এই অডিওটি আশ্শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু সালিহ্ আল ‘উছাইমীন o কর্তৃক ব্যাখ্যাকৃত ইমাম ইবনু ক্বোদামাহ আল মাক্বদিছী o এর সুপ্রসিদ্ধ গ্রন্থ “লুম‘আতুল ই‘তিক্বাদ”এর ধারাবাহিক অডিও ভাষান্তর। বাংলা ভাষায় অডিওরূপে এটি ভাষান্তর করেছেন উছ্তায আবূ ছা‘আদা হাম্মাদ বিল্লাহ c। এতে ছালাফে সালিহীনের (g) আক্বীদাহ-বিশ্বাসের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। আহলুছ্ ছুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের ‘উলামায়ে কিরামের চিরাচরিত স্বভাব–বৈশিষ্ট্যও হলো যে, তারা তাদের লিখনীর মাধ্যমে সর্বাগ্রে বিশুদ্ধ ইছলামী ‘আক্বীদাহ সংরক্ষণ এবং তা প্রচার ও প্রসার করে থাকেন। বক্তব্যের এ পর্বে উছতায হাম্মাদ বিল্লাহ c সম্পর্কে ‘পুনরুথান ও হাশরের বিষয়’ নিয়ে আলোচনা করেছেন। আলোচনার সারসংক্ষেপ নিম্নরূপঃ
১) পুনরুত্থান ও হাশ্রের বিষয় নিয়ে আলোচনার এই পর্যায়ে ইবনু ক্বোদামা o বলেন- ক্বিয়ামাতের দিন মানুষকে সমবেত করা হবে খালি গায়ে, খালি পায়ে এবং খৎনা বিহীন অবস্থায়। কোনকিছুই সাথে থাকবে না।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেন-
كَمَا بَدَأْنَا أَوَّلَ خَلْقٍ نُعِيدُهُ وَعْدًا عَلَيْنَا إِنَّا كُنَّا فَاعِلِينَ
অর্থাৎ- যেভাবে আমি প্রথমবার (মানুষকে) সৃষ্টি করেছিলাম, সেভাবে আবার সৃষ্টি করব। ওয়া‘দা আমি করেছি, তা আমি পূর্ণ করবই।ছূরা আল আম্বিয়া- ১০৪
তারা সেখানে ততক্ষণ পর্যন্ত অবস্থান করবে, যতক্ষণ পর্যন্ত না তাদের বিষয়ে নাবী 1 আল্লাহ্র (0) কাছে সুপারিশ করবেন।
এর ব্যাখ্যায় শাইখ ‘উছাইমীন o বলেন- ক্বিয়ামাতের দিন সমগ্র সৃষ্টিজগতকে তাদের কর্মের হিসাব গ্রহণ ও ফায়সালার জন্য সমবেত করা হবে। একেই হাশ্র বলে।
যেমন আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেন- قُلْ بَلَى وَرَبِّي لَتُبْعَثُنَّ ثُمَّ لَتُنَبَّؤُنَّ بِمَا عَمِلْتُمْ
অর্থাৎ- বলুন, নিশ্চয়ই (উঠানো) হবে, আমার প্রতিপালকের শপথ! তোমাদেরকে অবশ্যই অবশ্যই পুনরুত্থিত করা হবে, অতঃপর তোমাদেরকে অবশ্যই অবশ্যই তা জানিয়ে দেয়া হবে যা তোমরা (দুন্ইয়ায়) করেছ।ছূরা আত্ তাগাবুন- ৭
অন্য আরেকটি আয়াতে আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেন-
قُلْ إِنَّ الْأَوَّلِينَ وَالْآخِرِينَ. لَمَجْمُوعُونَ إِلَى مِيقَاتِ يَوْمٍ مَعْلُومٍ
অর্থাৎ- বলুন, নিশ্চয় পূর্ববর্তীদেরকে এবং পরবর্তীদেরকে- অবশ্যই একত্রিত করা হবে একটি নির্দিষ্ট দিনের নির্ধারিত সময়ে।ছূরা আল ওয়াক্বি‘য়াহ -৪৯-৫০
রাছূলুল্লাহ 1 বলেছেন- অবশ্যই তোমাদেরকে সমবেত করা হবে খালি গায়ে, খালি পায়ে এবং খৎনা বিহীন অবস্থায়। অতঃপর তিনি كَمَا بَدَأْنَا أَوَّلَ خَلْقٍ نُعِيدُهُ وَعْدًا عَلَيْنَا إِنَّا كُنَّا فَاعِلِينَ আয়াতটি তিলাওয়াত করেন।
পুনরুত্থানের বিষয়ে ইজমা’ রয়েছে। এটি পরকালে বিশ্বাসের অন্তর্ভুক্ত একটি বিষয়। এটি ঈমানের অন্যতম একটি রুক্ন। পুনরুত্থানে অবিশ্বাসী ব্যক্তি মু’মিন হতে পারে না, বরং সে কাফির।
যারা এগুলোকে অস্বীকার করে, তাদের কাছে কিছু খোঁড়া যুক্তি ছাড়া আর কোনো প্রমাণ নেই। তাদের কথা হলো- أَئِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَعِظَامًا أَئِنَّا لَمَبْعُوثُونَ
