জুমু‘আর সালাত কার উপর ফার্‌য?

স্বাধীন, প্রাপ্ত বয়স্ক, বিবেকবান, নিজ এলাকায় অবস্থানরত (মুক্বীম), জুমু‘আর সালাতে উপস্থিত হতে সক্ষম এবং তাতে অনুপস্থিত থাকার শারী‘য়াতে গ্রহণযোগ্য কোন ‘উয্‌র নেই, এমন প্রত্যেক মুছলমানের উপর জুমু‘আর সালাত আদা করা ফার্‌য।

জুমু‘আর সালাতের সময়

যুহরের সালাতের সময়ই হলো জুমু‘আর সালাতের সময়। এর প্রমাণ হলো- আনাছ رضي الله عنه হতে বর্ণিত:- 

أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي الجُمُعَةَ حِينَ تَمِيلُ الشَّمْسُ. (رواه البخاري و الترمذي و أحمد)

অর্থ- সূর্য যখন মধ্য আকাশ থেকে সরে (পশ্চিম দিকে একটু ঢলে পড়ত) যেত, তখন নাবী صلى الله عليه وسلم জুমু‘আর সালাত আদায় করতেন। (সাহীহ্‌ বুখারী, তিরমিযী, মুছনাদে ইমাম আহ্‌মাদ)

জুমু‘আর দিনে করণীয়

১। ‍জুমু‘আর দিন গোছল করা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হওয়া। কেননা রাছূলুল্লাহ صلى الله عليه وسلم বলেছেন:- 

إِذَا جَاءَ أَحَدُكُمُ الجُمُعَةَ، فَلْيَغْتَسِلْ. (رواه البخاري)

অর্থ- তোমাদের কেউ জুমু‘আর নামায আদায় করতে আসলে তার পূর্বে সে যেন গোছল করে নেয়। (সাহীহ্‌ বুখারী)

আরাবী হার্‌ফ কয়টি ও কি কি?

‘আরাবী হার্‌ফ ২৯টি। যথা:- 

ا ب ت ث ج ح خ د ذ ر ز س ش ص ض ط ظ ع غ ف ق ك ل م ن و ه ء ي

মাখরাজের বিবরণ ও তার উচ্চারণ পদ্ধতি:-

যে স্থান থেকে হার্‌ফ (বর্ণ) উচ্চারিত হয় সে স্থানকে তথা হার্‌ফ উচ্চারণের স্থানকে মাখরাজ বলা হয়।

তাজওয়ীদ কী, তাজওয়ীদ বলতে কি বুঝায়?

‘আরাবী প্রতিটি হার্‌ফকে (বর্ণকে) তার পূর্ণ সিফাত তথা অবস্থা ও গুণাবলী সহকারে তার সঠিক মাখরাজ (উচ্চারণস্থল) থেকে উচ্চারণ করাকে ‘তাজওয়ীদ’ বলে। তাজওয়ীদ অনুযায়ী কুরআনে কারীম তিলাওয়াত করা অবশ্য কর্তব্য।

সরল-সঠিক পথ একটাই

জেনে রাখুন! (আল্লাহ عز وجل আপনাকে রাহ্‌ম করুন) আপনার জন্য ইছলামের মহান নি‘মাত লাভের নিশ্চয়তা প্রদানকারী পথ হচ্ছে মাত্র একটি, একাধিক নয়। কেননা আল্লাহ একটিমাত্র দলের জন্যই সফলতা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। ক্বোরআনে কারীমে আল্লাহ جل وعلا ইরশাদ করেছেন:-

أُولَئِكَ حِزْبُ اللَّهِ أَلَا إِنَّ حِزْبَ اللَّهِ هُمُ الْمُفْلِحُونَ. (سورة المجادلة- ٢٢)

আল্লাহ্‌র নির্দেশিত একক পথ কোনটি বা কী?

‘আল্লামা ইবনুল ক্বায়্যিম رحمه الله তাঁর বক্তব্যে বলেছেন যে, আল্লাহ্‌র পথ বলতে যে বিষয়টিকে বুঝানো হয়, সেটি হলো তাওহীদের দ্বিতীয় ভিত্তি “محمد رسول الله” (মুহাম্মাদ صلى الله عليه وسلم আল্লাহ্‌র রাছূল)।

“لا إله إلا الله” (আল্লাহ ছাড়া আর কোন মা‘বূদ তথা উপাস্য নেই) এই ঘোষণা প্রদানের সাথে সাথে “محمد رسول الله” (মুহাম্মাদ صلى الله عليه وسلم আল্লাহ্‌র রাছূল) এ বিষয়টি এসে যায়।

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close