এটি উছতায আবূ ছা‘আদা হাম্মাদ বিল্লাহ (c) প্রদত্ত একটি ধারাবাহিক অডিও বক্তব্য। এতে তিনি আমাদের সমাজে নারীরা পারিবারিক, সামাজিক, বৈবাহিক ইত্যাদি নানামুখী যেসব সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছেন, সেসবের কারণ নির্ণয়সহ ক্বোরআন ও ছুন্নাহ ভিত্তিক এর সঠিক সমাধান নিয়ে আলোচনা করেছেন। এছাড়া তাতে সন্তানদের সঠিক লালন-পালন, সুখী সংসার গড়ার উপায় ও পদ্ধতি এবং নারীদের বাইরে কাজ করার বিষয়ে সুষ্পষ্ট দিক-নির্দেশনা সম্বলিত চমৎকার আলোচনা করেছেন। আজকের পর্বে শাইখ পোশাক-পরিচ্ছদ ও তার গুরুত্ব ও তাrপর্য বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
১) এ পর্বেও শুরুতেও উছতায শারী‘য়াহ সম্মত পোশাক নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখেন।
২) ঘরের বাইরে বের হওয়ার সময় নারীদের জন্য অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণকারী পোশাক পরিধান নিষিদ্ধ।
৩) পোশাক-পরিচ্ছদে বিধর্মীদের অনুসরণ-অনুকরণ বা সাদৃশ্য ধারণ মুছলমান নারী ও পুরুষের জন্য হারাম।
৪) অনর্থক ব্যয়বহুল পোশাক পরিধান শারী‘য়াতের দৃষ্টিতে একটি অপছন্দনীয় কাজ।
৫) মাহ্রাম বা গাইরে মাহ্রাম পুরুষের সামনে একজন নারীর জন্য স্বীয় দেহের কোন কোন অংশ অনাবৃত রাখা শারী‘য়াত সম্মত- উছতায বিষয়টি সবিস্তার আলোচনা করেছেন। সাথে সাথে মাহ্রাম কারা এবং গাইরে মাহ্রাম কারা- সে বিষয়টিও পুনরায় আলোচনা করেছেন।
৬) উছতায নিক্বাবের ব্যাখ্যা ও বিবরণ দিয়েছেন। নিক্বাব সম্পর্কে (বাইরে বের হওয়ার সময় কিংবা গাইরে মাহরামদের সামনে নারীর মুখ ঢাকা ওয়াজিব কি না, এসম্পর্কে) ‘উলামায়ে কিরামের মধ্যে কিছুটা মতপার্থক্য রয়েছে। এসম্পর্কিত আলোচনায় উছতায যেসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তন্মধ্যে অন্যতম হলো- “নারীর মুখ ঢাকা ও খোলা রাখা কিংবা নিক্বাব পরিধান করা ও না করা সংক্রান্ত দালীল-প্রমাণগুলো কি পরস্পর সাংঘর্ষিক? এ সম্পর্কিত ক্বোরআনে কারীমের আয়াত এবং হাদীছ সমূহ কি একটি অপরটির বিরোধী?
৭) “ইছলাম নারীদেরকে গৃহবন্দি করে রাখতে চায় এবং তাদেরকে ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করে” শাইখ অত্যন্ত চমrকারভাবে ইছলাম সম্পর্কে এই ভুল ধারণা ও সংশয় নিরসন করেছেন।
৮) ঘরের বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে ইছলাম নারীদেরকে যথাযথ পর্দা ও শালীনতা অবলম্বনের নির্দেশ দেয়।এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বর্তমানে অধিকাংশ নারীরা নিজেদের সৌন্দর্য প্রকাশের নিমিত্ত খুব সাজগোজ করে বাইরে বের হন, যা আল্লাহ্র (0) নির্দেশের সম্পূর্ণ পরিপন্থি ও সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
ক্লাস শেষে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদান করা হয়:
ক) السلام عليكم ورحمة الله وبركاته।
শাইখ! আল্লাহ আপনাকে দীর্ঘজীবি করুন! আপনি আজকের দারছে আলোচনা করেছেন যে, “মুছলিম ভাইদের জন্য এমন অফিসে কাজ করা সমীচীন নয় যেখানে গাইরে মাহ্রাম নারীদের সাথে ও মিশ্র ও বেপর্দা পরিবেশে কাজ করতে হয়”- অনুগ্রহ করে বিষয়টি আরেকটু বিশ্লেষণ করুন।
খ) গাইরে মাহ্রাম নারী-পুরুষ মিশ্র পরিবেশে যারা একই সাথে একই অফিসে কাজ করেন এবং পরস্পর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলেন, আর এরই সূত্র ধরে বাইরে একসাথে লাঞ্চ বা ডিনার করতে যান, শপিং মলে কিংবা পার্কে একসাথে ঘুরে বেড়ান, শাইখ! তাদের প্রতি আপনার নাসীহাহ কি? এসব লোকদের জন্য শারী‘য়াত ইহ ও পরকালে কি শাস্তি নির্ধারণ করে রেখেছে?
আল্লাহ আপনার মধ্যে বারাকাহ দান করুন!
গ) السلام عليكم ورحمة الله وبركاته।
নারীরা স্বীয় সতর ‘আবায়া, জিলবাব, নিক্বাব, ওড়না ইত্যাদি দ্বারা আবৃত করার পরও যে সকল পুরুষ বাহ্যিক অবস্থাদৃষ্টে উক্ত নারীদের দেহাবয়ব নিয়ে মন্তব্য করে, তাদের প্রতি আপনার নাসীহাহ কি?
ঘ) কারো জন্য বিপরীত লিঙ্গের নিকট কোন পুরুষ কিংবা নারীর সৌন্দর্যের বিবরণ দেয়া কিংবা কারো নিকট বিপরীত লিঙ্গের দৈহিক গঠন প্রকৃতির বিবরণ জানতে চাওয়া কি শারী‘য়াতের দৃষ্টিতে বৈধ? আল্লাহ 7 আপনাকে উত্তম জাযা দিন।