হাজ্ব ও ‘উমরাহর রুক্‌ন সমূহ

‘ইবাদাতের ক্ষেত্রে রুক্‌ন বলা হয় সেই সব কাজ বা বিষয়কে, যেগুলো পালন ব্যতীত ‘ইবাদাত বাতিল হয়ে যায় এবং ‘ইবাদাত সঠিক বা বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য যেগুলো সম্পাদনের কোন বিকল্প নেই। হাজ্জ বা ‘উমরাহর রুক্‌ন হলো সেই সব কাজ বা বিষয়, যেগুলো পালন ব্যতীত হাজ্জ বা ‘উমরাহ আদায় হয় না বরং তা বাতিল হয়ে যায়।

হাজ্জ অস্বীকারকারীর বিধান

যে ব্যক্তি হাজ্জকে দ্বীনে ইছলামের একটি রুক্‌ন এবং অত্যাবশ্যকীয় ফার্‌য ‘ইবাদাত বলে স্বীকার না করবে তথা অস্বীকার করবে, সে ব্যক্তি নিঃসন্দেহে ইছলাম বহির্ভূত কাফির।

শারী‘য়াতের পরিভাষায় হাজ্জ

শারী‘য়াতের পরিভাষায় হাজ্জ বলা হয়ঃ- আল্লাহ্‌র (سبحانه وتعالى) হুক্‌ম পালন এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের নিমিত্ত তাওয়াফ, ছা‘য়ি, ‘আরাফাহর ময়দানে অবস্থান এবং হাজ্জ্বের অন্যান্য কার্যাবলী সম্পাদনের মহান উদ্দেশ্যে মক্কায় গমন করা। হাজ্জ হলো দ্বীনে ইছলামের অন্যতম একটি রুক্‌ন বা ভিত্তি এবং ক্বোরআন, ছুন্নাহ ও ইজমা‘য়ে উম্মাত দ্বারা অকাট্য

জুমু‘আর সালাত কার উপর ফার্‌য?

স্বাধীন, প্রাপ্ত বয়স্ক, বিবেকবান, নিজ এলাকায় অবস্থানরত (মুক্বীম), জুমু‘আর সালাতে উপস্থিত হতে সক্ষম এবং তাতে অনুপস্থিত থাকার শারী‘য়াতে গ্রহণযোগ্য কোন ‘উয্‌র নেই, এমন প্রত্যেক মুছলমানের উপর জুমু‘আর সালাত আদা করা ফার্‌য।

জুমু‘আর সালাতের সময়

যুহরের সালাতের সময়ই হলো জুমু‘আর সালাতের সময়। এর প্রমাণ হলো- আনাছ رضي الله عنه হতে বর্ণিত:- 

أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي الجُمُعَةَ حِينَ تَمِيلُ الشَّمْسُ. (رواه البخاري و الترمذي و أحمد)

অর্থ- সূর্য যখন মধ্য আকাশ থেকে সরে (পশ্চিম দিকে একটু ঢলে পড়ত) যেত, তখন নাবী صلى الله عليه وسلم জুমু‘আর সালাত আদায় করতেন। (সাহীহ্‌ বুখারী, তিরমিযী, মুছনাদে ইমাম আহ্‌মাদ)

জুমু‘আর দিনে করণীয়

১। ‍জুমু‘আর দিন গোছল করা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হওয়া। কেননা রাছূলুল্লাহ صلى الله عليه وسلم বলেছেন:- 

إِذَا جَاءَ أَحَدُكُمُ الجُمُعَةَ، فَلْيَغْتَسِلْ. (رواه البخاري)

অর্থ- তোমাদের কেউ জুমু‘আর নামায আদায় করতে আসলে তার পূর্বে সে যেন গোছল করে নেয়। (সাহীহ্‌ বুখারী)

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close