এই অডিওটি হলো আহামিয়্যাতুত্ তাওহীদ বা তাওহীদের গুরুত্ব শিরোনামে শাইখ ফাওযান c প্রদত্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাষণের বাংলা অনুবাদ। অনুবাদ করেছেন উছতায হাম্মাদ বিল্লাহ c। যুগে যুগে সত্যিকার সকল ‘উলামায়ে কিরামের আলোচনার প্রধান ও মূল বিষয়বস্তু “তাওহীদ” হওয়ার প্রকৃত কারণ কী, অত্র ভাষণে সে বিষয়টি অত্যন্ত চমৎকারভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
সত্যিকার ‘উলামায়ে কিরামের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এটাই যে, তারা সবসময় তাওহীদ ও তার প্রকার সমূহের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করে থাকেন। তারা প্রতিটি বিষয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে তাওহীদকে রাখেন এবং তাওহীদের ভিত্তিতেই সকল কিছুর সমাধান দিয়ে থাকেন। তারা মানুষকে ইছলামের মৌলিক বিষয়ের প্রতি তথা তাওহীদের প্রতি দিক-নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে তাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে চান। কেননা তাওহীদই হলো ইহ-পরকালের সফলতা লাভের মূল চাবিকাঠি এবং এর উপরই গোঁটা দ্বীন নির্ভরশীল। এই পর্বে নিম্নোক্ত বিষয়াদী সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে:-
১) তাওহীদ কি?
২) তাওহীদের গুরুত্ব-প্রয়োজনীয়তা এবং ইছলামে এর অবস্থান সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুছলমানের জন্য আবশ্যক, কেননা তাওহীদ-ই হলো ইহ-পরকালীন মুক্তি ও সফলতার একমাত্র চাবিকাঠি।
৩) তাওহীদের অর্থ হলো- ‘ইবাদাতকে একমাত্র আল্লাহ্র (8) জন্যে নিবেদন করা অর্থাৎ সর্বপ্রকার ‘ইবাদাতে আল্লাহ্র (0) এককত্ব অক্ষুন্ন রাখা এবং আল্লাহ ব্যতীত সকল কিছুর ‘ইবাদাত ও অন্য সকল উপাস্যকে বর্জন করা।
৪) মাদারিজুছ্ ছালিকীন গ্রন্থে ইমাম ইবনুল ক্বায়্যিম o বলেছেন- সমগ্র ক্বোরআনই তাওহীদ বিষয়ক।
৫) পথভ্রষ্ট সেই সকল দা‘য়ীদের ব্যাপারে সতর্কীকরণ; যারা তাওহীদের বিষয়টিকে কোনরূপ গুরুত্ব দেয় না উপরন্তু তাওহীদ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধ্যান-ধারণার প্রচার করে থাকে। যেমন আমীরুল মু‘মিনীন ‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব h বলেছেন:-
إنَّمَا تُنْقَضُ عُرَى الْإِسْلَامِ عُرْوَةً عُرْوَةً إذَا نَشَأَ فِي الْإِسْلَامِ مَنْ لَمْ يَعْرِفْ الْجَاهِلِيَّةَ
অর্থ- বস্তুতঃ ইছলামের রজ্জু একটু একটু করে ভেঙ্গে (ছিঁড়ে) যাবে, যখন ইছলামের মধ্যে এমন লোকের আবির্ভাব ঘটবে, যে জাহিলিয়্যাত সম্পর্কে অজ্ঞ হবে।মুছনাদে ইমাম আহ্মাদ
৬) শাইখ সালিহ্ আল ফাওযান c প্রকৃত ‘উলামায়ে কিরামের ফাযীলাত এবং জ্ঞানপাপীদের (পথভ্রষ্ট ‘আলিমদের) অজ্ঞতার বিষয়টি আলোচনা করেছেন।
৭) তাওহীদের বিষয়টি ব্যাপক প্রচার ও প্রসারের জন্য সামাজিক ও দা‘ওয়াতী কার্যক্রম আরো জোরদার করা প্রয়োজন।
৮) মুছলমান অধ্যুষিত অনেক দেশে এমন বহু ক্বাব্র রয়েছে যেগুলোর পূজা করা হয়।
৯) ইছলামের এমন অনেক দা‘য়ী রয়েছেন যারা সঠিক আখলাক্বের প্রতি দা‘ওয়াত দেন কিন্তু তাওহীদের দা‘ওয়াত দেন না কিংবা তাওহীদের প্রতি তেমন একটা গুরুত্ব প্রদান করেন না।
১০) প্রত্যেক মুছলমানকে সর্বাগ্রে নিজ ‘আক্বীদাহ সংশোধন করতে হবে, অন্যথায় তার কোন ‘ইবাদাতই আল্লাহ্র নিকট গ্রহণযোগ্য হবে না।
১১) রাছূলুল্লাহ্ 1 এবং সাহাবায়ে কিরামের (4) দা‘ওয়াতী কার্যক্রম তাওহীদ দিয়েই শুরু হতো।
১২) শির্ক যাবতীয় নেক ‘আমালকে বিনষ্ট করে দেয়। যেমন, ছূরা আল আন‘আমের ৮৩-৮৪ এবং ৮৮ নং আয়াতে আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেন।
১৩) তাওহীদ মানবজাতি ও মানবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে, বিভক্ত করে না।
১৪) তাওহীদের প্রচারে ছৌদী ‘আরাবের অবদান।