করোনাভাইরাস সম্পর্কিত ইছলামিক দৃষ্টিভঙ্গি (৫ম পর্ব)

১) গত পর্বে আবূ ‘উবাইদাহ ইবনুল জার্‌রাহ رضي الله عنه ও মু’আয ইবনু জাবাল رضي الله عنه এর সম্পর্কে বর্ণিত হাদীছটি কয়েকজন রাওয়ী থেকে মুছনাদে আহ্‌মাদে বর্ণিত হয়েছে। এই হাদীছটিকে অনেকে য‘য়ীফ বললেও এর একাধিক ছনদ বিদ্যমান থাকায় এই হাদীছটিকে হাছান লি-গায়রিহী বলা যায়। তাই এই বর্ণনাটিকে গ্রহণযোগ্য বলা যায়।
এই হাদীছ থেকে জানা যায় যে, এই ত্বা‘ঊনের মধ্যেও তারা জামা‘আতে সালাত আদায় করেছেন এবং জুমু‘আর খুতবা দিয়েছেন।
২) ফার্‌য সালাত জামা‘আতে আদায় করার হুকুম কি?
‘আবুল্লাহ ইবনু ‘উমার رضي الله عنها থেকে বর্ণিত, রাছূলুল্লাহ صلى الله عليه وسلم বলেছেন- ঘরে একাকি সালাত আদায় করার চেয়ে মাছজিদে সালাত আদায় করলে সাতাশ গুণ বেশি ছাওয়াব লাভ করা যায়। (সাহীহ্‌ বুখারী ও সাহীহ্‌ মুছলিম)
ফার্‌য সালাত জামা‘আতে আদায়ের হুক্‌ম সম্পর্কে ‘উলামায়ে কিরামের ভিন্ন ভিন্ন মত পরিলক্ষিত হয়। যেমন-

করোনাভাইরাস সম্পর্কিত ইছলামিক দৃষ্টিভঙ্গি (৪র্থ পর্ব)

১) শামে যখন তা’উন দেখা দেয়, তখন আবূ উবাইদাহ ইবনে জাররাহ رضي الله عنه ও মু’আয ইবনে জাবাল رضي الله عنه আল্লাহ এর কাছে প্রার্থনা করে যে, যেনো এই তা’উনের মধ্যে তাদের একটা অংশ রাখা হয়। এই রকম দু’আ
করে কি রোগ কামনা করা জায়েয আছে? এবং, এই তা’উনের মধ্যেও উনারা জামা’আতে সালাত আদায় করেছেন এবং, জুমু’আর খুতবা দিয়েছেন।
রাছূল صلى الله عليه وسلم বলেছেন, তোমরা তোমাদের সন্তানের উপর, নিজের সম্পদের উপর এবং,নিজের উপরে নিজে বদ দূ’আ করোনা। কারণ, হয়তো এমন একটা সময়ে এই বদ দু’আ গুলো তোমরা করবে যে, যে সময়টা হবে
দু’আ ক্ববুলের মুহূর্ত এবং, তা আল্লাহ سبحانه وتعالى এর কাছে ক্ববুল হয়ে যাবে। (মুছলিম)

করোনাভাইরাস সম্পর্কিত ইছলামিক দৃষ্টিভঙ্গি (৩য় পর্ব)

১) এই মহামারীর সময় আমাদের সবচেয়ে বড় প্রত্যাশা কি হওয়া উচিত?
এই মুহূর্তে অমুছলীমরা তো বটেই, এমনকি হয়তো ৭০% মুছলীমও ভ্যাক্সিনের আশায় বসে আছে। এটি একটি আক্বিদা পরিপন্থী বিষয়। অথচ, ১০০% মুছলীমের এই প্রত্যাশাই হওয়া উচিত যে, কখন তাঁর রবের রাহমাতের দরজা খুলবে এবং, তিনি আমাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন অতঃপর তাঁর এই আযাব আমাদের থেকে উঠিয়ে নেবেন। আল্লাহ سبحانه وتعالى কুরআনে কারীমে বলেন, وَ اِنۡ یَّمۡسَسۡکَ اللّٰہُ بِضُرٍّ فَلَا کَاشِفَ لَہٗۤ اِلَّا ہُوَ অর্থঃ আল্লাহ তোমার কোন ক্ষতি করতে চাইলে তিনি ছাড়া কেউ তা সরাতে পারবে না। (আন’আমঃ১৭)
২) হাদীছ থেকে জানা যায় যে, আল্লাহ سبحانه وتعالى এই তা’উন সর্বপ্রথম বানী ইসরাইল এর উপর প্রেরণ করেছিলেন। তারই একটা অংশ তিনি এই পৃথিবীতে

