(সম্পূর্ণ অডিও সেট) শাইখ সালিহ্‌ আল ফাওযান কর্তৃক ব্যাখ্যাকৃত : “মৃত মুছলমানের গোছল ও কাফন-দাফনের প্রক্রিয়া ও নিয়ম-নীতি”

এই আলোচনার বেশিরভাগই মূলত শাইখ সালিহ্‌ আল ফাওযানের (حفظه الله)“মুলাখ্‌খাসু আহ্‌কামিল জানায়িয” (জানাযার নিয়ম-ক্বানূনের সারসংক্ষেপ) পুস্তিকা থেকে করা হয়েছে। উছতায হাম্মাদ বিল্লাহ حفظه الله খুবই সহজ-সুন্দরভাবে বিষয়টি আলোচনা করেছেন এবং এতদসম্পর্কিত মাছআলাগুলো চমৎকারভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
১) এতদ্বিষয়ে আলোচনার শুরুতেই শাইখ সালিহ্‌ আল ফাওযান حفظه الله বলেছেন যে, আমাদের দ্বীন (দ্বীনে ইছলাম) হলো সর্বদিক থেকে পরিপূর্ণ এবং সুসমৃদ্ধ একটি দ্বীন।
২) যখন একজন মুছলমান গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন কিংবা মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে উপনীত হন, তখন তার প্রতি আমাদের (উপস্থিত অন্যান্য মুছলমানদের) করণীয় কি?
৩) রোগীকে দেখতে যাওয়া এবং কোন মুছলমানের দাফন কার্যে শরীক হওয়াও একপ্রকার ‘ইবাদাত- উছতায বিষয়টি আলোচনা করেছেন।
৪) মৃত্যু- বাস্তবতা ও প্রস্তুতি। প্রত্যেকেরই করণীয় হলো আল্লাহ্‌কে স্মরণ করা এবং অবনত মস্তকে আল্লাহ্‌র সমীপে নিজেকে সমর্পণ করা, কেবল তাহলেই আখিরাতে সফলতা লাভ করা যাবে।
৫) অসুস্থতা ও মৃত্যুকালীন সময়ে ব্যক্তিকে ধৈর্যশীল হতে হবে। এসময়ে নিজের অসুস্থতা বা কষ্টের জন্য অভিযোগ করা উচিত নয়।
৬) নিজের অসুস্থতার খবর অন্যকে জানানো যাবে, তাতে কোন অসুবিধা নেই।
৭) রোগীর জন্য হালাল এবং উত্তম ঔষধ-পথ্য ও চিকিrসা গ্রহণ করা বৈধ তথা শারী‘য়াতসম্মত। সাধারণত হারাম ঔষধ-পথ্য গ্রহণ করা নিষিদ্ধ।
৮) রোগমুক্তির জন্য তাবিয-কবচ ব্যবহারের হুক্‌ম। তাবিয-কবচে “৭৮৬” এই সংখ্যাগুলো ব্যবহারের হুক্‌ম।
৯) রোগের প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিষয়ে ইমাম ইবনুল ক্বায়্যিম رحمه الله এর একটি চমৎকার বক্তব্য।
১০) যেভাবে দু‘আ করলে আল্লাহ্‌র নিকট তা ক্বাবূল হওয়ার আশা করা যায়।
১১) মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে উপনীত ব্যক্তি এমনকি একজন সুস্থ-সবল ব্যক্তিরও করণীয় হলো স্বীয় উইল/অছিয়তনামা লিখে রাখা।
১২) উত্তরাধিকারী বিদ্যমান থাকাবস্থায় কোন ব্যক্তিকে এমনকি আল্লাহ্‌র পথেও নিজের সমুদয় ধন-সম্পত্তি দান করে দেয়া যাবে না।
১৩) অসুস্থ ব্যক্তির উচিত সর্বদা আল্লাহ্‌র (سبحانه وتعالى) প্রতি উত্তম ধারণা ও আশা পোষণ করা।
১৪) দাফন কার্য বিলম্বিত করা আদৌ উচিত নয়।
১৫) সম্ভব হলে মৃত ব্যক্তির কৃত ঋণ জানাযার পূর্বেই আদায় করে দিতে হবে।
১৬) মৃত ব্যক্তির উপর যদি হাজ্ব ফার্‌য হয়ে থাকে এবং তিনি যদি কোন কারণ বশত তা আদায় না করে থাকেন, তাহলে তার উত্তরাধিকারীকে তাঁর পক্ষে হাজ্জ সম্পাদন করতে হবে। এমনিভাবে যদি তার উপর কোন কাফ্‌ফারা আবশ্যক হয়ে থাকে, তাহলে তাঁর পক্ষে উত্তরাধিকারীকে তা আদায় করতে হবে।
১৭) মৃত ব্যক্তিকে কিভাবে গোছল দিতে হবে এবং কাফন পরাতে হবে।
১৮) সালাতুল জানাযাহ্‌র নিয়ম-পদ্ধতি।

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close