সালাত ফার্‌য হওয়ার জন্য শর্ত কয়টি ও কি কি?

সালাত ফার্‌য হওয়ার জন্য রয়েছে ৩টি শর্ত। এ তিনটি শর্ত একত্রে একসাথে যার মধ্যে পাওয়া যাবে তার উপর সালাত ফার্‌য।

শর্তগুলো হলো যথা:-

(এক) মুছলমান হওয়া।

শুধু সালাতই নয় বরং অন্যান্য যে কোন ‘ইবাদাতের ক্ষেত্রেই মুছলমান হওয়া পূর্বশর্ত। কেননা ইছলাম ছাড়া কোন ‘ইবাদাতই আল্লাহ্‌র (جل وعلا) নিকট গ্রহণযোগ্য নয়।

সালাত সঠিক হওয়ার জন্য শর্ত কয়টি ও কি কি?

সালাত সঠিক হওয়ার জন্য সালাত পূর্ববর্তী তথা সালাতের বাইরে ৬টি শর্ত রয়েছে। এগুলো যথাযথভাবে পূরণ না করলে নামায সঠিক হবে না, এমনকি এই শর্তগুলোর মধ্য হতে একটি শর্তও যদি না পাওয়া যায়, তাহলে সালাত বাত্বিল বলে গণ্য হবে।

শর্তগুলো হলো যথা:-

(এক) সালাতের সময় হয়েছে বলে অবগত হওয়া। কেননা সালাত হলো এমন একটি ফার্‌য কর্ম যা সময়ের সাথে সম্পর্কিত এবং সময় নির্ভর।

সালাতের মধ্যে ওয়াজিব হলো সাতটি

সালাতের মধ্যে ওয়াজিব হলো সাতটি। এসব ওয়াজিবের মধ্যে যে কোন একটি কেউ যদি ইচ্ছা পূর্বক ছেড়ে দেয় তাহলে তার নামায বাতিল হয়ে যাবে এবং পুনরায় নতুন করে ঐ সালাত আদা করতে হবে। আর যদি ভুল বশতঃ নামাযের কোন ওয়াজিব বাদ পড়ে যায়, তাহলে “ছাহু ছাজদাহ” করে নিলে সেই নামায শুদ্ধ হয়ে যাবে।
(এক) তাকবীরে তাহ্‌রীমাহ ব্যতীত নামাযের অন্যান্য তাকবীর সমূহ। কেননা রাছূল তা কখনো পরিত্যাগ করেননি।

(দুই) রুকূ‘ হতে উঠার সময় ইমাম ও মুনফারিদের (একাকী নামায আদায়কারীর) “سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ” (ছামি‘আল্লাহু লিমান হামিদাহ) বলা। এর প্রমাণ হলো:- আবূ হুরায়রাহ رضي الله عنه থেকে বর্ণিত-

كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ حِينَ يَرْفَعُ صُلْبَهُ مِنَ الرُّكُوعِ. (رواه مسلم)

পাঁচ ওয়াক্ব্‌তের ফার্‌য সালাত জামা‘আতে আদায় করা ওয়াজিব

পাঁচ ওয়াক্ব্‌তের ফার্‌য সালাত জামা‘আতে আদায় করা ওয়াজিব। এর প্রমাণ হলো- রাছূলুল্লাহ صلى الله عليه وسلم বলেছেন:-

وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ بِحَطَبٍ، فَيُحْطَبَ، ثُمَّ آمُرَ بِالصَّلاَةِ، فَيُؤَذَّنَ لَهَا، ثُمَّ آمُرَ رَجُلًا فَيَؤُمَّ النَّاسَ، ثُمَّ أُخَالِفَ إِلَى رِجَالٍ، فَأُحَرِّقَ عَلَيْهِمْ بُيُوتَهُمْ. (رواه البخاري)

অর্থ- যার হাতে আমার প্রাণ তাঁর শপথ করে বলছি, আমার ইচ্ছে হয় যে, আমি জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করার নির্দেশ দিব, জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করা হবে, তারপর আমি সালাতের নির্দেশ দিব, সালাতের জন্য আযান দেয়া হবে, অতঃপর আমি কাউকে নামায পড়ানোর (সালাতে ইমামতি করার) নির্দেশ দিব, সে নামাযে ইমামতি করবে। ওদিকে আমি সেই সব লোকদের (যারা মাছজিদে জামা‘আতে শরীক হয়নি) বাড়িতে গিয়ে তাদের সহ তাদের ঘর-বাড়িগুলো জ্বালিয়ে দিব। (সাহীহ্‌ বুখারী)

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close