আল ইমাম মুহাম্মাদ ইবনু সালিহ্‌ আল ‘উছাইমীন কর্তৃক ব্যাখ্যাকৃত আল ইমাম ইবনু ক্বোদামাহ আল মাক্বদিছী রচিত -‘আক্বীদাহ সংকলন- গ্রন্থ (৩৪তম পর্ব)

এই অডিওটি হলো আশ্‌শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু সালিহ্‌ আল ‘উছাইমীন o কর্তৃক ব্যাখ্যাকৃত ইমাম ইবনু ক্বোদামাহ আল মাক্বদিছী o এর সুপ্রসিদ্ধ গ্রন্থ “লুম‘আতুল ই‘তিক্বাদ” এর ধারাবাহিক অডিও ভাষান্তর। বাংলা ভাষায় অডিওরূপে এটি ভাষান্তর করেছেন উছতায হাম্মাদ বিল্লাহ c। এতে ছালাফে সালিহীনের (4) ‘আক্বীদাহ-বিশ্বাসের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। আহলুছ্‌ ছুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের ‘উলামায়ে কিরামের চিরাচরিত স্বভাব–বৈশিষ্ট্যও হলো যে, তারা তাদের লিখনীর মাধ্যমে সর্বাগ্রে বিশুদ্ধ ইছলামী ‘আক্বীদাহ্‌র সংরক্ষণ এবং তা প্রচার ও প্রসার করে থাকেন। বক্তব্যের এ পর্বে উছতায হাম্মাদ বিল্লাহ c বিশেষ করে ক্বাযা ও ক্বাদ্‌র সহ নিম্নোক্ত বিষয়ে আলোচনা করেছেন:-
১) তাক্বদীরের প্রতি ঈমান বলতে যে চারটি বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা বুঝায়, তার মধ্য থেকে অবশিষ্ট দু’টির সবিস্তার আলোচনা শাইখ উছতায এখানে করেছেন–

(ক) আল্লাহ্‌র (7) কার্যকরী ইচ্ছার প্রতি এই বিশ্বাস স্থাপন করা যে, তিনি যা চান তাই হয় এবং যা তিনি চান না তা হয় না।
(খ) দৃঢ়ভাবে এই বিশ্বাস পোষণ করতে হবে যে, সমগ্র বস্তুজগত আল্লাহ্‌র (0) সৃষ্টি। তিনি ব্যতীত না আছে কোন স্রষ্টা, আর না আছে কোন প্রতিপালক (রাব্‌)।

২) দৃঢ়ভাবে এই বিশ্বাস পোষণ করতে হবে যে, সবকিছুই আল্লাহ্‌র সৃষ্টি।
৩) আল্লাহ্‌র আদেশ অমান্য করার কিংবা তার নিষেধ লঙ্ঘন করার ব্যাপারে আল্লাহ্‌র ক্বাযা ও ক্বাদ্‌রকে (আল্লাহ্‌র ফাইসালা ও তাঁর পূর্ব নির্ধারণকে) দায়ী করা বা ‘উয্‌র হিসেবে পেশ করা যাবে না।
৪) আল্লাহ্‌র (7) নাফরমানী করার জন্য একজন পাপীর পক্ষে ক্বাযা বা ক্বাদ্‌র আদৌ কোন ‘উয্‌র নয়। এর বহু প্রমাণ রয়েছে, তন্মধ্যে দু-চারটি নিম্নে তুলে ধরা হলো-

ক) যেসব কাজের দ্বারা বান্দাহ নিজের জন্য ভালো কিছু অর্জন করতে পারে বা উত্তম প্রতিদান লাভ করতে পারে সে কাজগুলো কি, আল্লাহ 0 পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে তা জানিয়ে দিয়েছেন।
খ) আল্লাহ b স্বীয় বান্দাহ্‌র জন্যে তাঁর আদেশ-নিষেধগুলোকে সুনির্ধারিত করে দিয়েছেন। আর আল্লাহ স্বীয় বান্দাহ্‌কে কেবল সেইসব বিষয়ের জন্য দায়বদ্ধ করেন যেসব বিষয়ে বান্দাহ্‌র পূর্ণ ক্ষমতা ও স্বাধীনতা রয়েছে।
গ) স্বেচ্ছায় কিংবা নিজ পছন্দ অনুযায়ী সম্পাদিত কাজ এবং বাধ্য হয়ে বা জোরপূর্বক সম্পাদিত কাজের মধ্যে যে সুস্পষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান, এ কথা প্রত্যেক বিবেকবান ব্যক্তিই জানে এবং বুঝতে পারে।
ঘ) আল্লাহ 0 আমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন যে, সত্য-মিথ্যা এবং ভালো-মন্দ সম্পর্কে অজ্ঞতার অজুহাত কেউ যেন দেখাতে না পারে, তজ্জন্য তিনি আমাদের কাছে তাঁর রাছূল পাঠিয়েছেন।

৫) ভালো-মন্দ কর্মের স্রষ্টা হলেন আল্লাহ, কিন্তু এর কর্তা হলো বান্দাহ। ভালো কাজের জন্য ব্যক্তি তার কর্মের তুলনায় অনেক বেশি উত্তম প্রতিদান লাভ করবে। অপরদিকে মন্দ কর্মের জন্য সমপরিমাণ শাস্তি পাবে।
৬) জাবারিয়্যাহ ও ক্বাদারিয়্যাহ এর ন্যায় যারা ক্বাযা ও ক্বাদ্‌র বিষয়ে সত্য বিচ্যুত, তাদের যথার্থ খন্ডন।

 

ক্লাস শেষে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদান করা হয়:-
ক) তাক্বদীরের মন্দ বিষয়ের প্রতি যে ব্যক্তি অসন্তুষ্ট হয়, তার হুক্‌ম কি?
খ) রাছূলুল্লাহ 1 হাছান ইবনু ‘আলীকে h দু‘আ শিক্ষা দিয়েছিলেন; অর্থ- “(হে আল্লাহ!) আমাকে আপনার ফায়সালাকৃত বিষয়ের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করুন”।
প্রশ্ন হলো- দু‘আর মাধ্যমে ফায়সালাকৃত কোনো বিষয় কি পরিবর্তন হয়? এই বিষয়ে ছালাফে সালিহীনের আক্বীদাহ কি? এই দু‘আ শিক্ষাদানের মূরে হিকমাহ কি?
গ) السلام عليكم ورحمة الله وبركاته।
শাইখ! আমাদেরকে আল্লাহ্‌র জন্যে সাধারণভাবে কিছু নাসীহাত করুন।।
ঘ) السلام عليكم
উছতায! অনেক সময় কেউ হয়ত একটা ভালো বা মন্দ স্বপ্ন দেখলো, আর সেটা বাস্তবে মিলে যায়, এটার অর্থ কি তাক্বাদীরের ভালো বা মন্দ সম্পর্কে আল্লাহ 7 স্বপ্নের মাধ্যমে কিছুটা জানিয়ে দেন?

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close