সালাতের মধ্যে ওয়াজিব হলো সাতটি

সালাতের মধ্যে ওয়াজিব হলো সাতটি। এসব ওয়াজিবের মধ্যে যে কোন একটি কেউ যদি ইচ্ছা পূর্বক ছেড়ে দেয় তাহলে তার নামায বাতিল হয়ে যাবে এবং পুনরায় নতুন করে ঐ সালাত আদা করতে হবে। আর যদি ভুল বশতঃ নামাযের কোন ওয়াজিব বাদ পড়ে যায়, তাহলে “ছাহু ছাজদাহ” করে নিলে সেই নামায শুদ্ধ হয়ে যাবে।
(এক) তাকবীরে তাহ্‌রীমাহ ব্যতীত নামাযের অন্যান্য তাকবীর সমূহ। কেননা রাছূল তা কখনো পরিত্যাগ করেননি।

(দুই) রুকূ‘ হতে উঠার সময় ইমাম ও মুনফারিদের (একাকী নামায আদায়কারীর) “سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ” (ছামি‘আল্লাহু লিমান হামিদাহ) বলা। এর প্রমাণ হলো:- আবূ হুরায়রাহ 3 থেকে বর্ণিত-

كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ حِينَ يَرْفَعُ صُلْبَهُ مِنَ الرُّكُوعِ.رواه مسلم

অর্থ- রাছূলুল্লাহ 1 যখন রুকূ‘ থেকে উঠতেন তখন তিনি “ছামি‘আল্লাহু লিমান হামিদাহ” বলতেন।সাহীহ্‌ মুছলিম

(তিন) রুকূ‘ হতে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে ইমাম, মুক্বতাদী ও একাকী নামায আদায়কারী মোটকথা সকল মুসাল্লির জন্য “رَبَّنَا ولَكَ الْحَمْدُ” (রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ) কিংবা “رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ” (রাব্বানা লাকাল হামদ) বলা ওয়াজিব। এর প্রমাণ হলো- আবূ হুরায়রাহ্‌ 3 থেকে বর্ণিত-

أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلى الله عَلَيه وَسَلم، قَالَ: إِذَا قَالَ الْإِمَامُ: سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ، فَقُولُوا: اللَّهُمَّ رَبَّنَا ولَكَ الْحَمْدُ.رواه أحمد

অর্থ- রাছূলুল্লাহ 1 বলেছেন:- ইমাম যখন “ছামি‘আল্লাহু লিমান হামিদাহ” বলবেন তোমরা তখন “আল্লাহুম্মা রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ” বলো।মুছনাদে ইমাম আহ্‌মাদ

সাহীহ্‌ বুখারীতে অনুরূপ হাদীছ আনাছ 3 থেকেও বর্ণিত রয়েছে।

(চার) রুকু‘তে “سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ” (ছুবহা-না রাব্বিয়াল ‘আযীম) কমপক্ষে একবার বলা। এর প্রমাণ হলো- ‘উক্ববাহ ইবনু ‘আমির (e) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন:-

لَمَّا نَزَلَتْ: فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيمِ، قَالَ لَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: “اجْعَلُوهَا فِي رُكُوعِكُمْ”.رواه أحمد و أبو داؤود

অর্থ- যখন “ফাছাব্বিহ্‌ বিছমি রাব্বিকাল ‘আযীম” এ আয়াত নাযিল হলো, তখন রাছূল 1 আমাদেরকে বললেন:- এই বাক্যটিকে তোমরা রুকূ‘তে রেখে দাও।মুছনাদে ইমাম আহ্‌মাদ, আবূ দাঊদ

এ সম্পর্কে হুযাইফাহ e বর্ণিত অন্য একটি হাদীছে রয়েছে, তিনি বলেছেন:-

صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَانَ يَقُولُ فِي رُكُوعِهِ: سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ.رواه أحمد و أبو داؤود

অর্থ- আমি রাছূলুল্লাহ 1 এর সাথে নামায পড়েছি, তিনি রুকূ‘তে “ছুবহা-না রাব্বিয়াল ‘আযীম” বলতেন।মুছনাদে ইমাম আহ্‌মাদ, ছুনানু আবী দাঊদ

