উম্মাতে মুহাম্মাদীয়ার (صلى الله عليه وسلم) কতিপয় বাত্বিল ফিরক্বাহ

পূর্ববর্তী উম্মাতগুলোর মধ্যে যেভাবে শির্‌ক ও তাশবীহ্‌র বাত্বিল ‘আক্বীদাহ প্রবেশ করেছিল, তদ্রুপ উম্মাতে মুহাম্মাদীয়াহ্‌র (صلى الله عليه وسلم) বিভিন্ন বাত্বিল ফিরক্বাহ্‌র মধ্যেও এ দুটো ‘আক্বীদাহ মারাত্মকভাবে প্রবেশ করেছে। কত মুছলমান যে বিভিন্ন রকমের শির্‌কী ‘আক্বীদাহ ও ‘আমালে লিপ্ত এবং তাশবীহ্‌র ‘আক্বীদায় বিশ্বাসী, তা আল্লাহ سبحانه وتعالى ব্যতীত কেউ জানেনা।

উম্মাতে মুহাম্মাদীয়ার (صلى الله عليه وسلم) গুমরাহীর কারণ কি?

যুগে যুগে বিভিন্ন নাবীর (عليهم السلام) উম্মাতের মধ্যে যেভাবে ধীরে ধীরে নানারকমের গুমরাহী (ভ্রষ্টতা ও বিভ্রান্তি) দেখা দিয়েছিল, তদ্রুপ মুহাম্মাদ صلى الله عليه وسلم এর উম্মাতের মধ্যেও নানা ধরনের গুমরাহীর অনুপ্রবেশ ঘটেছে এবং ভবিষ্যতেও ঘটতে থাকবে।

আরকানুল ইছলাম বা ইছলামের ভিত্তি কয়টি ও কি কি?

ইছলামের মূল ভিত্তি (রুক্‌ন) হলো পাঁচটি। এর প্রমাণ হলো:-‌ ‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘উমার رضى الله عنهما থেকে বর্ণিত হাদীছে রয়েছে, রাছূল صلى الله عليه وسلم ইরশাদ করেছেন:-

بُنِيَ الْإِسْلَامُ عَلَى خَمْسَةٍ، عَلَى أَنْ يُوَحَّدَ اللهُ -وفى رواية- شَهَادَةِ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ, وَإِقَامِ الصَّلَاةِ، وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ، وَصِيَامِ رَمَضَانَ، وَالْحَجِّ. (رواه البخاري ومسلم)

দ্বীনে ইছলামের পরিচিতি ও বৈশিষ্ট্য

ইছলাম হলো সেই দ্বীন, যে দ্বীন দিয়ে আল্লাহ جل وعلا তাঁর রাছূল মুহাম্মাদকে (صلى الله عليه وسلم) সমগ্র মানবজাতির প্রতি পাঠিয়েছেন। আল্লাহ سبحانه وتعالى ইরশাদ করেছেন:-

وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا كَافَّةً لِّلنَّاسِ بَشِيرًا وَنَذِيرًا. (سورة سبأ- ٢٨)

অর্থাৎ- আমি আপনাকে সমগ্র মানবজাতির প্রতি সুসংবাদদাতা ও ভীতি প্রদর্শনকারী রূপে পাঠিয়েছি। (ছূরা ছাবা- ২৮)

ইছলাম কী, ইছলাম বলতে কি বুঝায়?

ইছলাম হলো:- তাওহীদ তথা আল্লাহ্‌র (سبحانه وتعالى) একত্ববাদের কথা মনে-প্রাণে স্বীকার করে তাঁর নিকট নিজেকে সম্পূর্ণরূপে সমর্পণ করা, তাঁর আনুগত্য করা এবং যাবতীয় শির্‌কী কার্যাবলী থেকে দূরে থাকা।

যেমন, ক্বোরআনে কারীমে আল্লাহ سبحانه وتعالى ইরশাদ করেছেন:-

بَلَى مَنْ أَسْلَمَ وَجْهَهُ لِلّهِ وَهُوَ مُحْسِنٌ فَلَهُ أَجْرُهُ عِندَ رَبِّهِ وَلاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ. (سورة البقرة- ١١٢)

তাওহীদুর রুবূবিয়্যাহ বলতে কি বুঝায়?

তাওহীদুর রুবূবিয়্যাহ হলো- ”আল্লাহ سبحانه وتعالى তাঁর সকল কর্মে একক, অদ্বিতীয় ও সম্পূর্ণরূপে অংশীদারহীন”, একথা নিজের ‘আক্বীদাহ-বিশ্বাস, কথা ও কাজের দ্বারা প্রতিয়মান করা। আল্লাহ جل وعلا তাঁর সকল কাজে, যেমন- সৃষ্টি করা, হুক্‌ম প্রদান, রিয্‌ক্ব দান, জীবন ও মৃত্যুদান, সমগ্র জগতের রাজত্ব ও পরিচালনা ইত্যাদিতে একক, অদ্বিতীয় ও সম্পূর্ণরূপে

“তাওহীদুল আছমা ওয়াস্ সিফাত” বলতে কি বুঝায়?

তাওহীদুল আছমা ওয়াস্ সিফাত হলো:- আল্লাহ্‌র নাম ও গুণাবলী সমূহ যা ক্বোরআন ও ছুন্নাহতে বর্ণিত রয়েছে, সেগুলোর কোনরূপ পরির্বতন, পরিবর্ধন, সংযোজন, বিয়োজন, ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ এবং সৃষ্ট কোন বস্তর সাথে সেগুলোর কোন প্রকার তুলনা, উপমা, সদৃশ কিংবা আকার-আকৃতি, উৎপ্রেক্ষা নির্ধারণ না করে ক্বোরআন ও ছুন্নাহ্‌তে যেভাবে বর্ণিত হয়েছে, বাহ্যিক অর্থসহ হুবহু সেগুলোর প্রতি দৃঢ়ভাবে ঈমান পোষণ করা।

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close