মানবতার জন্য ইছলাম

স্রষ্টা ছাড়া কোন কিছু সৃষ্টি হতে পারে না। সুতরাং এই মহাবিশ্বের একজন সর্বজ্ঞানী পরম প্রজ্ঞাশীল সুমহান স্রষ্টা অবশ্যই রয়েছেন। তিনি অত্যন্ত সুষ্ঠু-সুন্দর, নিখুঁত ও সুশৃঙ্খলভাবে সমগ্র জগত পরিচালনা ও প্রতিপালন করছেন। যেহেতু একাজগুলো একক কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণ ব্যতীত সম্পাদন করা কোন ক্রমেই সম্ভব নয়, তাই বিবেকই বলে দেয় যে তিনি একক ও লা-শারীক।  সুতরাং যিনি সমগ্র বিশ্বের একক সৃষ্টিকর্তা, অধিপতি, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণকারী, তাঁর নিকট পরিপূর্ণরূপে আত্মসমর্পণ ব্যতীত প্রকৃত অর্থে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জন করা এবং মানবতার মুক্তি ও অগ্রগতি নিশ্চিত করা আদৌ সম্ভবপর নয়। তাই কিভাবে এই মহান সৃষ্টিকর্তার পরিচয় পাওয়া যায়, তাঁর নিকট যাওয়া যায়- এসব বিষয় সঠিকভাবে জেনে নেয়া একান্ত অবশ্যক।

সব গুলো প্রবন্ধ দেখতে এখানে ক্লিক করুন

সৃষ্টির সূচনালগ্নে মানুষের ধর্ম কি ছিল?

সৃষ্টির শুরুতে মানুষের মধ্যে শির্‌কের (অংশীবাদের) প্রচলন বা শির্‌কী চিন্তা-ভাবনা ছিল না বরং তখন সর্বক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে তাওহীদের (আল্লাহ্‌র একত্ববাদের) প্রচলন এবং তাওহীদী চিন্তা-ভাবনা ও মতধারা বিরাজমান ছিল। যেমন আল্লাহ سبحانه وتعالى ইরশাদ করেছেন:-

فَأَقِمْ وَجْهَكَ لِلدِّينِ حَنِيفًا فِطْرَتَ اللَّهِ الَّتِي فَطَرَ النَّاسَ عَلَيْهَا لَا تَبْدِيلَ لِخَلْقِ اللَّهِ ذَلِكَ الدِّينُ الْقَيِّمُ وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ. (سورة الروم- ٣٠)

মহা বিশ্বের পরতে পরতে রয়েছে মহান আল্লাহ্‌র পরিচিতি ও নিদর্শন

মহাবিশ্বের পরতে পরতে রয়েছে মহান আল্লাহ্‌র পরিচিতি ও নিদর্শন । ক্বোরআনে কারীমে আল্লাহ سبحانه وتعالى ইরশাদ করেছেন:-

أَفِي اللَّهِ شَكٌّ فَاطِرِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ. (سورة إبراهيم- ٠١)

অর্থাৎ- সমগ্র আছমান ও যমীনের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্‌র ব্যাপারে কি কোন সন্দেহ আছে? (ছূরা ইবরাহীম- ১০)

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close