এছাড়া ইবনু ‘আব্বাছ h বর্ণিত হাদীছে রয়েছে, রাছূল 1 বলেছেন:-

فَأَمَّا الرُّكُوعُ فَعَظِّمُوا فِيهِ الرَّبَّ عَزَّ وَجَلَّ.رواه مسلم

অর্থ- তোমরা রুকূ‘তে মহান আল্লাহ্‌র মাহাত্ম্য বর্ণণা করো।সাহীহ্‌ মুছলিম১০

(পাঁচ) ছাজদাহ্‌তে “سُبْحَانَ رَبِّيَ الْأَعْلَى” (ছুবহা-না রাব্বিয়াল আ‘লা) কমপক্ষে একবার বলা। এর প্রমাণ হলো- ‘উক্ববাহ ইবনু ‘আমির e থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন:-

لَمَّا نَزَلَتْ سَبِّحْ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اجْعَلُوهَا فِي سُجُودِكُمْ.رواه أحمد و أبو داؤود১১

অর্থ- যখন “ছাব্বিহিছমা রাব্বিকাল আ‘লা ” এই আয়াত নাযিল হলো, তখন নাবী 1 আমাদেরকে বললেন:- এই বাক্যটিকে তোমরা ছাজদাহ-তে রেখে দাও।মুছনাদে ইমাম আহ্‌মাদ, আবূ দাঊদ১২

এছাড়া হুযাইফাহ (e) হতে বর্ণিত অন্য একটি হাদীছে রয়েছে,তিনি বলেছেন:-

أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُولُ فِي. سُجُودِهِ: سُبْحَانَ رَبِّيَ الْأَعْلَى.رواه مسلم و أحمد১৩

অর্থ- নাবী 1 ছাজদাহ-তে ছুবহা-না রাব্বিয়াল আ‘লা বলতেন।সাহীহ্‌ মুছলিম, মুছনাদে ইমাম আহ্‌মাদ১৪

রুকূ‘ ও ছাজদাহ্‌র তাছবীহ্‌ ন্যুনপক্ষে তিনবার করে বলা উচিত। তবে মাত্র একবার বললে ওয়াজিবটুকু আদায় হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য যে, দুই ছাজদাহ্‌র মাঝে “رَبِّ اغْفِرْ لِي” (রাব্বিগফিরলী) অথবা  “رَبِّ اغْفِرْ لِي، وَارْحَمْنِي، وَاجْبُرْنِي، وَارْفَعْنِي، وَارْزُقْنِي، وَاهْدِنِي”  (রাব্বিগফিরলী ওয়ারহামনী ওয়াজবুরনী ওয়ারফা‘নী ওয়ারযুক্বনী ওয়াহদিনী) বলা, অনেকে এ কাজটিকে ওয়াজিব বলেছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এমন কোন দালীল পাওয়া যায়নি যা একাজটি ওয়াজিব প্রমাণিত করে। তবে নিঃসন্দেহে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ছুন্নাত।

(ছয়) প্রথম বৈঠকে বসা। এর প্রমাণ হলো- রিফা‘আহ ইবনু রাফি‘ 3হতে বর্ণিত হাদীছে রয়েছে যে, ভুল পদ্ধতিতে সালাত আদায়কারীকে রাছূলুল্লাহ 1 বলেছেন:-

فَإِذَا جَلَسْتَ فِي وَسَطِ الصَّلَاةِ فَاطْمَئِنَّ، وَافْتَرِشْ فَخِذَكَ الْيُسْرَى ثُمَّ تَشَهَّدْ.رواه أبو داؤود و البيهقي১৫

অর্থ- তুমি যখন নামাযের মাঝামাঝি বসবে তখন প্রশান্তি সহকারে বসবে এবং বাম উরু বিছিয়ে দেবে অতঃপর তাশাহ্‌হুদ পড়বে।আবূ দাঊদ, বায়হাক্বী১৬

এ ছাড়া ‘আব্দুল্লাহ ইবনু মালিক ইবনু বুহাইনাহ e থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন:-

صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الظُّهْرَ، فَقَامَ وَعَلَيْهِ جُلُوسٌ، فَلَمَّا كَانَ فِي آخِرِ صَلاَتِهِ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ.رواه البخاري১৭

অর্থ- (একদিন) রাছূল 1 আমাদেরকে নিয়ে যুহ্‌রের নামায পড়লেন। (দু’ রাক‘আত পড়ার পর) তাঁর বসা প্রয়োজন ছিল, কিন্তু তিনি না বসে দাঁড়িয়ে গেলেন। অতঃপর তিনি তাঁর নামাযের শেষ পর্যায়ে বসা অবস্থায় দু’টি ছাজদাহ করলেন।সাহীহ্‌ বুখারী১৮

