আল ইমাম মুহাম্মাদ ইবনু সালিহ্‌ আল ‘উছাইমীন কর্তৃক ব্যাখ্যাকৃত আল ইমাম ইবনু ক্বোদামাহ আল মাক্বদিছী রচিত -‘আক্বীদাহ সংকলন- গ্রন্থ (৩০তম পর্ব)

এই অডিওটি হলো আশ্‌শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু সালিহ্‌ আল ‘উছাইমীন o কর্তৃক ব্যাখ্যাকৃত ইমাম ইবনু ক্বোদামাহ আল মাক্বদিছী o এর সুপ্রসিদ্ধ গ্রন্থ “লুম‘আতুল ই‘তিক্বাদ” এর ধারাবাহিক অডিও ভাষান্তর। বাংলা ভাষায় অডিওরূপে এটি ভাষান্তর করেছেন উছতায হাম্মাদ বিল্লাহ c। এতে ছালাফে সালিহীনের (4) ‘আক্বীদাহ-বিশ্বাসের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। আহলুছ্‌ ছুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের ‘উলামায়ে কিরামের চিরাচরিত স্বভাব–বৈশিষ্ট্যও হলো যে, তারা তাদের লিখনীর মাধ্যমে সর্বাগ্রে বিশুদ্ধ ইছলামী ‘আক্বীদাহ্‌র সংরক্ষণ এবং তা প্রচার ও প্রসার করে থাকেন। বক্তব্যের এ পর্বে উছতায হাম্মাদ বিল্লাহ c নিম্নোক্ত বিষয়ে আলোচনা করেছেন:-
১) মূমিন ব্যক্তিগণ আ-খিরাতে স্বীয় পালনকর্তাকে স্বচক্ষে দেখবে, তারা তাঁর সাক্ষাৎ পাবে, এবং আল্লাহ 0 তাদের সাথে কথা বলবেন এবং তারাও আল্লাহ্‌র (7) সাথে কথা বলবে। আল্লাহ 8 ক্বোরআনে কারীমে ইরশাদ করেছেন:-

وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ نَّاضِرَةٌ – إِلَى رَبِّهَا نَاظِرَةٌ.سورة القيامة- ٢٢-٢٣

অর্থাৎ- সেদিন কতক চেহারা উজ্জ্বল হবে। তারা তাদের প্রতিপালকের দিকে তাকিয়ে থাকবে।ছূরা -আল ক্বিয়ামাহ- ২২-২৩
অন্য আয়াতে আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেন:-

كَلاَّ إِنَّهُمْ عَن رَّبِّهِمْ يَوْمَئِذٍ لَّمَحْجُوبُونَ.سورة المطففين- ١٥

অর্থাৎ- কক্ষনো না, নিশ্চয়ই সেদিন তারা তাদের প্রতিপালক (এর দর্শন লাভ) থেকে অবশ্যই বঞ্চিত হবে।ছূরা আল মুত্বাফ্‌ফিফীন- ১৫
২) ছূরাতুল মুত্বাফ্‌ফিফীনের ১৫নং আয়াতে আল্লাহ 7 বলেছেন:- আল্লাহ্‌কে অস্বীকারকারীগণ ক্বিয়ামাতের দিন; তাদের প্রতি তাদের রাব অসন্তুষ্ট থাকার কারণে তারা তাঁকে দেখতে পাবে না। একথা প্রমাণ করে যে, আল্লাহ্‌তে বিশ্বাসী; যাদের প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট থাকবেন তারা তাঁকে অবশ্যই দেখতে পাবে। নতুবা অবিশ্বাসীগণ আল্লাহ থেকে আড়ালে থাকবে একথা বিশেষভাবে বলার প্রয়োজন কি ছিল?
৩) রাছূলুল্লাহ 1 বলেছেন:-

إِنَّكُمْ سَتَرَوْنَ رَبَّكُمْ كَمَا تَرَوْنَ هَذَا الْقَمَرَ لَا تَضَامُّونَ فِي رُؤْيَتِهِ .رواه البخاري و مسلم

অর্থাৎ- অবশ্যই তোমরা এই চাঁদকে যেমন নির্বিঘ্নে দেখতে পাও ঠিক তেমনি (পরকালে) তোমরা স্বীয় পালনকর্তাকে দেখতে পাবে।সাহীহ্‌ বুখারী ও সাহীহ্‌ মুছলিম
৪) উপরোক্ত হাদীছে কেবল দেখার বিষয়টিকে তুলনা করা হয়েছে। দৃশ্যমান বিষয়গুলোর একটিকে অপরটির সাথে তুলনা করা হয়নি। এখানে শুধু এটুকু বুঝানো হয়েছে যে, চাঁদকে যেমন দেখা যায় আল্লাহ্‌কেও তেমনি দেখা যাবে। এখানে চাঁদকে আল্লাহ্‌র সাথে কোনভাবে তুলনা করা হয়নি। আর এটা কক্ষনো হতে পারে না। কেননা আল্লাহ্‌র (0) কোন তুলনা বা সদৃশ নেই।
৫) ইহজগতে আল্লাহ্‌কে (7) দেখা অসম্ভব, কারণ মূছা 5 যখন আল্লাহ্‌কে দেখার আবদার করলেন তখন আল্লাহ 0 মূছাকে বলেছিলেন:-

لَن تَرَانِى.سورة الأعراف- ١٤٣

অর্থাৎ- তুমি কক্ষনো আমাকে দেখতে পারবে না।ছূরা আল আ‘রাফ- ১৪৩
৬) ছালাফগণ (4) এই ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে, শুধুমাত্র মূমিনগণই আল্লাহ্‌কে (0) দেখতে পাবে, কাফিররা নয়।
৭) মূমিনগণ ক্বিয়ামাতের দিন হাশ্‌রের মাঠে এবং জান্নাতে প্রবেশের পর আল্লাহ 7 যেভাবে চান সেভাবে তারা আল্লাহ্‌কে (8) দেখতে পাবে।


১. سورة القيامة- ٢٢-٢٣ 
২. ছূরা -আল ক্বিয়ামাহ- ২২-২৩ 
৩. سورة المطففين- ١٥ 
৪. ছূরা আল মুত্বাফ্‌ফিফীন- ১৫ 
৫. رواه البخاري و مسلم 
৬. সাহীহ্‌ বুখারী ও সাহীহ্‌ মুছলিম 
৭. سورة الأعراف- ١٤٣ 
৮. ছূরা আল আ‘রাফ- ১৪৩ 

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close