১) শামে যখন তা’উন দেখা দেয়, তখন আবূ উবাইদাহ ইবনে জাররাহ 3 ও মু’আয ইবনে জাবাল 3 আল্লাহ এর কাছে প্রার্থনা করে যে, যেনো এই তা’উনের মধ্যে তাদের একটা অংশ রাখা হয়। এই রকম দু’আ করে কি রোগ কামনা করা জায়েয আছে? এবং, এই তা’উনের মধ্যেও উনারা জামা’আতে সালাত আদায় করেছেন এবং, জুমু’আর খুতবা দিয়েছেন।
রাছূল 1 বলেছেন, তোমরা তোমাদের সন্তানের উপর, নিজের সম্পদের উপর এবং,নিজের উপরে নিজে বদ দূ’আ করোনা। কারণ, হয়তো এমন একটা সময়ে এই বদ দু’আ গুলো তোমরা করবে যে, যে সময়টা হবে দু’আ ক্ববুলের মুহূর্ত এবং, তা আল্লাহ 0 এর কাছে ক্ববুল হয়ে যাবে।মুছলিম
তাহলে, আবূ উবাইদাহ ইবনে জাররাহ 3 ও মু’আয ইবনে জাবাল 3 কিভাবে এই তা’উনের মধ্যে তাদের একটা অংশ আল্লাহ 0 এর কাছে চাইলেন?
এর উত্তরে ‘উলামারা বলেন, আপনি যখন কোনও ভালো অবস্থানে আছেন, তখন আপনি নিজের জন্য কোনও বদ দূ’আ করতে পারবেন না। কিন্তু, যখন শাহাদাতের উপকরণ গুলো উপস্থিত থাকবে তখন শাহাদাত কামনা করা এই হাদীছের পরিপন্থী নয়।
২) এই তা’উন কে দূর করার জন্য আমাদের করণীয় কি রয়েছে?
রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে করণীয় হলঃ
ক) দেশ থেকে সকল প্রকারের অশ্লীলতা ও বেহায়াপনাকে দূর করতে হবে।
খ) জুয়া ও মদের আড্ডাখানা গুলোকে বন্ধ করতে হবে।
ব্যক্তি পর্যায়ে করণীয় হলঃ
ক) আমাদের আক্বিদাকে ঠিক করতে হবে।
খ) সবসময় ওযু অবস্থায় থাকার চেষ্টা করতে হবে।
গ) মনোযোগ দিয়ে সালাত আদায় করতে হবে।
ঘ) নফল সালাত আদায়ের চেষ্টা করা।
ঙ) বেশী বেশী আল্লাহ 0 কে স্মরণ করতে হবে। কারণ, এগুলোর দ্বারা বালা-মুসীবাহ দূর হয়।
চ) বেশী বেশী ইছতিগফার করতে হবে।
ছ) সর্বদা আল্লাহ 0 এর নিকট দু’আ করতে হবে।
জ) মানুষের সাথে উত্তম আচরণ করতে হবে।
ঝ) বেশী বেশী সাদাক্বা করতে হবে। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও পরীক্ষিত একটি আমল।