নারীদের সম-সাময়িক বিভিন্ন সমস্যা এবং তা থেকে উত্তোরণের ক্বোরআন-ছুন্নাহ ভিত্তিক পথ ও পদ্ধতি (৩৫তম পর্ব)

উছতায আবূ ছা‘আদাহ হাম্মাদ বিল্লাহ c এই অডিও বক্তব্যে নারীদের সম-সাময়িক বিভিন্ন সমস্যা এবং এসকল সমস্যা থেকে উত্তোরণের পথ ও পদ্ধতি বিষয়ে ক্বোরআন-ছুন্নাহ্‌র আলোকে অত্যন্ত মূল্যবান আলোচনা পেশ করেছেন।
পারিবারিক এবং বৈবাহিক জীবনে নারীরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হওয়া, সন্তানদের লালন-পালন করা, সুখী ও সমৃদ্ধ পরিবার গড়ে তোলা, ঘরের বাইরে কাজ-কর্ম করা ইত্যাদি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে এখানে আলোচনা করা হয়েছে।
এই পর্বে উছতায হাম্মাদ বিল্লাহ c বিশেষ করে বিয়ের ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। আরো যেসব বিষয় আলোচনা করেছেন তন্মধ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ কয়েকটি বিষয় নিম্নে উল্লেখ করা হলো:-
১) বিয়ে শব্দের আভিধানিক ও পারিভাষিক ব্যাখ্যা এবং বিয়ে ব্যবস্থা প্রচলন করার প্রকৃত কারণসমূহ।
২) দ্বীনে ইছলামে সন্ন্যাসবাদের কোন স্থানে নেই।
৩) বিয়ের বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে বর্ণিত হাদীছগুলো নিয়ে আলোচনা।
৪) যিনার বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে, যেমন- চোখের যিনা, কানের যিনা, হাতের যিনা এবং সর্বোপরি যৌনাঙ্গের যিনা। এ সকল যিনা থেকে বেঁচে থাকার উপায় কি?
৫) বর্তমান সমাজের চরম অবক্ষয়ের কারণ- সঠিক সময়ে বিয়ে করার ব্যাপারে অবহেলা ছাড়া আর কিছুই নয়!
৬) বিয়েতে মূলত চারটি উদ্দেশ্য রয়েছে:-

ক) মানবজাতির বংশধারা অব্যাহত থাকা।
খ) মানসিক ও শারীরিক প্রশান্তি লাভ করা।
গ) মানবীয় গুণাবলির পরিপূর্ণতা লাভ করা।
ঘ) সঠিকভাবে জীবন পরিচালনার করা।

৭) জৈবিক চাহিদা মেটানোতেও ছাওয়াব রয়েছে। এটি আল্লাহ্‌র (0) নৈকট্য লাভের একটি মাধ্যম। এই সম্পর্কে হাদীছ থেকে দালীল ও ব্যাখ্যা প্রদান।
৮) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গভীর ভালোবাসা ও মমত্ববোধ পরিলক্ষিত হয়। এ ব্যাপারে ছূরা রূম এর ২১ নং আয়াতের ব্যাখ্যা প্রদান।
৯) রাছূলুল্লাহ (1) এর নিকট দু’টি বিষয় খুবই পছন্দনীয় ছিল। সেগুলো হলো:- (ক) সুগন্ধি (খ) নারী।
১০) একাধিক বিয়ে করার যোগ্যতা——-।
১১) একজন নারী তখনই পরিপূর্ণতা অর্জন করতে পারবে, যখন সে তৃতীয় সন্তানের মা হবে।
১২) একজন ব্যক্তি তখনই সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সফল হবে, যখন সে তার পারিবারিক জীবনে সফলতা লাভ করবে।

 

ক্লাস শেষে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদান করা হয়:-
ক) السلام عليكم ।
এক ছেলে ও মেয়ে বাবা-মায়ের বিনা অনুমতিতে বিয়ে করে (যেটা বর্তমান সমাজে দেখা যায়), পরবর্তীতে তারা কিছু ওয়া‘য শুনে বুঝে যে, তাদের বিয়ে হয়নি। বাস্তবে ব্যাপারটা যদি এই রকম হয়, তাহলে বিয়ে কি তাদের আবার করতে হবে, না ঐ পূর্বের বিয়েতে হয়ে যাবে?
খ) আমার প্রশ্ন হচ্ছে- যদি কোন মেয়ে কাউকে না জানিয়ে সাদা কাগজে ভুল সই করে শুধুমাত্র ১বার ক্ববূল বলে বিয়ে করে, তাহলে কি বিয়ে হবে? আর সেই ছেলে যদি প্রতারক হয়- তার বউ এবং সন্তান আছে এবং এই মেয়ের পরে আরেকজনকে বিয়ে করে, তাহলে করণীয় কি? ১নং ও ৩নং বিয়ে সে সবাইকে জানিয়ে করেছে অনুষ্ঠান করে, কিন্তু ২নং বিয়েটা কেউ জানেনা, এমনকি কোন প্রমাণও নেই, কাজীও সাজানো ছিল, সাক্ষী মারা গেছে, সেক্ষেত্রে বিয়ে কি বৈধ হয়েছে? হলে এখন তালাক্ব নেয়ার উপায় কি? ঐ ছেলে বলছে- সব মিথ্যা ছিল, সে শুধু আল্লাহ্‌কে সাক্ষী রেখে তাকে বউ হিসেবে মেনে নিয়েছিল এবং ৩য় বিয়ের সময় আল্লাহ্‌কে সাক্ষী রেখেই তাকে বউ হিসেবে অস্বীকার করে নাকি বিয়ে করেছে। এখন এই মেয়ে কি অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারবে, নাকি তালাক্ব লাগবে, আর লাগলে সেটা কাউকে না জানিয়ে কিভাবে নেয়া সম্ভব?
গ) আমরা আমাদের গ্রামের অসহায় দরিদ্র ব্যক্তিদের মধ্যে প্রতি বছর বস্ত্র বিতরণ করে থাকি। আমরা এই উদ্দেশ্যে টাকা তুলি যে, গ্রামের অসহায় দরিদ্রদের সাহায্য করব, এই তহবিল থেকে যদি কিছু টাকা থেকে যায়, তাহলে ঐ টাকা কি লাইব্রেরীতে ও মাছজিদের কাজে লাগানো যাবে?

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close