নামাযের ভিতরের রুক্‌ন বা ফার্‌য সমূহ

নামাযের ভিতরে মোট ১১টি রুক্‌ন বা ফার্‌য কর্ম রয়েছে। ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় এগুলোর কোন একটি বাদ পড়ে গেলে নামায বাত্বিল হয়ে যাবে।

রুক্‌নগুলো হলো যথা:-

(১) তাকবীরে তাহ্‌রীমাহ বলা। এর প্রমাণ হলো- রাছূল صلى الله عليه وسلم বলেছেন:-

مِفْتَاحُ الصَّلَاةِ الطُّهُورُ، وَتَحْرِيمُهَا التَّكْبِيرُ، وَتَحْلِيلُهَا التَّسْلِيمُ. (مسند أحمد, أبو داؤد, ترمذى, إبن ماجة)

সালাত ফার্‌য হওয়ার জন্য শর্ত কয়টি ও কি কি?

সালাত ফার্‌য হওয়ার জন্য রয়েছে ৩টি শর্ত। এ তিনটি শর্ত একত্রে একসাথে যার মধ্যে পাওয়া যাবে তার উপর সালাত ফার্‌য।

শর্তগুলো হলো যথা:-

(এক) মুছলমান হওয়া।

শুধু সালাতই নয় বরং অন্যান্য যে কোন ‘ইবাদাতের ক্ষেত্রেই মুছলমান হওয়া পূর্বশর্ত। কেননা ইছলাম ছাড়া কোন ‘ইবাদাতই আল্লাহ্‌র (جل وعلا) নিকট গ্রহণযোগ্য নয়।

সালাত সঠিক হওয়ার জন্য শর্ত কয়টি ও কি কি?

সালাত সঠিক হওয়ার জন্য সালাত পূর্ববর্তী তথা সালাতের বাইরে ৬টি শর্ত রয়েছে। এগুলো যথাযথভাবে পূরণ না করলে নামায সঠিক হবে না, এমনকি এই শর্তগুলোর মধ্য হতে একটি শর্তও যদি না পাওয়া যায়, তাহলে সালাত বাত্বিল বলে গণ্য হবে।

শর্তগুলো হলো যথা:-

(এক) সালাতের সময় হয়েছে বলে অবগত হওয়া। কেননা সালাত হলো এমন একটি ফার্‌য কর্ম যা সময়ের সাথে সম্পর্কিত এবং সময় নির্ভর।

জামা‘আতে নামাযে দাঁড়ানোর পদ্ধতি, গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

সালাত হলো দ্বীনে ইছলামের দ্বিতীয় রুক্‌ন। ইছলাম ও কুফ্‌রের মধ্যে পার্থক্য বিধানকারী যেসব বিষয় রয়েছে তন্মধ্যে অন্যতম হলো সালাত। আল্লাহ্‌র (عز وجل) আদেশকৃত প্রতিটি বিধি-বিধানের মধ্যেই নিহিত রয়েছে অসংখ্য হিকমাত। এসবের বেশিরভাগই মানবজাতি তার স্বল্প ও সীমিত জ্ঞান দ্বারা বুঝতে অক্ষম-অপারগ।

তবে সর্বাবস্থায় তা পালনের মধ্যেই রয়েছে মানুষের ইহ-পরকালের মুক্তি ও কল্যাণ। প্রত্যেক মুছলমান পুরুষের জন্য পাঁচ ওয়াক্ব্‌ত ফার্‌য সালাত জামা‘আতের সাথে আদায় করা ইছলামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান। ইছলামের এই বিধানটির মূলেও অসংখ্য হিকমাত নিহিত রয়েছে।

“ফিরিশতাগণের প্রতি বিশ্বাস” বলতে কি বুঝায়?

ফিরিশতাগণের প্রতি বিশ্বাস পোষণ করার অর্থ হলো:- ব্যাপক ও বিশদভাবে দৃঢ়ভাবে এ বিশ্বাস পোষণ করা যে, আল্লাহ্‌র (سبحانه وتعالى) অসংখ্য মালাইকাহ (ফিরিশতা) রয়েছেন। তাদেরকে তিনি তাঁর আনুগত্যের জন্য সৃষ্টি করেছেন।

তাদের বর্ণনা দিয়ে আল্লাহ عز وجل ইরশাদ করেছেন:-

بَلْ عِبَادٌ مُّكْرَمُونَ. لَا يَسْبِقُونَهُ بِالْقَوْلِ وَهُم بِأَمْرِهِ يَعْمَلُونَ. يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يَشْفَعُونَ إِلَّا لِمَنِ ارْتَضَى وَهُم مِّنْ خَشْيَتِهِ مُشْفِقُونَ. (سورة الأنبياء- ٦٢-٨٢)

“রাছূলগণের প্রতি বিশ্বাস” বলতে কি বুঝায়?

রাছূলগণের প্রতি বিশ্বাস পোষণ করার অর্থ হলো:- ব্যাপক ও বিশদভাবে এই ঈমান পোষণ করা যে, আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীন তাঁর বান্দাহ্‌দের প্রতি তাদের মধ্য হতে বহু সংখ্যক নাবী পাঠিয়েছেন। আল্লাহ عز وجل ইরশাদ করেছেন:-

وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ أُمَّةٍ رَّسُولاً أَنِ اعْبُدُواْ اللّهَ وَاجْتَنِبُواْ الطَّاغُوتَ. (سورة النحل- ٣٦)

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close