করোনাভাইরাস সম্পর্কিত ইছলামিক দৃষ্টিভঙ্গি (১ম পর্ব)

১) তা’উন শব্দের অর্থ কি?
আরবীতে দুইটি বিষয় আছে। একটি হচ্ছে আল-ওয়াবা এবং, আরেকটি হচ্ছে আত-তা’উন। এখানে ওয়াবা থেকে তা’উন হচ্ছে অনেকবেশী মারাত্মক ও বিপর্যয় সৃষ্টিকারী। তা’উনে মানুষের মৃত্যুহারও অনেক
বেশী থাকে। এটি দ্রুত বিস্তার লাভ করে।
আল-ওয়াবাও একধরনের সংক্রামক ও মহামারী। কিন্তু, এতে মৃত্যুহার থাকে অনেক কম। এবং, এটি নিয়ন্ত্রনে থাকে।
আবূ হুরাইরাহ رضي الله عنه বর্ণিত, রাছূল صلى الله عليه وسلم বলেন, সংক্রামক ব্যধি বলতে কিছু নেই। (মুত্তাফাকুন আলাইহি)

ক্বোরআনের তাফছীর (৯ম পর্ব)

এটি উছতায আবূ ছা‘আদা হাম্মাদ বিল্লাহ حفظه الله প্রদত্ত একটি ধারাবাহিক অডিও বক্তব্য। উক্ত ধারাবাহিক বক্তব্যে উছতায পবিত্র ক্বোরআনের ছূরা সমূহের তাফছীর প্রদান করবেন, ইন-শা-আল্লাহ, إن شاء الله।
ধারাবাহিক বক্তব্যে নিম্নোক্ত বইসমূহ উৎস হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে-

ক) আল ‘আল্লামা ‘আব্দুল্লাহ আছ্‌ ছা‘দী رحمه الله রচিত এবং শাইখ সালিহ্‌ আল ‘উছাইমীন رحمه الله কর্তৃক ব্যাখ্যাকৃত আত-তা‘লীক্ব ‘আলাল ক্বাওা‘য়ীদ আল-হিছান।
খ) আল ‘আল্লামা মুহাম্মাদ ‘আলী আস্‌ সাবূনী رحمه الله রচিত আত্‌ তিবয়ান ফী ‘উলূমিল ক্বোরআন।
গ) আল-‘আল্লামা ছুয়ূতী رحمه الله রচিত আল-ইতক্বান।
এছাড়াও ছালাফদের রচিত আরো কিছু কিতাব থেকে সারাংশ উপস্থাপন করা হবে, إن شاء الله।।
বক্তব্যের এ পর্বে উছতায নিম্নোক্ত বিষয়গুলো আলোচনা করেছেন-

১) بِسۡمِ اللہِ বা তাছমিয়াহ সম্পর্কে রাছূলুল্লাহ صلى الله عليه وسلم বলেছেন- কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ যদি তাছমিয়াহ তথা বিছমিল্লাহ দ্বারা শুরু করা না হয়, তবে সেই কাজ হবে লেজকাটা ও বারাকাতহীন।
তাছমিয়ার গুরুত্ব বুঝার জন্য রাছূলুল্লাহ্র (صلى الله عليه وسلم) এই হাদীছটিই যথেষ্ট। কিছু কিছু কাজ রয়েছে, যেগুলোর শুরুতে তাছমিয়াহ পাঠ করা

