নারীদের সম-সাময়িক বিভিন্ন সমস্যা এবং তা থেকে উত্তোরণের ক্বোরআন-ছুন্নাহ ভিত্তিক পথ ও পদ্ধতি (৯ম পর্ব)

উছতায আবূ ছা‘আদাহ হাম্মাদ বিল্লাহ c এই অডিও বক্তব্যে নারীদের সম-সাময়িক বিভিন্ন সমস্যা এবং এসকল সমস্যা থেকে উত্তোরণের পথ ও পদ্ধতি বিষয়ে ক্বোরআন-ছুন্নাহ্‌র আলোকে অত্যন্ত মূল্যবান আলোচনা পেশ করেছেন। পারিবারিক এবং বৈবাহিক জীবনে নারীরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হওয়া, সন্তানদের লালন-পালন করা, সুখী ও সমৃদ্ধ পরিবার গড়ে তোলা, ঘরের বাইরে কাজ-কর্ম করা ইত্যাদি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে এখানে আলোচনা করা হয়েছে। তন্মধ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয় এখানে তুলে ধরা হলো:-
১) গীবত থেকে বেঁচে থাকার উপায় সম্পর্কে উছতায আলোচনা করেছেন।
২) জারহ্‌ ও তা‘দীল বিষয়ে আলোচনা।
৩) কখন আমরা একজন মুছলমান সম্পর্কে কথা বলতে পারব? এক্ষেত্রে শর্তগুলো কি?
৪) চোগলখোরী এবং এতদসম্পর্কিত ইবনু ‘আব্বাছ h বর্ণিত হাদীছ বিষয়ে আলোচনা-

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ مَرَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِقَبْرَيْنِ فَقَالَ ‏”‏ إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ، وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ أَمَّا أَحَدُهُمَا فَكَانَ لاَ يَسْتَتِرُ مِنَ الْبَوْلِ، وَأَمَّا الآخَرُ فَكَانَ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ ‏”‏‏.‏ ثُمَّ أَخَذَ جَرِيدَةً رَطْبَةً، فَشَقَّهَا نِصْفَيْنِ، فَغَرَزَ فِي كُلِّ قَبْرٍ وَاحِدَةً‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ، لِمَ فَعَلْتَ هَذَا قَالَ ‏”‏ لَعَلَّهُ يُخَفَّفُ عَنْهُمَا مَا لَمْ يَيْبَسَا ‏”‏‏.‏ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى وَحَدَّثَنَا وَكِيعٌ قَالَ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ قَالَ سَمِعْتُ مُجَاهِدًا مِثْلَهُ ‏”‏ يَسْتَتِرُ مِنْ بَوْلِهِ ‏”‏‏.رواه البخاري

অর্থ- ইবনু ‘আব্বাছ h থেকে বর্ণিত, একদা রাছূলুল্লাহ 1 দু’টি ক্বাব্‌রের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, এমতাবস্থায় তিনি বললেন:- নিশ্চয়ই এরা দু’জন (এই দু’জন ক্বাব্‌রবাসী) শাস্তি পাচ্ছে, আর এটা কোন বড় বিষয়ে নয়। তাদের একজন প্রস্রাবের নাপাকী থেকে বেঁচে থাকতো না, আর অপরজন চোগলখোরী করে বেড়াত। অতঃপর তিনি তরতাজা খেজুরের একটি ডাল নিলেন এবং সেটিকে দু’টুকরো করে দু’টি ক্বাব্‌রেরে উপর পুঁতে দিলেন। তাঁরা (উপস্থিত সাহাবায়ে কিরাম 4) বললেন- হে আল্লাহ্‌র রাছূল! আপনি এরকম কেন করলেন? রাছূলুল্লাহ 1 বললেন:- এই আশায় যে, যতক্ষণ ডাল দু’টি শুকিয়ে না যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের শাস্তি কিছুটা লাঘব হবে।সাহীহ্‌ বুখারী
৫) উছতায চোগলখোরীর বিভিন্ন উদাহরণ তুলে ধরেছেন এবং পরিবার ও সমাজে এর মন্দ প্রভাব বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

 

ক্লাস শেষে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদান করা হয়:-
ক) যদি কোনো ব্যক্তি দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তিকে ফিতনা থেকে বেঁচে থাকার জন্য; তাকে সতর্ক করার উদ্দেশ্যে তৃতীয় কোনো ব্যক্তির মন্দ কিছু বলেন, তাহলে এই ক্ষেত্রে এভাবে সতর্ক করা কি গীবতের অন্তর্ভুক্ত হবে?


১. رواه البخاري 
২. সাহীহ্‌ বুখারী 

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close