শাহাদাতাইন বনাম তাওহীদ ও রিছালাত

ইছলাম ছাড়া ঈমান অর্থহীন। ইছলাম হলো- যাবতীয় শির্‌কী কার্যাবলী থেকে মুক্ত থেকে আল্লাহ্‌কে (0) একক ও অদ্বিতীয় বলে মনে-প্রাণে বিশ্বাস ও স্বীকার করা এবং রাছূলুল্লাহ 1 এর নির্দেশিত পন্থায় আল্লাহ্‌র আনুগত্যের মাধ্যমে তাঁর প্রতি পরিপূর্ণরূপে আত্মসমর্পণ করা। মানবজাতির জন্য আল্লাহ্‌র মনোনীত একমাত্র সঠিক পথ বা দ্বীন হলো ইছলাম। এই সরল-সঠিক পথ অনুসরণের মাধ্যমে ইহ-পরকালীন মুক্তি ও সফলতা লাভের জন্যে অবশ্যই সর্বাগ্রে সঠিক ও বিশুদ্ধভাবে এ পথ (দ্বীনে ইছলাম) সম্পর্কে জানতে হবে।

সব গুলো প্রবন্ধ দেখতে এখানে ক্লিক করুন

‘ইবাদাতের অর্থ ও তাৎপর্য

ইবাদাত শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো:- চূড়ান্ত বিনয়, আনুগত্য ও বশ্যতা।
শারী‘য়াতের পরিভাষায়- প্রকাশ্য কিংবা গোপনীয় যেসব কথা ও কাজ আল্লাহ سبحانه وتعالى ভালোবাসেন ও পছন্দ করেন, সে সবের একটি সামষ্টিক নাম হলো- ‘ইবাদাত।
শারী‘য়াতের পরিভাষায় আল্লাহ্‌র ‘ইবাদাত বলতে কি বুঝায়? 

‘ইবাদতের অর্থ কী? ‘ইবাদত বলতে কি বুঝায়?

‘ইবাদাত শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো:- চূড়ান্ত বিনয়, আনুগত্য ও বশ্যতা। শারী‘আতের পরিভাষায়:- প্রকাশ্য কিংবা গোপনীয় যতসব কথা ও কাজ আল্লাহ سبحانه وتعالى ভালোবাসেন ও পছন্দ করেন, সে সবের একটি সামষ্টিক নাম হলো ‘ইবাদাত।

‘ইবাদাতের মূলনীতি ও ‘আমাল ক্ববূল হওয়ার শর্তাবলী কি?

এটা সর্বজনজ্ঞাত বিষয় যে, সকল প্রকার ‘ইবাদাত হলো তাওক্বীফিয়্যাহ অর্থাৎ ক্বোরআন ও ছুন্নাহ নির্ভর। শারী‘আতের (ক্বোরআন ও ছুন্নাহ্‌র) মাধ্যম ব্যতীত ‘ইবাদাত সম্পর্কে জানা কারো পক্ষে সম্ভব নয়। তাই প্রতিটি মানুষকে আল্লাহ্‌র ‘ইবাদাত করতে হবে ক্বোরআনে কারীম ও রাছূলের (صلى الله عليه وسلم) ছুন্নাহ্‌তে প্রদত্ত বর্ণনা ও নির্দেশানুসারে এবং প্রতিটি ‘আমাল

তাওহীদ অর্থ কি, তাওহীদ কত প্রকার ও কি কি?

তাওহীদ শব্দের আভিধানিক অর্থ- এক করা, একক ও অদ্বিতীয় সাব্যস্ত করা, একত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করা। শারী‘য়াতের পরিভাষায় তাওহীদের অর্থ হলো- আল্লাহ্‌কে (سبحانه وتعالى) তাঁর সুমহান জাত (সত্তা) সর্বসুন্দর নাম ও সিফাতে (গুণরাজি-বৈশিষ্ট্যে) এবং তাঁর অধিকার, কর্ম ও কর্তৃত্বে এক, একক ও অদ্বিতীয় ষোষণা ও সাব্যস্ত করা, এবং এসব ক্ষেত্রে নিজের কথা, কাজ

সব গুলো অডিও শুনতে এখানে ক্লিক করুন

তাওহীদ ও তাক্ব্‌লীদের মধ্যে সম্পর্ক

এটি শাইখ হাম্মাদ বিল্লাহ حفظه الله প্রদত্ত অত্যন্ত মূল্যবান একটি বক্তৃতা। এতে তিনি বিশেষভাবে বাংলদেশের মুছলমানদের মধ্যে বিদ্যমান কিছু সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি মুছলমানদেরকে প্রতিটি ‘আক্বীদাহ-বিশ্বাস ও কাজে-কর্মে ক্বোরআন ও ছুন্নাহ্‌র সুস্পষ্ট বিশুদ্ধ দালীলের উপর নির্ভর করার এবং তা অনুসরণ করার আহবান জানিয়েছেন। প্রকৃত অর্থে ক্বোরআন-ছুন্নাহ্‌র দালীলকে অনুসরণ করাই হলো সত্যিকার গ্রহণযোগ্য তাক্বলীদ।

আল্লাহ্‌র দাসত্ব

এটি শাইখ হাম্মাদ বিল্লাহ حفظه الله প্রদত্ত একটি বক্তৃতা। এটি মূলত ‘উবূদিয়্যাহ বা আল্লাহ্‌র দাসত্বের অর্থ ও তাৎপর্য সম্পর্কে লিখা ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ رحمه الله এবং আশ্‌শাইখ সালিহ্‌ আল ফাওযান حفظه الله এর লিখা পুস্তিকার বাংলা ভাষান্তর। এতে ইছলামে ‘ইবাদাতের অর্থ, তাৎপর্য এবং আল্লাহ্‌র (سبحانه وتعالى) প্রকৃত বান্দাহ বা দাস হওয়ার মধ্যেই যে নিহিত রয়েছে ইহ-পরকালের মর্যাদা ও সম্মান, এসব বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। “আল্লাহ্‌র (عز وجل) বান্দাহ” এটি হলো অত্যন্ত মহান ও সম্মানজনক একটি উপাধি বা খেতাব। তাই তো আল্লাহ جل وعلا তাঁর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মুহাম্মাদুর্‌ রাছূলুল্লাহ صلى الله عليه وسلم-কে এই উপাধিতে ভূষিত করেছেন।

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close