অর্থাৎ- আমরা যখন মরে যাব আর মাটি ও হাড়ে পরিণত হয়ে যাব, তখন কি আমরা পুনরুত্থিত হবো?ছূরা আল ওয়াক্বি‘য়াহ- ৪৭
অথচ, তারা “পৃথিবী একসময় ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে” বিষয়টি স্বীকার করেই নিয়েছে। এটি তাদের কাছে প্রমাণিত। যেমন আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেন- كُلُّ مَنْ عَلَيْهَا فَانٍ
অর্থাৎ- পৃথিবীপৃষ্ঠে যা আছে সবই ধ্বংসশীল ছূরা আর্ রাহ্মান- ২৬
এই পৃথিবী একসময় ছিল না। পরবর্তীতে এর উদ্ভব হয়েছে। এই ব্যাপারটিও তারা স্বীকার করে। এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, এই পৃথিবী সৃষ্ট। সুতরাং, যে বস্তু সৃষ্ট হয়, তার ধংস অনিবার্য।
সুতরাং বলা যায় যে, যেখানে পৃথিবীর অস্তিত্ব ছিলনা, সেখানে মানবজাতির অস্তিত্বের প্রশ্নই আসে না। তাই মানবজাতিও একই সাথে সৃষ্ট ও ধংসশীল।২) তথাকথিত মুছলিম নামধারী কিছু লোক স্রষ্টায় বিশ্বাসী হলেও পরকাল বা পুনরুত্থানে বিশ্বাস করে না।
তাদের উদ্দেশ্যে বলা যায় যে, যিনি এগুলো প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন, তার জন্য পুনরায় এগুলো তৈরি করা খুবই সোজা। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেন-
قُلْ يُحْيِيهَا الَّذِي أَنْشَأَهَا أَوَّلَ مَرَّةٍ وَهُوَ بِكُلِّ خَلْقٍ عَلِيمٌ
অর্থাৎ- বলুন, এগুলোকে জীবন্ত করবেন তিনিই যিনি তা প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন, আর তিনি প্রতিটি সৃষ্টি সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি অবগত।ছূরা ইয়া-ছীন- ৭৯
আল্লাহ 0 যদি মৃত জমিকে পুনরায় (বৃষ্টির) পানির মাধ্যমে জীবন দান করতে পারেন, তবে কেন মৃতকে জীবন দান করতে পারবেন না?
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেন-
وَمِنْ آيَاتِهِ أَنَّكَ تَرَى الْأَرْضَ خَاشِعَةً فَإِذَا أَنْزَلْنَا عَلَيْهَا الْمَاءَ اهْتَزَّتْ وَرَبَتْ إِنَّ الَّذِي أَحْيَاهَا لَمُحْيِي الْمَوْتَى إِنَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
অর্থাৎ- তাঁর নিদর্শনগুলোর মধ্যে হলো এই যে, তুমি যমীনকে দেখবে শুষ্ক-অনুর্বর পড়ে আছে। অতঃপর আমি যখন এতে বৃষ্টি বর্ষণ করি, তখন তা সতেজ হয় ও বেড়ে যায়। নিশ্চয় যিনি তা জীবিত করেন, তিনি অবশ্যই মৃতদেরকে জীবিত করবেন। তিনি সকল বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান।ছূরা ফুস্সিলাত- ৩৯
অন্যত্র আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেন-
أَأَنْتُمْ أَشَدُّ خَلْقًا أَمِ السَّمَاءُ بَنَاهَا
অর্থাৎ- তোমাদেরকে সৃষ্টি করা বেশি কঠিন না আকাশকে? তিনি তো সেটা সৃষ্টি করেছেন।ছূরা আন্ না-যি‘য়া-ত- ২৭
যিনি প্রথমবার মানুষকে সৃষ্টি করেছেন, দ্বিতীয়বার তাকে সৃষ্টি করা আল্লাহ্র জন্য আরো সহজ।
আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেন- لَخَلْقُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ أَكْبَرُ مِنْ خَلْقِ النَّاسِ وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ
