হানাফিয়্যাহ কী? হানাফিয়্যাহ বলতে কি বুঝায়?

হানাফিয়্যাহ শব্দের অর্থ- খালিস বা খাঁটি বা বিশুদ্ধ। শারী‘য়াতে ইছলামিয়্যাহ্‌র পরিভাষায় ইবরাহীম عليه السلام এর মিল্লাত বা তাঁর অনুসৃত দ্বীনকে হানাফিয়্যাহ বলা হয়। আর ইবরাহীম عليه السلام এর মিল্লাত বা তাঁর অনুসৃত দ্বীন হলো- খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে এক আল্লাহ্‌র ‘ইবাদাত করা এবং অন্য কাউকে বা কোন কিছুকে আল্লাহ্‌র (سبحانه وتعالى)

মানব ও জিন জাতি সৃষ্টির উদ্দেশ্য কি?

মানব ও জিন জাতিকে সৃষ্টির মূলে আল্লাহ্‌র (سبحانه وتعالى) এক মহান হিকমাত ও উদ্দেশ্য রয়েছে। আর তা হলো- তারা একমাত্র আল্লাহ্‌র (جل وعلا) ‘ইবাদাত করবে অন্য কারো নয়।

রিয়া (মানুষকে দেখানো বা শুনানোর উদ্দেশ্যে ‘ইবাদাত করা) কত প্রকার ও কি কি এবং এগুলোর হুক্‌ম কি?

রিয়া বা লোক দেখানো ‘ইবাদাত তিন প্রকার। যথা:-

(১) কোন নেক কাজ (‘ইবাদাত) মূলত: শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শুধুমাত্র গায়রুল্লাহ্‌কে (আল্লাহ ভিন্ন অন্য কাউকে) দেখানোর উদ্দেশ্যে বা মানুষের প্রশংসা লাভের উদ্দেশ্যে করা, এবং বাহ্যিকভাবে লোকজন যেন তার কাজটা দেখে আল্লাহ্‌র ‘ইবাদাত বলেই মনে করে, এমন মনোভাব পোষণ করা।

শির্‌কে আকবার (বড় শির্‌ক) ও শির্‌কে আসগার (ছোট শির্‌ক) এর মধ্যে পার্থক্য কি?

(১) শির্‌কে আকবার সবচেয়ে বড় অন্যায় ও অপরাধ। এর প্রমাণ হলো ক্বোরআনে কারীমের নিম্নোক্ত আয়াত- লুক্বমান عليه السلام তাঁর ছেলেকে বলেছিলেন:-

يَا بُنَيَّ لَا تُشْرِكْ بِاللَّهِ إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيمٌ. (سورة لقمان- ١٣)

অর্থাৎ- হে আমার বৎস, আল্লাহ্‌র সাথে অংশীদার নির্ধারণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ্‌র (سبحانه وتعالى) সাথে শির্‌ক করা মহা যুল্‌ম। (ছূরা লোক্বমান- ১৩)

কর্মগত দিক দিয়ে শির্‌ক তিন প্রকার

কর্মগত দিক দিয়ে শির্‌ক তিন প্রকার:-
(ক) কথা দ্বারা শির্‌ক (খ) কাজের দ্বারা শির্‌ক (গ) বিশ্বাসের দ্বারা শির্‌ক।
বিশেষ অর্থে এবং পরিণতি বিবেচনায় শির্‌ক দুই প্রকার:-
(১) শির্‌কে আকবার বা বড় শির্‌ক (২) শির্‌কে আসগার বা ছোট শির্‌ক।

শির্‌কের শ্রেণী ও প্রকারভেদ

সাধারণ অর্থে শির্‌ক তিন প্রকার:-

(ক) আল্লাহ্‌র (صلى الله عليه وسلم) রুবূবিয়্যাহ্‌তে (প্রতিপালকত্বে / পালনকর্তৃত্বে) কাউকে বা কোন কিছুকে শরীক তথা অংশীদার নির্ধারণ করা।

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close