আল হাজ্জ

ইছলাম ছাড়া ঈমান অর্থহীন। ইছলাম হলো- যাবতীয় শির্‌কী কার্যাবলী থেকে মুক্ত থেকে আল্লাহ্‌কে (0) একক ও অদ্বিতীয় বলে মনে-প্রাণে বিশ্বাস ও স্বীকার করা এবং রাছূলুল্লাহ 1 এর নির্দেশিত পন্থায় আল্লাহ্‌র আনুগত্যের মাধ্যমে তাঁর প্রতি পরিপূর্ণরূপে আত্মসমর্পণ করা। মানবজাতির জন্য আল্লাহ্‌র মনোনীত একমাত্র সঠিক পথ বা দ্বীন হলো ইছলাম। এই সরল-সঠিক পথ অনুসরণের মাধ্যমে ইহ-পরকালীন মুক্তি ও সফলতা লাভের জন্যে অবশ্যই সর্বাগ্রে সঠিক ও বিশুদ্ধভাবে এ পথ (দ্বীনে ইছলাম) সম্পর্কে জানতে হবে।

সব গুলো প্রবন্ধ দেখতে এখানে ক্লিক করুন

ক্বোরবানীর তাৎপর্য ও বিধান

আল্লাহ্‌র (سبحانه وتعالى) নৈকট্য ও সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য প্রায় সকল উম্মাতের মধ্যেই ক্বোরবানীর প্রচলন ছিল। এটা আগেকার নাবীগণেরও ছুন্নাত ছিল। ক্বোরআনে কারীমে আল্লাহ (سبحانه وتعالى) ইরশাদ করেছেন:-

وَلِكُلِّ أُمَّةٍ جَعَلْنَا مَنسَكًا لِيَذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ عَلَى مَا رَزَقَهُم مِّن بَهِيمَةِ الْأَنْعَامِ

হাজ্জ অস্বীকারকারীর বিধান

যে ব্যক্তি হাজ্জকে দ্বীনে ইছলামের একটি রুক্‌ন এবং অত্যাবশ্যকীয় ফার্‌য ‘ইবাদাত বলে স্বীকার না করবে তথা অস্বীকার করবে, সে ব্যক্তি নিঃসন্দেহে ইছলাম বহির্ভূত কাফির।

শারী‘য়াতের পরিভাষায় হাজ্জ

শারী‘য়াতের পরিভাষায় হাজ্জ বলা হয়ঃ- আল্লাহ্‌র (سبحانه وتعالى) হুক্‌ম পালন এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের নিমিত্ত তাওয়াফ, ছা‘য়ি, ‘আরাফাহর ময়দানে অবস্থান এবং হাজ্জ্বের অন্যান্য কার্যাবলী সম্পাদনের মহান উদ্দেশ্যে মক্কায় গমন করা। হাজ্জ হলো দ্বীনে ইছলামের অন্যতম একটি রুক্‌ন বা ভিত্তি এবং ক্বোরআন, ছুন্নাহ ও ইজমা‘য়ে উম্মাত দ্বারা অকাট্য

হাজ্জ শব্দের শাব্দিক অর্থ কি?

হাজ্জ শব্দের শাব্দিক অর্থ হলোঃ- কোন মহান কাজের ইচ্ছা পোষণ। আভিধানিক অর্থে হাজ্জ বলা হয়ঃ-শারী‘য়াতে ইছলামীয়্যাহ কর্তৃক নির্ধারিত সময়ে, নির্ধারিত স্থানে নির্ধারিত কিছু কাজ, নির্ধারিত পন্থা ও পদ্ধতিতে সম্পাদন করা।

সব গুলো ফাতাওয়া দেখতে এখানে ক্লিক করুন

জিলহাজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের ফাযীলাত? শাইখ মোহাম্মাদ ইবনু সালিহ আল ‘উছাইমীন

এই অডিওটি হলো- জিলহাজ্জের প্রথম ১০ দিনের ফাযীলাত সম্পর্কে শাইখ মোহাম্মাদ ইবনু সালিহ আল ‘উছাইমীন رحمه الله প্রদত্ত এবং উছতায আবূ ছা‘আদা হাম্মাদ বিল্লাহ حفظه الله  কর্তৃক অনুবাদকৃত ব্যাখ্যা।
অডিও থেকে নেয়া সংক্ষিপ্ত ও অতি গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পয়েন্ট:-
১) যিলহাজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের ফাযীলাত বর্ণনায় শাইখ মোহাম্মাদ ইবনু সালিহ আল ‘উছাইমীন (رحمه الله) বলেছেন- রাছূলুল্লাহ (صلى الله عليه وسلم) বলেছেন-
অর্থ- যিলহাজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনে সম্পাদিত নেক ‘আমালের চেয়ে আল্লাহ্‌র নিকট অধিক প্রিয় কোন নেক ‘আমাল নেই।
এই হাদীছের ভিত্তিতে উক্ত দশ দিনে আমাদের রোযা পালন, যিক্‌র, তিলাওয়াতুল ক্বোরআন, নাফ্‌ল সালাত সম্পাদন, সাদাক্বাহ ও দান খয়রাত, মানুষের প্রতি বদান্যতা প্রদর্শন, তাদের প্রতি দয়াপরায়ণতা ইত্যাদি যেসব নেককাজ বান্দাহ্‌কে আল্লাহ্‌র অধিক নিকটবর্তী করে থাকে, সেগুলো বেশিবেশি করা উচিত।
২) রামাযানের শেষ দশ দিবসের নেক ‘আমালের চেয়ে যিলহাজ্জের প্রথম ১০ দিবসের নেক ‘আমাল অধিক উত্তম।
এবিষয়ে জামে‘ তিরমিযীতে বর্ণিত হাদীছে রয়েছে, রাছূলুল্লাহ (صلى الله عليه وسلم) বলেছেন:-
অর্থ- ‘‘অনান্য দিনের চেয়ে সাধারণভাবে জিলহাজ্বের প্রথম দশ দিনের নেক ‘আমাল অধিক উত্তম”।

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close