ক্বোরআনের তাফছীর (৮ম পর্ব)

এটি উছতায আবূ ছা‘আদা হাম্মাদ বিল্লাহ حفظه الله প্রদত্ত একটি ধারাবাহিক অডিও বক্তব্য। উক্ত ধারাবাহিক বক্তব্যে উছতায ক্বোরআনে কারীমের ছূরা সমূহের তাফছীর প্রদান করবেন, إن شاء الله।
ধারাবাহিক বক্তব্যে নিম্নোক্ত বইসমূহ উৎস হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে-

ক) আল ‘আল্লামা ‘আব্দুল্লাহ আছ্‌ ছা‘দী رحمه الله রচিত এবং শাইখ সালিহ্‌ আল ‘উছাইমীন رحمه الله কর্তৃক ব্যাখ্যাকৃত আত-তা‘লীক্ব ‘আলাল ক্বাওা‘য়ীদ আল-হিছান।
খ) আল ‘আল্লামা মুহাম্মাদ ‘আলী আস্‌ সাবূনী رحمه الله রচিত আত্‌ তিবয়ান ফী ‘উলূমিল ক্বোরআন।
গ) আল-‘আল্লামা ছুয়ূতী رحمه الله রচিত আল-ইতক্বান।
এছাড়াও ছালাফদের রচিত আরো কিছু কিতাব থেকে সারাংশ উপস্থাপন করা হবে, إن شاء الله।

বক্তব্যের এই পর্বে উছতায নিম্নোক্ত বিষয়গুলো আলোচনা করেছেন-
১) মুসহাফের প্রথম ছূরা হচ্ছে আল-ফাতিহাহ। এটি মাক্কী ছূরা। এতে মোট সাতটি আয়াত রয়েছে। এই ছূরার অনেকগুলো নাম বিশুদ্ধ ছুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত। যেমন-

ক) আল-ফাতিহাহ 

ক্বোরআনের তাফছীর (৭ম পর্ব)

এটি উছতায আবূ ছা‘আদা হাম্মাদ বিল্লাহ حفظه الله প্রদত্ত একটি ধারাবাহিক অডিও বক্তব্য। উক্ত ধারাবাহিক বক্তব্যে উছতায ক্বোরআনে কারীমের ছূরা সমূহের তাফছীর প্রদান করবেন, إن شاء الله। বক্তব্যের এই পর্বে উছতায তাফছীরের নিয়ম-নীতি ও ‘উলূমুল ক্বোরআন সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।
নিম্নোক্ত কিতাবসমূহ উৎস হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে-

ক) আল ‘আল্লামা ‘আব্দুল্লাহ আছ্‌ ছা‘দী رحمه الله রচিত এবং শাইখ সালিহ্‌ আল ‘উছাইমীন رحمه الله কর্তৃক ব্যাখ্যাকৃত আত-তা‘লীক্ব ‘আলাল ক্বাওা‘য়ীদ আল-হিছান।
খ) আল ‘আল্লামা মুহাম্মাদ ‘আলী আস্‌ সাবূনী رحمه الله রচিত আত্‌ তিবয়ান ফী ‘ঊলূমিল ক্বোরআন।
গ) আল-‘আল্লামা ছুয়ূতী رحمه الله রচিত আল-ইতক্বান।
এছাড়াও ছালাফদের রচিত আরো কিছু কিতাব থেকে সারাংশ উপস্থাপন করা হবে, إن شاء الله।

১) ক্বোরআনে কারীমের সর্বপ্রথম নাযিল হওয়া আয়াত কোনটি?
ছূরা ‘আলাক্বের প্রথম তিনটি আয়াতই হচ্ছে ক্বোরআনে কারীমের নাযিল হওয়া সর্বপ্রথম আয়াত। এ তিনটি আয়াত হলো-

اِقۡرَاۡ بِاسۡمِ رَبِّکَ الَّذِیۡ خَلَقَ خَلَقَ الۡاِنۡسَانَ مِنۡ عَلَقٍ اِقۡرَاۡ وَ رَبُّکَ الۡاَکۡرَمُ

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close