সব গুলো অডিও শুনতে এখানে ক্লিক করুন

করোনাভাইরাস সম্পর্কিত ইছলামিক দৃষ্টিভঙ্গি (৬ষ্ঠ পর্ব)

ফিক্বহের একটি উসূল রয়েছে যে, সন্দেহের দ্বারা সুনিশ্চিত কোনো বিষয়কে প্রতিহত করা যায় না। তাই কে এই ভাইরাসে আক্রান্ত বা কে আক্রান্ত নয়, এই সন্দেহের জন্য ওয়াজিব জুমু’আর সালাত ছাড়া উচিত হবে না। নতুবা কেবলমাত্র WHO এর নির্দেশনার ভিত্তিতে আমরা যদি দ্বীনী সিদ্ধান্ত নিতে থাকি, তবে একসময় দেখা যাবে যে, দ্বীনে ইছলামের আর কোনো কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।
১) আমাদের তরফ থেকে সরকারের প্রতি এতটুকু বলতে পারি যে, তারা চাইলে নিম্নোক্ত রুলগুলো জারি করতে পারে। সেগুলো হলো-

ক) কারো মধ্যে যদি এই COVID-19 এর উপসর্গ সামান্য মাত্রায়ও বিদ্যমান থাকে, তবে সে অবশ্যই মাছজিদে আসবে না।
খ) মাছজিদকে যথাযথভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে এই রুল জারি করতে পারে যে, মাছজিদ কমিটি বা এলাকার জনগণ নিজ

করোনাভাইরাস সম্পর্কিত ইছলামিক দৃষ্টিভঙ্গি (৪র্থ পর্ব)

১) শামে যখন তা’উন দেখা দেয়, তখন আবূ উবাইদাহ ইবনে জাররাহ رضي الله عنه ও মু’আয ইবনে জাবাল رضي الله عنه আল্লাহ এর কাছে প্রার্থনা করে যে, যেনো এই তা’উনের মধ্যে তাদের একটা অংশ রাখা হয়। এই রকম দু’আ
করে কি রোগ কামনা করা জায়েয আছে? এবং, এই তা’উনের মধ্যেও উনারা জামা’আতে সালাত আদায় করেছেন এবং, জুমু’আর খুতবা দিয়েছেন।
রাছূল صلى الله عليه وسلم বলেছেন, তোমরা তোমাদের সন্তানের উপর, নিজের সম্পদের উপর এবং,নিজের উপরে নিজে বদ দূ’আ করোনা। কারণ, হয়তো এমন একটা সময়ে এই বদ দু’আ গুলো তোমরা করবে যে, যে সময়টা হবে
দু’আ ক্ববুলের মুহূর্ত এবং, তা আল্লাহ سبحانه وتعالى এর কাছে ক্ববুল হয়ে যাবে। (মুছলিম)

করোনাভাইরাস সম্পর্কিত ইছলামিক দৃষ্টিভঙ্গি (৩য় পর্ব)

১) এই মহামারীর সময় আমাদের সবচেয়ে বড় প্রত্যাশা কি হওয়া উচিত?
এই মুহূর্তে অমুছলীমরা তো বটেই, এমনকি হয়তো ৭০% মুছলীমও ভ্যাক্সিনের আশায় বসে আছে। এটি একটি আক্বিদা পরিপন্থী বিষয়। অথচ, ১০০% মুছলীমের এই প্রত্যাশাই হওয়া উচিত যে, কখন তাঁর রবের রাহমাতের দরজা খুলবে এবং, তিনি আমাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন অতঃপর তাঁর এই আযাব আমাদের থেকে উঠিয়ে নেবেন। আল্লাহ سبحانه وتعالى কুরআনে কারীমে বলেন, وَ اِنۡ یَّمۡسَسۡکَ اللّٰہُ بِضُرٍّ فَلَا کَاشِفَ لَہٗۤ اِلَّا ہُوَ অর্থঃ আল্লাহ তোমার কোন ক্ষতি করতে চাইলে তিনি ছাড়া কেউ তা সরাতে পারবে না। (আন’আমঃ১৭)
২) হাদীছ থেকে জানা যায় যে, আল্লাহ سبحانه وتعالى এই তা’উন সর্বপ্রথম বানী ইসরাইল এর উপর প্রেরণ করেছিলেন। তারই একটা অংশ তিনি এই পৃথিবীতে

করোনাভাইরাস সম্পর্কিত ইছলামিক দৃষ্টিভঙ্গি (২য় পর্ব)

১) এই রোগে আক্রান্ত হয়ে গেলে আমাদের কী করা উচিৎ?

ক) যদি কেউ আক্রান্ত হয়ে যায়, তবে তাঁর উচিৎ হবে এটাকে আল্লাহ এর ফায়সালা হিসেবে মেনে নেয়া।
খ) যদি এর ফলে কোনও মুমীন মৃত্যুবরণ করে, তবে এই তা’উন হচ্ছে তাঁর জন্য রাহমাহ। কারণ, তা’উন হচ্ছে প্রকৃত মুছলিমদের জন্য শাহাদাত স্বরূপ।
গ) কেউ যদি তা’উন আক্রান্ত এলাকা থেকে পলায়ন করে, তবে সে হবে যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়নকারীর ন্যায়।
ঘ) তা’উন আক্রান্ত এলাকা থেকে কারো বের হওয়া উচিৎ নয়। এবং, আক্রান্ত এলাকায় কারো প্রবেশ করাও উচিৎ নয়।

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close