অর্থাৎ- অবশ্যই আছমান ও যমীনের সৃষ্টি মানুষ সৃষ্টির চেয়ে বড় (ব্যাপার)। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না।ছূরা গাফির- ৫৭
আবার, যারা নাস্তিক, তাদের উদ্দেশে বলা যায় যে, এক্ষেত্রে আল্লাহ 0 ঘুমের উপমা দিয়ে তাদের জবাব দিয়েছেন। কারণ, ঘুমের সময় মানুষের নিয়ন্ত্রন আর তার নিজের কাছে থাকে না। তাই, ঘুম হচ্ছে ছোট মৃত্যু ও ছোট পুনরুত্থানের একটি নমুনা। ঘুমকে তাই মৃত্যুর সহোদর বলা হয়। যেমন আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেন-
وَهُوَ الَّذِي يَتَوَفَّاكُمْ بِاللَّيْلِ وَيَعْلَمُ مَا جَرَحْتُمْ بِالنَّهَارِ ثُمَّ يَبْعَثُكُمْ فِيهِ لِيُقْضَى أَجَلٌ مُسَمًّى ثُمَّ إِلَيْهِ مَرْجِعُكُمْ ثُمَّ يُنَبِّئُكُمْ بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ
অর্থাৎ- তিনিই রাত্রিকালে তোমাদের মৃত্যু ঘটান, আর দিনে তোমরা যা কর তা তিনি জানেন। অতঃপর দিনের বেলা তিনি তোমাদের পুনর্জীবিত করেন, যাতে একটি নির্ধারিত মেয়াদ পূর্ণ হয়। এরপর তাঁর পানেই তোমাদের প্রত্যাবর্তনস্থল, অতঃপর তোমরা যা করতে সে সম্পর্কে তিনি তোমাদেরকে জানিয়ে দিবেন।ছূরা আল আন‘আম- ৬০
৩) পুনরুত্থানের বিষয়টি কিভাবে সংঘটিত হবে?
এই ব্যাপারে পবিত্র ক্বোরআনে আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেন-
فَإِذَا نُفِخَ فِي الصُّورِ نَفْخَةٌ وَاحِدَةٌ وَحُمِلَتِ الْأَرْضُ وَالْجِبَالُ فَدُكَّتَا دَكَّةً وَاحِدَةً فَيَوْمَئِذٍ وَقَعَتِ الْوَاقِعَةُ وَانْشَقَّتِ السَّمَاءُ فَهِيَ يَوْمَئِذٍ وَاهِيَةٌ وَالْمَلَكُ عَلَى أَرْجَائِهَا وَيَحْمِلُ عَرْشَ رَبِّكَ فَوْقَهُمْ يَوْمَئِذٍ ثَمَانِيَةٌ
অর্থাৎ- অতঃপর যখন শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়া হবে- মাত্র একটি ফুঁৎকার। আর যমীন ও পর্বতমালা উৎক্ষিপ্ত হবে আর একই আঘাতে তাদেরকে চূর্ণ বিচূর্ণ করা হবে। সেদিন সংঘটিত হবে মহা ঘটনা। আকাশ ফেটে সেদিন বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়বে। এবং ফিরিশতারা থাকবে আকাশের প্রান্তে। আর সেদিন আটজন (ফিরিশতা) আপনার প্রতিপালকের ‘আরশকে তাদের উপর বহন করবে।ছূরা আল হা-ক্ব্ক্বাহ- ১৩-১৭
অন্যত্র আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেন- وَأَنَّ السَّاعَةَ آتِيَةٌ لَا رَيْبَ فِيهَا وَأَنَّ اللَّهَ يَبْعَثُ مَنْ فِي الْقُبُورِ
অর্থাৎ- আর ক্বিয়ামাত অবশ্যই আসবে, এতে কোন সন্দেহ নেই এবং যারা ক্বাব্রে আছে- আল্লাহ তাদেরকে অবশ্যই পুনরুত্থিত করবেন।ছূরা আল হাজ্জ- ৭
৪) হাশ্রের ময়দান কোথায় অবস্থিত হবে?
এ ব্যাপারে আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেন- يَوْمَ تُبَدَّلُ الْأَرْضُ غَيْرَ الْأَرْضِ وَالسَّمَاوَاتُ وَبَرَزُوا لِلَّهِ الْوَاحِدِ الْقَهَّارِ
অর্থাৎ- যেদিন এ পৃথিবী অন্য এক পৃথিবীতে রূপান্তরিত হবে, আর আছমানসমূহও (বদলে যাবে), আর তারা (মানুষ) এক ও মহাপরাক্রমশালী আল্লাহর সম্মুখে বের হয়ে আসবে।ছূরা ইবরাহীম- ৪৮
এই পৃথিবীকেই কি শুধু গুণগত ভাবে পরিবর্তন করা হবে, নাকি সম্পূর্ণ নতুন আরেকটি পৃথিবীতে মানুষ সমবেত হবে?
