতের দৃষ্টিতে ইছলামী রাষ্ট্রের কাছে তার জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা রয়েছে। সে মৃত্যুদন্ড যোগ্য নয় এবং তার সম্পদও বাজেয়াপ্তযোগ্য নয়। এ সম্পর্কে রাছূল 1 বলেছেন:-
مَنْ قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَكَفَرَ بِمَا يُعْبَدُ مَنْ دُونِ اللهِ، حَرُمَ مَالُهُ، وَدَمُهُ، وَحِسَابُهُ عَلَى اللهِ.صحيح مسلم
অর্থ- যে ব্যক্তি “আল্লাহ b ব্যতীত আর কোন মা‘বূদ নেই” একথা স্বীকার করবে এবং আল্লাহ 0 ব্যতীত যত কিছুর উপাসনা করা হয়, সে সবকে অস্বীকার করবে, তার সম্পদ ও রক্ত (মাল ও জান) নিষিদ্ধ। আর তার হিসাব আল্লাহ্র (7) নিকট রয়েছে।সাহীহ্ মুছলিম
অন্য হাদীছে বর্ণিত রয়েছে, রাছূল 1 বলেছেন:-
أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَشْهَدُوا أَنْ لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَيُقِيمُوا الصَّلاَةَ، وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ، فَإِذَا فَعَلُوا ذَلِكَ عَصَمُوا مِنِّي دِمَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ إِلَّا بِحَقِّ الإِسْلاَمِ، وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللَّهِ.رواه البخاري و مسلم
অর্থ- আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে মানুষের বিরুদ্ধে ততক্ষণ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে, যতক্ষণ না তারা এই ঘোষণা ও সাক্ষ্য প্রদান করবে যে, আল্লাহ 0 ব্যতীত আর কোন মা‘বূদ নেই, আর মুহাম্মাদ আল্লাহ্র (8) রাছূল, এবং নামায ক্বায়িম করবে, যাকাত প্রদান করবে। আর যখন তারা এ কাজগুলো করে নিবে তখন তারা তাদের জান ও মাল আমার হাত থেকে নিরাপদ করে নিবে, তবে যদি ইছলামের কোন হাক্ব থাকে (তাদের জান-মালের উপর, তবে তা ভিন্ন কথা)। আর তাদের হিসাব আল্লাহ্র (0) নিকট রয়েছে।সাহীহ্ বুখারী ও সাহীহ্ মুছলিম
শির্কে আসগার বা শির্কে খাফি:- যে সব কথা ও কাজের মাধ্যমে মানুষ শির্কে আকবারের দিকে ধাবিত হয়, সেসব কথা ও কাজ শির্কে আসগার বা ছোট শির্ক হিসেবে গণ্য হয়।
যেমন- মাখলূক্বের তথা আল্লাহ্র সৃষ্ট কোন বস্তুর ব্যাপারে এই পরিমাণ সীমালংঘন করা, যা ‛ইবাদাতের পর্যায়ে পৌছে না। ‛ইবাদাতের পর্যায়ে পৌছলে তা শির্কে আকবারে পরিণত হবে। যেমন- গাইরুল্লাহ্র (আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো) নামে শপথ করা, রিয়া বা লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে কোন ‘আমাল বা ‘ইবাদাত করা, “আল্লাহ b আর আপনি যা চান” “আল্লাহ 0 আর আপনি যদি না হতেন” এ ধরনের কথা-বার্তা বলা ।
শির্কে আসগার এর সংজ্ঞা দান প্রসঙ্গে কোন কোন ‘উলামায়ে কিরাম বলেছেন:- “শির্কে আকবার নয় এমন যেসব কর্মকে শারী‘আতের “নাস” অর্থাৎ সুস্পষ্ট প্রমাণ দ্বারা শির্ক বলে নামকরণ করা হয়েছে, সেগুলোই হচ্ছে শিরকে আসগার। যেমন- কেউ যদি বলে:
(ما شأء الله وشئت) “আল্লাহ আর আপনি যা চান” (و لو لا الله وأنت لكان كذا و كذا) “আল্লাহ্ আর আপনি যদি উপস্থিত না থাকতেন বা না হতেন, তা হলে আমার মহা বিপদ হয়ে যেতো”। অনুরূপভাবে আল্লাহ 8 ব্যতীত অপর কারো নামে শপথ করা ইত্যাদি।
আল ‘আল্লামা ইমাম ইবনুল ক্বায়্যিম আল জাওযিয়্যাহ o (৬৯১-৭৫১ হিজরী) শির্কে আসগার এর উদাহরণ দিতে যেয়ে বলেছেন:- ‘ইবাদাতে লোক দেখানো ভাব করা, মানুষের সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে কোন কাজ করা, “আমি আল্লাহ ও আপনার উপর ভরসা করেছি” এমনটি বলা, “আল্লাহ 0 ও আপনি না হলে এমনটি হতো” এরকম কথা বলা।
এ সব উদাহরণ প্রদানের পর তিনি (ইমাম ইবনুল ক্বায়্যিম আল জাওযিয়্যাহ o বলেছেন:- “শির্কে আসগার কখনও কর্তা ব্যক্তির মানসিক অবস্থা ও উদ্দেশ্যের পরিপ্রেক্ষিতে শির্কে আকবারেও রূপান্তরিত হতে পারে”।
আল্লাহ 7 আমাদেরকে সকল প্রকার শির্ক থেকে বেঁচে থাকার তাওফীক্ব দান করুন- আ-মী-ন।