‘ইবাদাত শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো:- চূড়ান্ত বিনয়, আনুগত্য ও বশ্যতা। শারী‘আতের পরিভাষায়:- প্রকাশ্য কিংবা গোপনীয় যতসব কথা ও কাজ আল্লাহ سبحانه وتعالى ভালোবাসেন ও পছন্দ করেন, সে সবের একটি সামষ্টিক নাম হলো ‘ইবাদাত।…
এটা সর্বজনজ্ঞাত বিষয় যে, সকল প্রকার ‘ইবাদাত হলো তাওক্বীফিয়্যাহ অর্থাৎ ক্বোরআন ও ছুন্নাহ নির্ভর। শারী‘আতের (ক্বোরআন ও ছুন্নাহ্র) মাধ্যম ব্যতীত ‘ইবাদাত সম্পর্কে জানা কারো পক্ষে সম্ভব নয়। তাই প্রতিটি মানুষকে আল্লাহ্র ‘ইবাদাত করতে হবে ক্বোরআনে কারীম ও রাছূলের (صلى الله عليه وسلم) ছুন্নাহ্তে প্রদত্ত বর্ণনা ও নির্দেশানুসারে এবং প্রতিটি ‘আমাল…
তাওহীদ শব্দের আভিধানিক অর্থ- এক করা, একক ও অদ্বিতীয় সাব্যস্ত করা, একত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করা। শারী‘য়াতের পরিভাষায় তাওহীদের অর্থ হলো- আল্লাহ্কে (سبحانه وتعالى) তাঁর সুমহান জাত (সত্তা) সর্বসুন্দর নাম ও সিফাতে (গুণরাজি-বৈশিষ্ট্যে) এবং তাঁর অধিকার, কর্ম ও কর্তৃত্বে এক, একক ও অদ্বিতীয় ষোষণা ও সাব্যস্ত করা, এবং এসব ক্ষেত্রে নিজের কথা, কাজ…
“মুহাম্মাদ صلى الله عليه وسلم আল্লাহ্র রাছূল” এই সাক্ষ্যের প্রকৃত অর্থ হলো:- মুহাম্মাদ صلى الله عليه وسلم মানব ও জিন জাতির প্রতি আল্লাহ্র প্রেরিত সর্বশেষ রাছূল, যার কাছে আল্লাহ্র পক্ষ হতে একের পর এক বার্তা বা সংবাদ আসে। তিনি ইলাহ বা উপাস্য নন এবং উপাস্য হওয়ার কোন গুণাবলী বা যোগ্যতা তাঁর মধ্যে নেই। তিনি শুধুমাত্র আল্লাহ্র এক বান্দাহ এবং তাঁর প্রেরিত নাবী ও রাছূল।…
এটি শাইখ হাম্মাদ বিল্লাহ حفظه الله প্রদত্ত অত্যন্ত মূল্যবান একটি বক্তৃতা। এতে তিনি বিশেষভাবে বাংলদেশের মুছলমানদের মধ্যে বিদ্যমান কিছু সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি মুছলমানদেরকে প্রতিটি ‘আক্বীদাহ-বিশ্বাস ও কাজে-কর্মে ক্বোরআন ও ছুন্নাহ্র সুস্পষ্ট বিশুদ্ধ দালীলের উপর নির্ভর করার এবং তা অনুসরণ করার আহবান জানিয়েছেন। প্রকৃত অর্থে ক্বোরআন-ছুন্নাহ্র দালীলকে অনুসরণ করাই হলো সত্যিকার গ্রহণযোগ্য তাক্বলীদ।…