এই ব্যাপারে দ্বিমত রয়েছে। অনেকের মতে, ছূরা ইবরাহীমের আয়াত দ্বারা শুধুমাত্র গুণগত পরিবর্তনকে বুঝানো হয়েছে।
তাদের দালীল হলো- ক্বোরআনের এই আয়াতটি- فَيَذَرُهَا قَاعًا صَفْصَفًا لَا تَرَى فِيهَا عِوَجًا وَلَا أَمْتًا
অর্থাৎ- অতঃপর তিনি একে (পৃথিবীকে) রেখে দিবেন তৃণহীন সমতল ভূমিরূপে। তাতে তুমি দেখবে না কোন বক্রতা ও উচ্চতা।ত্বা-হা- ১0৬-১0৭
মুছতাদরাকে হাকিমে বর্ণিত আছে যে, রাছূলুল্লাহ 1 বলেছেন- ভাঁজ হয়ে যাওয়া চামড়াকে যেমন টেনে সমতল করে দেওয়া হয়, তেমনি পৃথিবীকেও টেনে সমতল করে দেওয়া হবে। আর সেখানেই আদম সন্তানদেরকে একত্রিত করা হবে।
এই হাদীছ থেকে জানা যায় যে, পৃথিবীই থাকবে। শুধু এর মধ্যে গুনগত পরিবর্তন করা হবে।
আবার অনেকের মতে, এই পৃথিবীর পরিবর্তে পরিপূর্ণ অন্য আরেকটি পৃথিবী নিয়ে আসা হবে।
তাদের দালীল হলো, ইবনু মাছ‘উদ 3 থেকে বর্ণিত, রাছূলুল্লাহ 1 বলেছেন- হাশ্রের ময়দান একটি নতুন পৃথিবীতে হবে। যেটি হবে রূপার মত ধবধবে সাদা। যে পৃথিবীতে কোনো অন্যায়ের রক্তের দাগ থাকবে না।মুছনাদে আহ্মাদ
এই হাদীছ থেকে আবার জানা যায় যে, এটি গুনগত ও সত্তাগত দিক দিয়ে সম্পূর্ণ নতুন আরেকটি পৃথিবী হবে। এই মতটিই অধিকতর গ্রহণযোগ্য।
৫) সেদিন সর্বপ্রথম ইবরাহীম-কে (5) পোষাক পরিধান করানো হবে।মুত্তাফাক্বোন ‘আলাইহি
অথচ রাছূলুল্লা 1 হবেন সমগ্র আদম সন্তানের নেতা এবং সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ। তার মর্যাদা কি তাহলে ইবরাহীম 5 থেকে কম?
আসলে, প্রথমে কাপড় পরানোটা একটি আনুষঙ্গিক বিষয়। এই ক্ষেত্রে হয়তো আল্লাহ 0 ইবরাহীম-কে (5) বিশেষ মর্যাদা দান করবেন।
আরেকটি বর্ণনা মতে, রাছূলুল্লাহ 1 বলেছেন- ক্বিয়ামাতের দিন যখন আমি হুশ ফিরে পাবো, তখন দেখব যে, মূছা 5 ‘আর্শের খুঁটি ধরে দাড়িয়ে আছেন। আমি জানি না যে, উনি আমার আগে হুশ ফিরে পেলেন কি-না।
এক্ষেত্রেও বলা যায় যে, হয়ত আল্লাহ 0 মূছা-কে (5) বিশেষ মর্যাদা দান করবেন।
ক্লাস শেষে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদান করা হয়:-
১) ছাহাবায়ে কিরামের (g) মধ্যে ইখতিলাফের বিষয়গুলো আমরা কিভাবে বিশ্বাস করব? অর্থাৎ, তারা হচ্ছেন এই উম্মাতের মধ্যে উত্তম। সেক্ষেত্রে তারা রাছূলুল্লাহ-কে (1) দেখেছেন, উনার কাছ থেকে সরাসরি জ্ঞান অর্জন করেছেন। এরপরও তাদের মধ্যে কিছু ইখতিলাফ পরিলক্ষিত হয়। এগুলো কিসের উপর ভিত্তি করে হয়েছে?
২) আমাকে একজন বলেছিল- ইয়াওমুল ক্বিয়ামাহ ছাড়াও এর আগে বা পরে আরো একটি দিন আছে। এই কথাটি কি সঠিক?
৩) السلام عليكم।
আমি প্রায়ই আপনাদের ওয়েবসাইটে যেয়ে পড়াশুনা করি। আজ হাজ্জের পদ্ধতি পড়তে যেয়ে একাধিক ‘উমরাহ করার বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হলো। আমরা ছালাফী ‘আলিমদের কাছে শুনেছি যে, এক ছফরে একাধিক ‘উমরাহ করা ঠিক নয়। কেননা, রাছূলুল্লাহ 1 এক ছফরে একাধিক ‘উমরাহ করেননি। আশা করি বিষয়টির প্রতি দালীলভিত্তিক আলোকপাত করবেন। جزاك اللهُ خيرًا