এটি মুহ্তারাম আশ্শাইখ সালিহ্ আলফাওযান (c) কর্তৃক আহলে ছুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের প্রখ্যাত ইমাম- ইমাম আল বারবাহারী (o) এর অনবদ্য গ্রন্থ “শারহুছ্ ছুন্নাহ” এর অতি চমৎকার ও মূল্যবান ব্যাখ্যাগ্রন্থের অডিও ভাষান্তর। বাংলা ভাষায় গ্রন্থটি ধারাবাহিকভাবে অডিও ভাষান্তর করছেন উছতায আবূ ছা‘আদা হাম্মাদ বিল্লাহ (c)। অদ্যকার আলোচনায় উছতায ক্বাবরের ‘আযাব এবং মুনকার ও নাকীর ফিরিশতাদ্বয়ের প্রতি বিশ্বাস পোষণ বিষয়ে মূল্যবান আলোচনা করেছেন। এছাড়াও তাতে নিম্নোক্ত বিষয়াদী সম্পর্কে অত্যন্ত চমৎকার আলোচনা করা হয়েছে:-
১) মানবজাতি সৃষ্টির উদ্দেশ্য।
২) দুন্ইয়ার জীবন, ক্বাব্রের জীবন ও আখিরাতের জীবনের উদ্দেশ্যের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বিষয়ে শাইখ আলোচনা করেছেন।
৩) ক্বাব্রের ফিতনাহ ও ক্বাব্রের ‘আযাব পৃথক দুটি বিষয়।
৪) ইদানিংকালে মুছলমানরা কেন নানামুখী ফিতনার সম্মুখীন হচ্ছেন, আর এসব থেকে উত্তোরণের উপায়ই বা কী?
৫) মিছিল বা মানববন্ধন কি শারী‘য়াত সম্মত কোন উপায় বা পদ্ধতি?
৬) ক্বাব্রের ফিতনাহ্র পরই ক্বাব্রের ‘আযাব শুরু হবে। আর ক্বাব্রের ফিতনাহ হলো সেখানকার প্রশ্নোত্তর পর্ব।
৭) প্রাণ হরণের কাজে নিয়োজিত ফিরিশতার নাম কি ‘আযরাঈল।
৮) যখন কেউ মারা যায়, তখন কি তার আত্মার মৃত্যু হয়, না-কি দেহের মৃত্যু হয়?
রূহ সৃষ্ট বস্তু কি-না, এতদ্বিষয়ে ‘উলামায়ে কিরামের মতামত তুলে ধরে উছতায (c) বিষয়টির অত্যন্ত চমৎকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
ক্লাস শেষে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদান করা হয়:-
ক) শেষ বিচারের দিনে যেসকল গুনাহগার মুছলমান আল্লাহ্র (0) ইচ্ছায় তাঁর রাছূলের (1) সুপারিশের ভিত্তিতে ক্ষমাপ্রাপ্ত হবে, ইতোপূর্বে ক্বাব্রে তাদের শাস্তি কিরূপ হবে?
খ) গুনাহগার মুছলমানরা কি ক্বাব্রে শাস্তি পাবে?
গ) কেউ যদি বলে যে, সে ইবরাহীমকে (5) স্বপ্নে দেখেছে, তাহলে তার একথাকে আমরা কি বিশ্বাস করতে পারি? বিশেষতঃ যদি দেখা যায় যে, সে উক্ত স্বপ্ন দেখার পর থেকে ইছলাম অনুশীলন করছে, এবং ছালাফে সালিহীনের অনুসৃত পথ অনুসরণ করে চলছে।
তাছাড়া কেউ যদি স্বপ্নে দেখে যে, সে ইবরাহীম 5 এর সাথে কথোপকথন করছে, যদিও তাঁর চেহারা সে মনে রাখতে পারেনি তবে সে বুঝতে পারছে যে আল্লাহ 7 তাকে দ্বীনী বিষয়ে গভীর মনোযোগী হতে বলছেন। এরূপ স্বপ্ন দেখা কি সম্ভব? কিংবা কেউ যদি এরূপ স্বপ্নের কথা বলে, তাহলে তা বিশ্বাস করা উচিত কি-না?
ঘ) জুমু‘আর দিনে দুরূদে ইবরাহীম পাঠে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হওয়া সংক্রান্ত সাহীহ্ কোন হাদীছ আছে কি?
ঙ) মিয়ানমার, সিরিয়াসহ সারা বিশ্বের মুছলমানদের উপর চলমান নির্যাতন বন্ধে ছুন্নাহসম্মত কি কি ‘আমাল আমরা করতে পারি? এক্ষেত্রে ফাজর কিংবা ‘ইশার সালাতে নিয়মিত কুনূতে নাযিলাহ পড়া যেতে পারে কি?
চ) ক্বাব্রে কি তিনটি প্রশ্ন না-কি চারটি? চারটি হয়ে থাকলে চতুর্থ প্রশ্নটি কি?