এ হাদীছ দ্বারা সালাতের প্রথম বৈঠক ওয়াজিব হওয়া প্রমাণিত হয়। কেননা যদি তা ওয়াজিব না হতো তাহলে ভুল বশতঃ তা বাদ পড়ার কারণে রাছূল 1 ছাহু ছাজদাহ করতেন না।

(সাত) প্রথম বৈঠকে তাশাহহুদ পড়া। এর প্রমাণ হলো:- ‘আয়িশাহ f বর্ণিত হাদীছে রয়েছে-

كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فِي كُلِّ رَكْعَتَيْنِ: التَّحِيَّاتُ.رواه أبو داؤود১৯

অর্থ- রাছূল 1 প্রতি দু’রাক‘আত শেষে “আত্তাহিয়্যা-তু” পড়তেন।ছুনানু আবী দাঊদ২০

ছুনানে বাইহাক্বীতে ‘আয়িশাহ f থেকে বর্ণিত হাদীছে রয়েছে, রাছূলুল্লাহ 1 সালাতে বসা অবস্থায় প্রথমে যা পড়তেন, তা হলো আত্তাহিয়্যা-তু –।ছুনানুল বাইহাক্বী২১

‘আব্দুল্লাহ ইবনু মাছ‘ঊদ e থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন:-

كُنَّا نَقُولُ فِي الصَّلَاةِ خَلْفَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: السَّلَامُ عَلَى اللهِ السَّلَامُ عَلَى فُلَانٍ. فَقَالَ لَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ يَوْمٍ: ” إِنَّ اللهَ هُوَ السَّلَامُ، فَإِذَا قَعَدَ أَحَدُكُمْ فِي الصَّلَاةِ فَلْيَقُلْ: التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِينَ، فَإِذَا قَالَهَا أَصَابَتْ كُلَّ عَبْدٍ لِلَّهِ صَالِحٍ فِي السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، ثُمَّ يَتَخَيَّرُ مِنَ الْمَسْأَلَةِ مَا شَاءَ.رواه مسلم২২

অর্থ- আমরা রাছূলুল্লাহ 1 এর পিছনে সালাত আদায় করার সময় (বৈঠকে) বলতাম:- “السلام على الله السلام على فلان” (অর্থ- আল্লাহর উপর ছালাম বর্ষিত হোক, অমুকের উপর শান্তি বর্ষিত হোক)। একদিন রাছূলুল্লাহ 1 আমাদের বললেন:- বস্তুত আল্লাহ নিজেই ছালাম (শান্তির উৎস এবং শান্তিদাতা) অতএব তোমাদের কেউ যখন সালাতে বসে সে যেন বলে:- “আত্তাহিয়্যা-তু লিল্লাহি ওয়াস্‌সালাওয়া-তু ওয়াত্তাইয়্যিবা-তু আছ্‌ছালামু ‘আলাইকা আইয়্যুহান নাবীইয়্যু ওয়ারাহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহু। আছ্‌ছালা-মু ‘আলাইনা ওয়া ‘আলা ‘ইবাদিল্লাহিস্‌ সালিহীন {কেননা, তোমরা যখন -আছ্‌ছালা-মু ‘আলাইনা ওয়া ‘আলা ‘ইবাদিল্লা-হিস্‌ সালিহীন- এ দু‘আ করবে তখন আছমানে বা যমীনে আল্লাহ্‌র সকল নেক বান্দাহ্‌র কাছে তা পৌঁছে যাবে} আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আবদুহু ওয়া রাছূলুহু”।সাহীহ্‌ মুছলিম২৩

এছাড়া আবূ মূছা আল আশ‘আরী e বর্ণিত সুদীর্ঘ হাদীছের শেষাংশে রয়েছে, রাছূলুল্লাহ 1 বলেছেন:-

وَإِذَا كَانَ عِنْدَ الْقَعْدَةِ فَلْيَكُنْ مِنْ أَوَّلِ قَوْلِ أَحَدِكُمْ: التَّحِيَّاتُ الطَّيِّبَاتُ الصَّلَوَاتُ لِلَّهِ السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِينَ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ.رواه مسلم২৪

