আল ইমাম মুহাম্মাদ ইবনু সালিহ্‌ আল ‘উছাইমীন কর্তৃক ব্যাখ্যাকৃত আল ইমাম ইবনু ক্বোদামাহ আল মাক্বদিছী রচিত -‘আক্বীদাহ সংকলন- গ্রন্থ (৩১তম পর্ব)

এই অডিওটি হলো আশ্‌শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু সালিহ্‌ আল ‘উছাইমীন o কর্তৃক ব্যাখ্যাকৃত ইমাম ইবনু ক্বোদামাহ আল মাক্বদিছী o এর সুপ্রসিদ্ধ গ্রন্থ “লুম‘আতুল ই‘তিক্বাদ” এর ধারাবাহিক অডিও ভাষান্তর। বাংলা ভাষায় অডিওরূপে এটি ভাষান্তর করেছেন উছতায হাম্মাদ বিল্লাহ c। এতে ছালাফে সালিহীনের (4) ‘আক্বীদাহ-বিশ্বাসের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। আহলুছ্‌ ছুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের ‘উলামায়ে কিরামের চিরাচরিত স্বভাব–বৈশিষ্ট্যও হলো যে, তারা তাদের লিখনীর মাধ্যমে সর্বাগ্রে বিশুদ্ধ ইছলামী ‘আক্বীদাহ্‌র সংরক্ষণ এবং তা প্রচার ও প্রসার করে থাকেন। বক্তব্যের এ পর্বে উছতায হাম্মাদ বিল্লাহ c নিম্নোক্ত বিষয়ে আলোচনা করেছেন:-
১) “মূমিনরা ক্বিয়ামাতের দিন তাদের পালনকর্তার দর্শন লাভ করবে” এ সম্পর্কিত পূর্ববর্তী আলোচনার সারসংক্ষেপ। উছতায হাম্মাদ বিল্লাহ c জাহমিয়াহ, আশ‘আরী, মু‘তাযিলাহ প্রভৃতি পথভ্রষ্ট সম্প্রদায়ের ভ্রান্ত ‘আক্বীদাহ-বিশ্বাস স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন।
২) “মূমিনরা ক্বিয়ামাতের দিন তাদের পালনকর্তার দর্শন লাভ করবে” এ সম্পর্কিত দালীল-প্রমাণগুলো বিশদভাবে আলোচনা করেছেন।
৩) “মূমিনরা ক্বিয়ামাতের দিন তাদের পালনকর্তার দর্শন লাভ করবে” এ সম্পর্কে আহলুছ্‌ ছুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের ‘আক্বীদাহ-বিশ্বাস।

 

ক্লাস শেষে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদান করা হয়:
ক) লাহ্‌নে জালী এবং লাহ্‌নে খাফী কি?
খ) লাহ্‌নে জালী করলেও কি ১ নেকী পাওয়া যাবে যদি চেষ্টা থাকে ঠিক করে পড়ার? লাহ্‌নে জালী করলে কি গুনাহ লিখিত হবে? লাহ্‌নে খাফীর ক্ষেত্রে আহ্‌কাম গুলো কি?
গ) আগে আমরা শিখেছি যে, কোন আয়াত মুতাশাবিহ হয় দুইটা কারণে, তা হলো- ১) আয়াতের কিছু শব্দের অর্থ ব্যাপক হওয়ার কারণে। ২) কারো বুঝ-শক্তি দুর্বল হওয়ার কারণে। তো যেসব আয়াতগুলোর মানে বোঝার জন্য মুহ্‌কাম আয়াতের প্রতি নিয়ে যাওয়া হয়, তা কি উপরের দুই কারণের মধ্যে যে কোন এক কারণে করা হয়?
ঘ) যদি কেউ বলে থাকে যে, “আল্লাহ 0 জিবরীল 5 এর মাধ্যমে মুহাম্মাদুর রাছূলুল্লাহ 1 এর কাছে যে বাণী পাঠিয়েছেন, সেটা হলো কালামুল্লাহ বা ক্বোরআন, কিন্তু মুসহাফের মধ্যে যা সঙ্কলিত আছে তা ক্বোরআন নয়, বরং ক্বোরআন হল- যা লাওহে মাহ্‌ফূযে সংরক্ষিত আছে” এই ক্ষেত্রে তার তার প্রতি উত্তম জাওয়াব কি হতে পারে?
ঙ) السلام عليكم ورحمة الله।
মু‘তাযিলাহ এবং জাহমিয়া সম্প্রদায় “ক্বোরআনকে সৃষ্ট বস্তু” বলে কেন প্রতিষ্ঠিত করতে চায়, এর পিছনে তাদের উদ্দেশ্য কি?
চ) মূমিনরা কি আল্লাহকে নিজ নিজ ঈমান, ‘আমাল ও তাক্বওয়া অনুপাতে দেখবে বা দেখার সুযোগ পাবে। যেমন স্বল্প সময় বা ক্ষুদ্রতর পরিসরে কিংবা দীর্ঘ সময় বা বৃহত্তর পরিসরে? উদাহরণস্বরূপ, যারা জান্নাতুল ফিরদাউস এ মহানবী 1 এর সাথে থাকার সুযোগ পাবেন, তারা কি অন্য মূমিনদের তুলনায় উত্তম পুরস্কার হিসেবে আল্লাহকে দেখার বৃহত্তর সুযোগ ও সর্বোত্তম দর্শন পাবেন? এক্ষেত্রে কি আমরা আল্লাহর কাছে দু‘আ করতে পারি যেন আমরা আ-খিরাতে আল্লাহকে (7) দেখার সবচেয়ে বড় সুযোগটা পাই?
ছ) السلام عليكم ورحمة الله। আল্লাহ 0 শাইখকে উত্তম প্রতিদান প্রদান করুন। মূছা 5 এর আল্লাহ্‌কে দেখার বিষয়ে আবদার এবং মু‘তাযিলাদের দাবী যে, আল্লাহ্‌কে পরকালে দেখা যাবে না, শাইখ কি বিষয়গুলো আরেকটু বুঝিয়ে বলবেন! আল্লাহ আপনার মধ্যে বারাকাহ দান করুন।
জ) আমাদের সমাজে লোকেরা বলে- মূছা 5 আল্লাহ্‌র নূর দেখেছেন, এটা দ্বারা বুঝায় আল্লাহ্‌র জাতের নূর দেখেছেন। এটার উত্তর আমরা কিভাবে দেব?

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close