রাষ্ট্রের অধিকার

ক্বোরআন ও ছুন্নাহ্‌র নির্দেশ অনুযায়ী মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্‌কে (0) এবং জগতের প্রতিটি সৃষ্ট বস্তুকে তার স্ব স্ব হাক্ব বা অধিকার যথাযথভাবে প্রদান করা-ই হলো ইছলামী আদর্শ ও সচ্চরিত্রের মূল কথা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, প্রকৃত ইছলামী আদর্শ ও নীতি-নৈতিকতা থেকে অধিকাংশ মুছলমানই আজ দূরে বহু দূরে। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সর্বক্ষেত্রেই চারিত্রিক ও নৈতিক স্খলন-অধঃপতন আজ চরম পর্যায়ে। দুনইয়াতে যাবতীয় ফিতনা-ফাছাদ ও বিশৃঙ্খলার অন্যতম কারণ হলো চরিত্রহীনতা ও আদর্শহীনতা, অর্থাৎ যার যেটুকু অধিকার বা প্রাপ্য তাকে সেটা না দেয়া। পরকালেও চরম বিপর্যয়ের কারণ হবে তা-ই। এজন্য নিজের উপর কার কি অধিকার রয়েছে এবং অন্যের কাছে নিজের প্রাপ্য বা অধিকার কী, সে বিষয়ে সঠিকভাবে জানতে হবে এবং প্রত্যেককে তার হাক্ব যথাযথভাবে আদায় করতে হবে, তাহলেই আল্লাহ চাহেতো মানুষের ইহ-পরকাল নিরাপদ, সুখী ও শান্তিময় হবে।

সব গুলো প্রবন্ধ দেখতে এখানে ক্লিক করুন

শাসক সংশোধনের নীতি বিষয়ক ক’টি সংশয় ও তার নিরসন

আমাদের মুছলিম সমাজে কেউ কেউ মনে করে থাকেন যে, শাসকদেরকে প্রকাশ্যে প্রত্যাখ্যান করা এবং তাদের প্রতি জনসমক্ষে অনাস্থা ও অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করা, এটা হলো ছালাফে সালিহীনের (رضي الله عنهم أجمعين) নীতি ও আদর্শ। এ বিষয়ের প্রমাণস্বরূপ তারা বলে থাকেন যে, সাহাবী আবু ছা‘য়ীদ খুদরী رضي الله عنه ‘ঈদের নামাযের পূর্বে এক খুতবায় মারওয়ান বিন হাকামকে (তৎকালীন শাসক) প্রত্যাখ্যান করেছেন।

এছাড়া রাছূল صلى الله عليه وسلم বলেছেন:-

إِنَّهُ يُسْتَعْمَلُ عَلَيْكُمْ أُمَرَاءُ، فَتَعْرِفُونَ وَتُنْكِرُونَ، فَمَنْ كَرِهَ فَقَدْ بَرِئَ، وَمَنْ أَنْكَرَ فَقَدْ سَلِمَ. (رواه مسلم)

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close