অর্থ- যখন তোমরা বৈঠকে বসবে, তখন তোমাদের প্রথম কথা যেন হয়- “আত্তাহিয়্যাতুত্‌ ত্বাইয়্যিবাতুস্‌ সালাওয়াতু লিল্লাহি আছছালামু ‘আলাইকা আইয়্যুহান নাবীয়্যু ওয়া রহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহ, আছ্‌ছালামু আলাইনা- ওয়া আলা- ‘ইবাদিল্লা-হিস সালিহীন। আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আ‘বদুহু ওয়া রাছূলুহ।সাহীহ্‌ মুসলিম২৫

সাহীহ্‌ বুখারীতে ‘আব্দুল্লাহ ইবনু মাছ‘ঊদ e থেকে বর্ণিত হাদীছে রয়েছে, তিনি বলেছেন:-

كُنَّا إِذَا صَلَّيْنَا خَلْفَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قُلْنَا: السَّلاَمُ عَلَى جِبْرِيلَ وَمِيكَائِيلَ السَّلاَمُ عَلَى فُلاَنٍ وَفُلاَنٍ، فَالْتَفَتَ إِلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: ” إِنَّ اللَّهَ هُوَ السَّلاَمُ، فَإِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ، فَلْيَقُلْ: التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ، السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ، فَإِنَّكُمْ إِذَا قُلْتُمُوهَا أَصَابَتْ كُلَّ عَبْدٍ لِلَّهِ صَالِحٍ فِي السَّمَاءِ وَالأَرْضِ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ.رواه البخاري২৬

অর্থ- আমরা যখন নাবী 1 এর পিছনে নামায পড়তাম তখন বৈঠকে বলতাম- “জিবরাঈল ও মিকাঈলের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক, অমুক এবং অমুকের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক”। একদা রাছূলুল্লাহ 1 আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, আল্লাহ নিজেই তো শান্তি (শান্তির উৎস এবং শান্তিদাতা)। তাই তোমরা কেউ যখন নামায পড়বে তখন বলবে- “আত্তাহিয়্যা-তু লিল্লাহি ওয়াস্‌সালাওয়া-তু ওয়াত্তাইয়্যিবা-তু আছ্‌ছালামু ‘আলাইকা আইয়্যুহান নাবীইয়্যু ওয়ারাহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহু। আছ্‌ছালা-মু ‘আলাইনা ওয়া ‘আলা ‘ইবাদিল্লাহিস্‌ সালিহীন {কেননা, তোমরা যখন -আছ্‌ছালা-মু ‘আলাইনা ওয়া ‘আলা ‘ইবাদিল্লা-হিস্‌ সালিহীন- এ দু‘আ করবে তখন আছমানে বা যমীনে আল্লাহ্‌র সকল নেক বান্দাহ্‌র কাছে তা পৌঁছে যাবে} আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আবদুহু ওয়া রাছূলুহু”।সাহীহ্‌ বুখারী২৭

তাশাহহুদ হলো:-

التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ، السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ, أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ.


১. رواه مسلم 
২. সাহীহ্‌ মুছলিম 
৩. رواه أحمد 
৪. মুছনাদে ইমাম আহ্‌মাদ 
৫. رواه أحمد و أبو داؤود 
৬. মুছনাদে ইমাম আহ্‌মাদ, আবূ দাঊদ 
৭. رواه أحمد و أبو داؤود 
৮. মুছনাদে ইমাম আহ্‌মাদ, ছুনানু আবী দাঊদ 
৯. رواه مسلم 
১০. সাহীহ্‌ মুছলিম 
১১. رواه أحمد و أبو داؤود 
১২. মুছনাদে ইমাম আহ্‌মাদ, আবূ দাঊদ 
১৩. رواه مسلم و أحمد 
১৪. সাহীহ্‌ মুছলিম, মুছনাদে ইমাম আহ্‌মাদ 
১৫. رواه أبو داؤود و البيهقي 
১৬. আবূ দাঊদ, বায়হাক্বী 
১৭. رواه البخاري 
১৮. সাহীহ্‌ বুখারী 
১৯. رواه أبو داؤود 
২০. ছুনানু আবী দাঊদ 
২১. ছুনানুল বাইহাক্বী 
২২. رواه مسلم 
২৩. সাহীহ্‌ মুছলিম 
২৪. رواه مسلم 
২৫. সাহীহ্‌ মুসলিম 
২৬. رواه البخاري 
২৭. সাহীহ্‌ বুখারী 

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close