ইছলামী ‘আক্বীদাহ্‌র (ঈমানের) মূল ভিত্তি কয়টি ও কি কি?

ইছলামী ‘আক্বীদাহ্‌র (ঈমানের) মূল ভিত্তিসমূহ ছয়টি। যথা:- (১) আল্লাহ্‌র প্রতি বিশ্বাস (২) ফিরিশতাগণের প্রতি বিশ্বাস (৩) কিতাব সমূহের প্রতি বিশ্বাস (৪) রাছূলগণের প্রতি বিশ্বাস (৫) শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাস (৬) তাক্বদীরের ভালো-মন্দের প্রতি বিশ্বাস।

“ফিরিশতাগণের প্রতি বিশ্বাস” বলতে কি বুঝায়?

ফিরিশতাগণের প্রতি বিশ্বাস পোষণ করার অর্থ হলো:- ব্যাপক ও বিশদভাবে দৃঢ়ভাবে এ বিশ্বাস পোষণ করা যে, আল্লাহ্‌র (سبحانه وتعالى) অসংখ্য মালাইকাহ (ফিরিশতা) রয়েছেন। তাদেরকে তিনি তাঁর আনুগত্যের জন্য সৃষ্টি করেছেন।

তাদের বর্ণনা দিয়ে আল্লাহ عز وجل ইরশাদ করেছেন:-

بَلْ عِبَادٌ مُّكْرَمُونَ. لَا يَسْبِقُونَهُ بِالْقَوْلِ وَهُم بِأَمْرِهِ يَعْمَلُونَ. يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يَشْفَعُونَ إِلَّا لِمَنِ ارْتَضَى وَهُم مِّنْ خَشْيَتِهِ مُشْفِقُونَ. (سورة الأنبياء- ٦٢-٨٢)

“কিতাব সমূহের প্রতি বিশ্বাস” বলতে কি বুঝায়?

আল্লাহ্‌র (سبحانه وتعالى) নাযিলকৃত কিতাব সমূহের প্রতি ঈমান পোষণ করার অর্থ হলো:- ব্যাপক ও বিশদভাবে এ বিশ্বাস পোষণ করা যে, আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীন আপন সত্যের ঘোষণা এবং এর প্রতি মানবজাতিকে আহবান জানানোর উদ্দেশ্যে তাঁর নাবী ও রাছূলগণের উপর বহু সংখ্যক কিতাব নাযিল করেছেন।

“রাছূলগণের প্রতি বিশ্বাস” বলতে কি বুঝায়?

রাছূলগণের প্রতি বিশ্বাস পোষণ করার অর্থ হলো:- ব্যাপক ও বিশদভাবে এই ঈমান পোষণ করা যে, আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীন তাঁর বান্দাহ্‌দের প্রতি তাদের মধ্য হতে বহু সংখ্যক নাবী পাঠিয়েছেন। আল্লাহ عز وجل ইরশাদ করেছেন:-

وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ أُمَّةٍ رَّسُولاً أَنِ اعْبُدُواْ اللّهَ وَاجْتَنِبُواْ الطَّاغُوتَ. (سورة النحل- ٣٦)

“তাক্বদীরের প্রতি ঈমান” বলতে কি বুঝায়?

তাক্বদীরের প্রতি ঈমান বলতে বুঝায় নিন্মোক্ত চারটি বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা:-

(১) এই বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে যে, অতীতে যা কিছু ছিল এবং বর্তমান ও ভবিষ্যতে যা কিছু হচ্ছে কিংবা হবে তার সবকিছুই আল্লাহ্‌র (سبحانه وتعالى) জানা আছে। আল্লাহ عز وجل তাঁর বান্দাহ্‌দের যাবতীয় অবস্থা সম্পর্কে অবহিত। তাদের রিয্ক্ব, মৃত্যুর নির্ধারিত সময়, দৈনন্দিন কার্যাবলীসহ অন্যান্য সব বিষয়াদি সম্পর্কে তিনিই সম্যক অবগত, কোন কিছুই তাঁর

“এসো দ্বীন শিখি” পরিচিতি, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও বৈশিষ্ট্য

প্রিয় মুছলিম ভাই ও বোনেরা! বর্তমান সময়ে গোঁটা বিশ্বব্যাপী মুছলমানদের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। সংখ্যায় আজ আমরা ১ বিলিয়নের ও বেশি, অর্থাৎ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার তুলনায় প্রতি পাচঁজনের মধ্যে একজন মুছলমান। কিন্তু এতদসত্ত্বেও জাতি হিসেবে আমরা আজ পৃথিবীতে লাঞ্চিত, বঞ্চিত, নিষ্পেষিত, চরম দুর্বল ও ক্ষমতাহীন এক জাতি।

কি কি কারণে ঈমান ও ইছলাম ভঙ্গ বা বিনষ্ট হয়?

ইছলাম ভঙ্গ ও বিনষ্টকারী অনেকগুলো কারণ রয়েছে। তন্মধ্যে মৌলিক ও প্রধান দশটি কারণ হলো নিম্নরূপ:-
(১) ‘ইবাদাতে আল্লাহ্‌র সাথে শরীক বা অংশীদার নির্ধারণ করা।
এর প্রমাণ হলো আল্লাহ্‌র (سبحانه وتعالى) এ বাণী:-

وَيَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ مَا لَا يَضُرُّهُمْ وَلَا يَنْفَعُهُمْ وَيَقُولُونَ هَؤُلَاءِ شُفَعَاؤُنَا عِنْدَ اللَّهِ قُلْ أَتُنَبِّئُونَ اللَّهَ بِمَا لَا يَعْلَمُ فِي السَّمَاوَاتِ وَلَا فِي الْأَرْضِ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى عَمَّا يُشْرِكُونَ. (سورة يونس- ٨١)

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close