হাজ্ব ও ‘উমরাহর রুক্‌ন সমূহ

‘ইবাদাতের ক্ষেত্রে রুক্‌ন বলা হয় সেই সব কাজ বা বিষয়কে, যেগুলো পালন ব্যতীত ‘ইবাদাত বাতিল হয়ে যায় এবং ‘ইবাদাত সঠিক বা বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য যেগুলো সম্পাদনের কোন বিকল্প নেই। হাজ্জ বা ‘উমরাহর রুক্‌ন হলো সেই সব কাজ বা বিষয়, যেগুলো পালন ব্যতীত হাজ্জ বা ‘উমরাহ আদায় হয় না বরং তা বাতিল হয়ে যায়।

হাজ্জ অস্বীকারকারীর বিধান

যে ব্যক্তি হাজ্জকে দ্বীনে ইছলামের একটি রুক্‌ন এবং অত্যাবশ্যকীয় ফার্‌য ‘ইবাদাত বলে স্বীকার না করবে তথা অস্বীকার করবে, সে ব্যক্তি নিঃসন্দেহে ইছলাম বহির্ভূত কাফির।

শারী‘য়াতের পরিভাষায় হাজ্জ

শারী‘য়াতের পরিভাষায় হাজ্জ বলা হয়ঃ- আল্লাহ্‌র (سبحانه وتعالى) হুক্‌ম পালন এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের নিমিত্ত তাওয়াফ, ছা‘য়ি, ‘আরাফাহর ময়দানে অবস্থান এবং হাজ্জ্বের অন্যান্য কার্যাবলী সম্পাদনের মহান উদ্দেশ্যে মক্কায় গমন করা। হাজ্জ হলো দ্বীনে ইছলামের অন্যতম একটি রুক্‌ন বা ভিত্তি এবং ক্বোরআন, ছুন্নাহ ও ইজমা‘য়ে উম্মাত দ্বারা অকাট্য

হাজ্জ শব্দের শাব্দিক অর্থ কি?

হাজ্জ শব্দের শাব্দিক অর্থ হলোঃ- কোন মহান কাজের ইচ্ছা পোষণ। আভিধানিক অর্থে হাজ্জ বলা হয়ঃ-শারী‘য়াতে ইছলামীয়্যাহ কর্তৃক নির্ধারিত সময়ে, নির্ধারিত স্থানে নির্ধারিত কিছু কাজ, নির্ধারিত পন্থা ও পদ্ধতিতে সম্পাদন করা।

সৌদী ‘আরাবের প্রধান মুফতি ‘আল্লামা আশ্‌ শাইখ বিন বায (رحمه الله)

‘আল্লামা আশ্‌শাইখ ‘আব্দুল ‘আযীয ইবনু ‘আব্দিল্লাহ ইবনু বায رحمه الله ছিলেন সারা বিশ্বে সুপরিচিত এক ইছলামী ব্যক্তিত্ব। অসাধারণ জ্ঞান, অনন্য প্রজ্ঞা, পরিপূর্ণ ইখলাস ও আল্লাহ ভীতি, ছুন্নাতে রাছূলের অকৃত্রিম অনুসরণ, চমৎকার আচার-ব্যবহার, উন্নত মানবীয় গুণাবলী ও চরিত্রের অধিকারী, শির্‌ক, কুফ্‌র ও বিদ‘আতের বিরুদ্ধে আপোষহীন, তাওহীদ

শিরক ও তাশবীহ, তাওহীদের পরিপন্থী

শির্‌ক ও তাশবীহের ‘আক্বীদাহ তাওহীদের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এ দু’টো থেকে আল্লাহ্‌কে (سبحانه وتعالى) পূর্ণ পবিত্র ও অতি উর্দ্ধে মনে করার নামই তাওহীদ। যদি কেউ শির্‌ক ও তাশবীহ (মানবীয় কোন গুণ আল্লাহ্‌র জন্য সাব্যস্ত করার নাম তাশবীহ) এর ‘আক্বীদাহ সহকারে আল্লাহ্‌র (سبحانه وتعالى) প্রতি ঈমান রাখে, তাহলে সে মুছলমানের ঘরে জন্ম গ্রহণ করা

সঠিক ‘আক্বীদাহ ও উহার পরিপন্থি বিষয়গুলো কি কি?

সঠিক তাওহীদী ‘আক্বীদাহ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের আবশ্যকতা। ক্বোরআনে কারীম ও রাছূলের (صلى الله عليه وسلم) ছুন্নাহ্‌তে বর্ণিত প্রমাণাদী দ্বারা একথা সুস্পষ্টরূপে প্রমাণিত যে, যাবতীয় কথা-বার্তা ও কাজ-কর্ম কেবল তখনই আল্লাহ্‌র (سبحانه وتعالى) নিকট সঠিক বলে স্বীকৃত ও গৃহীত হয়, যখন উহা বিশুদ্ধ ও সঠিক তাওহীদী (আল্লাহ سبحانه وتعالى এর একত্ববাদের)

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close